প্রশ্ন : আমার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে মোটা অঙ্কের একটা অ্যামাউন্ট জমা করা আছে। যা আমি কোনো কাজে লাগানোর জন্য জমা করেছি। এখন প্রশ্ন হলো, আমরা জানি যে, নগদ টাকা যদি এক জাকাতবর্ষ অতিক্রম করে তাহলে জাকাত ফরজ হয়। এখন উল্লিখিত টাকা যদি বিশেষ প্রয়োজনে এক বছর অতিবাহিত হওয়ার আগেই আমার স্ত্রীর অ্যাকাউন্টে জমা করে দেই তা হলেও কি আমার জাকাত ফরজ হবে?
উত্তর : যদি টাকাগুলো সে সময় সম্পূর্ণরূপে স্ত্রীকে মালিক বানিয়ে দিয়ে দেন, তাহলে আপনার ওপর জাকাত আসবে না। আর যদি শুধু জাকাত না দেয়ার জন্য স্ত্রীর অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করেন, তা হলেও জাকাত আসবে। অবশ্য জাকাত না দেয়ার উদ্দেশ্যে জাকাতবর্ষ পূর্ণ হওয়ার আগে নিজেদের মধ্যে টাকা অদল বদল করে নেয়ার নাম হিলা। যা এক ধরনের গোনাহের কাজ। এমন কবিরা গোনাহের চেয়ে জাকাত দিয়ে দেয়া শতগুণ উত্তম। কেননা, জাকাত-সাদাকায় মাল কমে না। বরকত হয়ে অন্যদিক দিয়ে বৃদ্ধি পায়। কিন্তু সুদ কিংবা হিলা করলে মাল একসময় চলে যায়। যদি জাকাতকে চাপ মনে হয়, তাহলে জাকাত আসে না এমন খাতে টাকা বিনিয়োগ বা ব্যয় করার হুকুম রয়েছে। এতে কোনো গোনাহ নেই। কিন্তু জাকাত না দেয়া বা হিলা করা গোনাহের কাজ।
প্রশ্ন : খেলাকে কেন্দ্র করে আমরা বন্ধুরা প্রায়ই বাজি ধরি টাকার বিনিময়ে। যা নিছক মজা করার জন্য। এটা কি ঠিক?
উত্তর : বৈধ ব্যবসায়িক লেনদেন, কর্জ, দান ও নির্দোষ হাদিয়া ছাড়া শরিয়তে অনিশ্চয়তাপূর্ণ কোনো লেনদেন জায়েজ নেই। মজার জন্য বা লাভের জন্য বাজি ধরা এক ধরনের জুয়া। যা থেকে একপক্ষ বিনা কারণে লাভবান হয়, অপরপক্ষ সর্বস্ব হারায়। ফলে অনেক ধরনের শত্রুতা, ঘৃণা-বিদ্বেষ, কর্মবিমুখতা, মারামারি, খুন এমনকি স্ত্রী, পুত্র, কন্যা, সহায়-সম্পত্তি উজাড় হওয়ার নজিরও দেখা যায়। যে জন্য ইসলাম ছোট-বড় সকল জুয়াকে চিরতরে হারাম সাব্যস্ত করেছে। জুয়া আগুনের মতো। সিগারেটের ছোট্ট আগুন বা ফুলকি যেমন বিশাল অগ্নিকান্ড ঘটাতে পারে, তেমনই নিছক মজার জুয়া বা শখের জুয়া পারে শান্তিপূর্ণ জীবনে অশান্তির আগুনের দাবানল জ্বালতে। জাহান্নামের আগুন তো পরকালে আছেই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন