পরিকল্পনামন্ত্রী এম এম মান্নান বলেছেন, জনশুমারি ও গৃহগণনা কার্যক্রম পরিচালনা করতে তথ্য ও কেনাকাটা কোনটাই যেন অনিয়ম কিংবা অর্থের অপচয় যেন না হয় সেদিকে নজর রাখার নির্দেশ দেন। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আগে তথ্যের জন্য মানুষ বিশ্বব্যাংকের কাছে যেত, এখন তথ্যের জন্য বিশ্বব্যাংকই পরিসংখ্যান ব্যুরোর কাছে আসে। এই সুনাম ধরে রাখার তাগিদ দেন তিনি।
সোমবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে আগারগাঁওয়ে পরিসংখ্যান ব্যুরো কার্যালয়ে জনশুমারি বিষয়ক প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী এ কথা বলেন।
নির্বাচন কমিশনে কাজ করার অভিজ্ঞতা তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, আমার নির্বাচন কমিশনে কিছুদিন কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। আমি দেখেছি প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রচুর কেনাকাটা করা হতো। যার সবটা কাজে লাগতো না। এতে নানা অনিয়ম এমনকি রাষ্ট্রীয় অর্থের প্রচুর অপচয় হতো। প্রয়োজনীয় অর্থ ব্যয়ে কার্পণ্য না করতে পরিসংখ্যান কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন এম এ মান্নান। তবে অপচয় কিংবা অনিয়ম না করার আহ্বান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ইয়ামিন চৌধুরী বলেন, জনশুমারি কার্যক্রমে যাতে কেউ বাদ না পড়ে সে ব্যাপারে পরিসংখ্যান কর্মকর্তাদের নিষ্ঠার সাথে কাজ করায় গুরুত্বারোপ করেন। নিজের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে পরিসংখ্যান সচিব বলেন, জনশুমারি গণনায় মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের গাফলতিতে অনেকই বাদ পড়ে। ২০১১ সালের জনশুমারি গণনা থেকে আমি নিজেই বাদ পড়েছিলাম। এবার যেন না পড়ি। অনেকেই ভালো কাজ করে। কিন্তু দু-একজন ভুল তথ্য দিলে পুরো কার্যক্রমই প্রশ্নবিদ্ধ হয়।
জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২১ কার্যক্রম চারটি ধাপে সম্পন্ন হবে বলেও অনুষ্ঠানে জানানো হয়। এ সময়, পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক তাজুল ইসলামসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, আগামী ২৩ জানুয়ারি থেকে জনশুমারি ও গৃহগণনার জোনাল অপারেশন-এক এর মাঠ পর্যায়ের তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। যা চলবে ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন