ভোলার দৌলতখান উপজেলার এমভি ফারহান-৫ লঞ্চের চাপায় কহিনুর বেগম নামে এক নারীর পা বিচ্ছিন্ন হওয়ার ঘটনায় লঞ্চ চালক, মাস্টার ও কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
বুধবার দৌলতখান থানায় আহত কহিনুর বেগমের ছোট ছেলে মো. মহসিন এ মামলা করেন। মামলা নং ১৪ ১৯/০১/২১২১
দৌলতখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বজলুর রহমান জানান, মহসিন ফারহান-৫ লঞ্চের অজ্ঞাতপরিচয় চালক, মাস্টার ও অন্য কর্মী-সহযোগীদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছেন। তদন্ত শুরু হয়েছে।
মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা কহিনুর বেগম ঢাকায় যাওয়ার জন্য গত শনিবার দৌলতখান উপজেলার লঞ্চ ঘাটে আসেন। রাত পৌনে ৯টার দিকে বেতুয়া ঘাট থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী এমভি ফারহান-৫ লঞ্চটি বেপরোয়া গতিতে পন্টুনের উপর উঠিয়ে দেয়। এতে পন্টুনে দাঁড়িয়ে থাকা কহিনুর বেগমের বাম পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
পরে স্থানীয়রা তাকে দৌলতখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে বরিশাল শেরে-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। আরও উন্নত চিকিৎসার জন্য পরে তাকে ঢাকার জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) ভর্তি করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন