টাঙ্গাইলের সখিপুরে সিএনজি অটোরিক্সা স্টেশনের অতিরিক্ত চাঁদা তুলা বন্ধ করা হলেও ভাড়া কমেনি। সখিপুর থেকে টাঙ্গাইল ময়নসিংহের ভালুকা সিডস্টোর,কালিহাতী,মির্জাপুরের গোড়াই সহ উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে প্রতিদিন সহস্রাধিক সিএনজি অটোরিক্সা চলাচল করে।সম্প্রতি চাঁদার পরিমাণ কমানো হলেও ভাড়া কমানো হয়নি। ফলে যাত্রীদের পূর্বের মতোই সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
সখিপুর-টাঙ্গাইলের দূরত্ব ৩৪ কি.মি. সিএনজি অটোরিক্সায় ভাড়া নেওয়া হয় ৮০টাকা,আবার সন্ধ্যার পর কেউ টাঙ্গাইল থেকে সখিপুর আসতে চাইলে ভাড়া দিতে হয় ১শত থেকে ১শত ৫০টাকা। এ যেন রামরাজত্ব। সিএনজি অটোরিক্সার পিছনে তিনজন যাত্রী নেওয়ার কথা থাকলেও নেওয়া হয় ৫জন। ঝুঁকি নিয়ে সিএনজি ড্রাইভারের দুই পাশে দুইজন এবং পিছনের সিটে নেওয়া হয় তিনজন।
সখিপুর থেকে গোড়াইয়ের দূরত্ব ২৮কি.মি.প্রতিজনের ভাড়া নেওয়া হয় ৮০টাকা,সখিপুর-সিডস্টোর ও সখিপুর ভালুকার দূরত্ব ২৫কি.মি. প্রতিজনের নিকট থেকে ভাড়া নেওয়া হয় ৭০টাকা। আর সন্ধ্যা হলেই এ ভাড়া হয়ে যায় দ্বিগুণ-তিনগুণ। সখিপুর-টাঙ্গাইল সিএনজি অটোরিক্সায় প্রতিজনের ভাড়া হওয়া উচিত ২৫/৩০টাকা।
এ সড়কে লেগুনা-পিকআপ চলাচল করার কথা থাকলেও সিএনজি-অটোরিক্সার সিন্ডিকেটের কারণে লেগুনা-পিকআপ চলাচল করতে পারছে না। এ সিন্ডিকেট চক্র সাধারণ জনগণের কষ্টে অর্জিত টাকা চুষে নিয়ে যাচ্ছে। সিএনজি অটোরিক্সা কয়েকজন চালকের সাথে কথা বলে জানা যায়,সিএনজি অটোরিক্সার বিভিন্ন স্টেশনে চাঁদা পূর্বের তুলনায় কম নিলেও কয়েকদিন পরেই চাঁদার পরিমাণ বাড়ানো হবে,তাই চাঁদা কমলেও ভাড়া কমানো হয়নি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সিএনজি অটোরিক্সা মালিক-শ্রমিক সমিতির কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, অনেক জনকে খুশি করতে চাঁদার পরিমাণ বাড়িয়ে নেয়া হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন