মৌলভীবাজারে পৃথক ঘটনায় এক প্রতিবন্ধী শিশু ধর্ষন ও অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ গণধর্ষণের শিকারের অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষিতা এ ২ জনকে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, কমলগঞ্জ উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নের জসমতপুর গ্রামের ১৩ বছরের প্রতিবন্ধী শিশুকে (সামিরা) পাশের বাড়ীর এক যুবক ঘরে ঢুকে ধর্ষণ করে। ঘটনাটি ঘটে গত শনিবার দুপুরে। এ সময় শিশুটির মা ও বাবা ঘরে ছিলেন না। এঘটনার পর স্থানীয়রা চিকিৎসা ও সমঝোতার আশ্বাস দিয়ে কাউকে কোন কিছু না বলার জন্য জানায়। পরে প্রতিবন্ধী শিশুর শারিক অবস্থার অবনতি হলে ৪দিন পর গত বুধবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
১৩ বছরের শিশুর মা (জোবেদা বেগম) কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, ১৩ বছর ধরে অনেক কষ্ঠ করে মানুষের বাড়িতে কাজ করে বাচ্চাদের লালন-পালন করছি। সরকার থেকে আমার মেয়েটি প্রতিবন্ধী ভাতাও পাচ্ছে। কিন্তু কেন যে আমার প্রতিবন্ধী মেয়ের সাথে এমন করলো তার দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।
অপরদিকে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার গুজারাই গ্রামের মছব্বির মিয়ার বস্তিতে মধ্যরাতে দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে ৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা (ফরিদা বেগম) গৃহবধূকে ৪ জন মিলে গণধর্ষণ করে। এসময় তার স্বামী সিএনজি চালক জুবেদ মিয়া ঘরে ছিলেন না। অন্তঃসত্তা গৃহবধূ (ফরিদা বেগম) বলেন, রাত ১ টার দিকে প্রথমে ঘরে এসে ডাকাডাকি করে, দরজা খুলে না দেয়াতে চলে যায়। পরে রাত ৩ ঘটিকার সময় দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে পালাক্রমে তাকে ধর্ষণ করে।
ধর্ষিতার স্বামী বলেন, তিনি সিএনজি চালান। তার দুই সংসার রয়েছে। এটি তার দ্বিতীয় সংসার। ঘটনার দিনে রাতে তিনি কলোনীর বাসায় না ফিরে নিজ বাড়িতে ছিলেন।
রাত ৪ টার দিকে ফোন পেয়ে বাসায় এসে লোকের কাছ থেকে ও তার স্ত্রীর কাছ থেকে এসব শুনেছে। মৌলভীবাজার মডেল থানার ওসি মো. ইয়াছুনুল হক ও কমলগঞ্জ থানার ওসি আরিফুর রহমান বলেন, এখনও কেউ এবিষয়ে অভিযোগ করেননি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন