মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

গাজীপুরে গৃহবধূ অপহরণ ও গণধর্ষণ : প্রধান আসামী সোহাগ গ্রেফতার

গাজীপুর জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৯ জানুয়ারি, ২০২১, ৬:২০ পিএম

র্্যাব-১ এর সদস্যরা অভিযান এক চালিয়ে গাজীপুর জেলার শ্রীপুরে চাঞ্চল্যকর গৃহবধূ অপহরণ ও গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামী সোহাগ মিয়া(৩৫)কে গ্রেফতার করেছে।

র‌্যাব-১ গাজীপুর পোড়াবাড়ী ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান,গত ৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ রাত অনুমান ৯ টার দিকে ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা থানার ভরাডোবা এলাকা হতে গৃহবধু ভিকটিম(২৩)কে অপহরণ করে প্রাইভেটকার যোগে গাজীপুরের শ্রীপুর থানার এমসি বাজার এলাকায় নিয়ে এসে একটি রুমের ভিতর আটক রাখে।

পরবর্তীতে ভিকটিমকে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে কোকাকোলার সাথে নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবন করিয়ে অজ্ঞান করে ৩ বন্ধু সারা রাত পালাক্রমে গণধর্ষণ করে এবং তার ভিডিও ধারন করে। অপহরণ ও গণধর্ষণের মূলহোতা সোহাগ উক্ত পর্ণোগ্রাফী ভিডিও অর্থের বিনিময়ে বিভিন্ন সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে। অবশেষে ভিকটিম বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। থানায় মামলা দায়ের পর র‌্যাব-১, গণধর্ষণকারীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে উক্ত মামলা ছায়া তদন্ত শুরু করেন ও সোর্স নিয়োগসহ র‌্যাবের সকল ধরনের গোয়েন্দা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল।
এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার দুপুর দেড়টায় র‌্যাব-১ এর আভিযানিক দল জেলার জয়দেবপুর থানার মনিপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে গণধর্ষণ এবং পর্ণোগ্রাফী ভিডিও ভাইরালকারী মূলহোতা ময়মনসিংহের ভালুকা থানার ভরাডোবা এলাকার আলাল মিয়ার ছেলে মোঃ সোহাগ মিয়া(৩৫)কে গ্রেফতার করে। এসময় তার হেফাজত থেকে উক্ত ধর্ষণের ভাইরালকৃত পর্ণোগ্রাফী ভিডিও সহ ১টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। ধৃত মোঃ সোহাগ মিয়া পেশায় একজন বাসের ড্রাইভার। পরদিন সকালে ধর্ষকরা পুনরায় ধর্ষণের উদ্দেশ্যে নিয়ে ভিকটিমকে অজ্ঞান অবস্থায় রুমে তালাবদ্ধ করে রেখে চলে যায়। একপর্যায়ে ভিকটিমের জ্ঞান ফিরে আসলে সে দেখতে পায় তার শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে আঘাতের চিহৃসহ রক্তপাত হচ্ছে। তখন সে দরজা খুলে বাহিরে যেতে চাইলে বাহির থেকে রুমের দরজা তালাবদ্ধ পায়।

এমতাবস্থায় ভিকটিমের ডাক-চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে রুমের দরজার তালা ভেঙ্গে ভিকটিমকে মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে এবং তার চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠায়। পরবর্তীতে ধর্ষক সোহাগ অর্থের বিনিময়ে উক্ত পর্নোগ্রাফি ভিডিও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। র‌্যাবের হাতে গ্রেফতারের পর ধৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে সে ঘটনার বিষয়ে স্বীকার করে এবং নিজেদের মুখে তার বর্ণনা দেয়। সে এর পূর্বেও অনেক মেয়েকে ধর্ষণ করেছে বলে র্্যাবের নিকট স্বীকার করে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন