যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শাস্তি হওয়া উচিত বলে মনে করেন সাবেক নিউইয়র্ক সিনেটর প্রার্থী বাংলাদেশী আমেরিকান গিয়াস আহমেদ । তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে গত চার বছরে যত সন্ত্রাস হয়েছে তার ৭৬% এর জন্য দায়ী শ্বেতাঙ্গ চরমপন্থিরা। অথচ কথায় কথায় ‘মুসলিম সন্ত্রাসী’ বলা হচ্ছে। এমনকি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও হরদম একইভাবে মুসলমানদের ঢালাওভাবে সন্ত্রাসী ভেবেছেন। ৬ জানুয়ারি গোটা বিশ্বকে অবাক করে ট্রাম্প নিজেই ক্যাপিটল হিলে সন্ত্রাসী হামলার নির্দেশ দিয়েছেন।
তাই রিপাবলিকান দলের এই তৃণমূল সংগঠক ‘সন্ত্রাসের গডফাদার’ হিসেবে গ্রেফতার ও বিচারের সম্মুখীন করতে হবে’-এ কথা বলেছেন ।
প্রতিনিধি পরিষদে ইমপিচের বিল পাশের পর ১৪ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার গিয়াস বলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প শুধু আমেরিকার জন্যে হুমকি নন, গোটাবিশ্ব মানবতারও দুশমন। তাকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হলেই বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য অর্জিত হবে।
জলবায়ু পরিবর্তনের যে ঝুঁকি বিরাজ করছে, তা থেকেও এ পৃথীবা রক্ষা পাবে।
২০২০ সাল পর্যন্ত ট্রাম্পের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি মন্ত্রীর ডেপুটি চীফ অব স্টাফ হিসেবে কাজের পর বর্তমানে ‘রিপাবলিকান একাউন্টেবিলিটি প্রজেক্ট’র কো-ডিরেক্টর এলিজাবেথ নিউম্যান সিবিএস টিভির এক টক-শো-তে বলেছেন একইকথা। তিনি উল্লেখ করেছেন, ক্যাপিটল হিলে হতাহতদের মধ্যে যদি একজনও মুসলমান কিংবা অভিবাসী থাকতেন, তাহলেই ট্রাম্পের মিডিয়া বক্স ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতো গণতান্ত্রিক বিশ্বে সবচেয়ে জঘন্যতম ঐ হামলার ঘটনাকে। এর আগে টেনেসীতে আত্মঘাতি বোমা হামলার ব্যাপারটিও এত দ্রুত ধামাচাপা পড়তো না।
কারণ, সেটিও মুসলমানের সম্পৃক্ততায় ঘটেনি। এ ধরনের বহু উদাহরণ রয়েছে, যেগুলোতে শ্বেতাঙ্গ-চরমপন্থিরা অভিযুক্ত হয়েছেন।
মার্কিন কংগ্রেসে সদস্যগণকে অভিনন্দন জানিয়ে গিয়াস আহমেদ আরো বলেছেন, ইউএস সিনেটে ট্রাম্প কনভিক্টেড হবেন বলে সকলের সাথে আমিও আশা করছি। রিপাবলিকান পার্টির মত একটি ঐতিহ্যবাহী-গণতান্ত্রিক সংগঠনে ট্রাম্পের মত বাজে লোকের ঠাঁই হতে পারে না। তাকে সরানো হলেই রিপাবলিকান পার্টির ইমেজ পুনপ্রতিষ্ঠিত হবে বলেও মন্তব্য করেছেন নিউইয়র্কের এই রাজনীতিক।
উল্লেখ্য, তিনি ৩ নভেম্বরের নির্বাচনেও ট্রাম্পকে ভোট দেননি এবং কমিউনিটির সকল রিপাবলিকানের প্রতি প্রকাশ্যে অনুরোধ জানিয়েছিলেন জো বাইডেনকে ভোট প্রদানের জন্যে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন