জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল্লামা শায়খ জিয়া উদ্দীন ও ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেন, ভারত ট্রানজিট চুক্তির শুরু থেকেই এক তরফা ট্রানজিট সুবিধা ভোগ করছে। ভারত ট্রানজিট ও বাণিজ্যিক সুবিধা গ্রহণের ক্ষেত্রে দাদাগিরি করে আধিপত্য বিস্তার করছে। চট্টগ্রাম ও মংলা সমুদ্রবন্দর দিয়ে ' ভারতের পণ্য ভারতে পরিবহনের ক্ষেত্রে ভারতের একচেটিয়া ও একমুখী ট্রানজিট সুবিধা ভোগ বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ভীষণ ক্ষতিগ্রস্থ করবে।
নেতৃদ্বয় বলেন, এ ছাড়া ফারাক্কা বাধ ও তিস্তার পানি বণ্টনেও ভারত নিজেদের স্বার্থ ষোল আনাই ঘরে তুলছে। সরকার নিজ দেশের স্বার্থবিরোধী চুক্তি ও একমুখী ট্রানজিট সুবিধা ভারতকে দিয়ে চরম দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছে।
নেতৃদ্বয় আরো বলেন, বাংলাদেশ পররাষ্ট্রনীতিতে ভারতের সাথে সদা নতজানু ভূমিকায় অবতীর্ণ হলে দেশীয় পণ্য সামগ্রী রফতানি ব্যবসা বাণিজ্য ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে উপনীত হবে। ভারত স্বার্থসংশ্লিষ্ট একমুখী ট্রানজিটের কারণে বাংলাদেশের বৃহত্তর চট্টগ্রাম, নোয়াখালী ও কুমিল্লা অঞ্চলের রফতানি ব্যবসা বাণিজ্য তলানীতে গিয়ে ঠেকবে।
অপরদিকে ইতোপূর্বেই শুল্ক ও অশুল্ক এর প্রশ্নে বাঁধা দিয়ে বাংলাদেশি পণ্যসামগ্রী ভারতে প্রবেশাধিকার আটকে দিয়েছে ভারত। বাংলাদেশের জনগণ দেশের স্বার্থবিরোধী এমন বৈষম্যপূর্ণ নতজানু পররাষ্ট্রনীতি; চুক্তি ও ট্রানজিট চায় না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন