কুড়িগ্রামের শীতের প্রকোপ কমছে না। কুড়িগ্রামে গত দুই সপ্তাহ ধরে প্রচন্ড শীত ও ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন রয়েছে পুরো জেলা।প্রচন্ড ঠান্ডার কারনে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। জেলার আড়াইশত শয্যার জেনারেল হাসপাতাল ও উপজেলার স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স সমুহেও শীতজনিত রোগী প্রতিদিন ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে। কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা.পুলক কুমার সরকার জানান,শীতের প্রকোপ মারাত্মকভাবে বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালে রোগী বাড়ছে।গত ২৪ঘন্টায় শীতজনিত রোগে নিউমোনিয়ায় ভর্তি হয়েছে ১০জন শিশু এবং ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে ২৫জন এবং জেলা সদরের বাইরে নিমোনিয়ায় ১২জন শিশু ও ডায়রিয়ায় ২২ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে। তিনি আরও জানান, আউটডোরে প্রতিদিন ৮০০ রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে।গত কয়েকদিনে আনুপাতিক হারে এটি সবচেয়ে বেশি।
জেলা সিভিল সার্জন ডা: হাবিবুর রহমান জানান,অন্যান্য জেলার চেয়ে কুড়িগ্রামে শীতের প্রকোপ এবার একটু বেশি।এবারে করোনার পাশাপাশি সর্দি কাশি নিয়ে হাসপাতাল গুলোতে রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে ।তবে আমাদের স্বাস্থ্যবিভাগও চিকিৎসার ব্যাপারে যথেষ্ট তৎপর রয়েছে। এদিকে,জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া উত্তরীয় হিমেল হাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া দিন মজুর শ্রেণির মানুষ। ঘন-কুয়াশার সাথে হিমেল হওয়া বাড়িয়ে দিয়েছে কনকনে ঠান্ডার মাত্রা। দিনের বেশিরভাগ সময় সুর্যের দেখা মিলছে না। ফলে ঠান্ডায় কাহিল এ জনপদ। নি¤œ আয়ের ও দিন মজুর শ্রেণি মানুষজন খড়কুটো দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করে। গরম কাপড়ের অভাবে তীব্র শীত কষ্টে ভুগছেন হতদরিদ্র পরিবারের শিশু ও বৃদ্ধরা।শীতের কারনে এবারের বোরো চাষ কিছুটা বিলম্বিত হয়ে পড়েছে।স্থানীয় আবহাওয়া অফিস জানায়,বৃহস্পতিবার জেলার সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ১৩ দশমিক ৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন