করোনার নতুন ধারা গ্রাস করেছে ইউনাইটেড কিংডম, দক্ষিণ আফ্রিকা আর ব্রাজিলকে। অস্বীকার করার উপায় নেই যে মারণ ভাইরাসের নতুন ধারা ছড়িয়ে পড়ার পরে প্রয়োগ শুরু হয়েছে ভ্যাকসিনের। ফলে, একটা প্রশ্ন ক্রমাগত যেন কাঁটার মতো বিঁধছিল চিকিৎসাজগৎকে- মডার্না আর ফাইজার ভ্যাকসিন কি এই নতুন ধারার ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করতে সক্ষম হবে? আপাতত, নিউ ইয়র্কের রকফেলার ইউনিভার্সিটির গবেষকরা যে খবর দিচ্ছেন, তা মোটেই স্বস্তিতে থাকতে দিচ্ছে না। তারা বলছেন করোনার নতুন স্ট্রেনের কাছে অনেকাংশেই নিষ্ক্রিয় এই দুই ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা! খবর বলছে, স¤প্রতি ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ হেল্থ-এর গবেষকদের সঙ্গে যৌথ ভাবে একটি সমীক্ষা পরিচালনা করেছিলেন রকফেলার ইউনিভার্সিটির গবেষকরা। মডার্না বা ফাইজার দেওয়া হয়েছে, এমন ২০ জন ব্যক্তির রক্ত নিয়ে তারা পরীক্ষা করে দেখেছিলেন নিজেদের ল্যাবরেটরিতে। এই স্যাম্পলগুলো সংগ্রহ করা হয়েছিল ইউনাইটেড কিংডম, দক্ষিণ আফ্রিকা আর ব্রাজিলের নানা জায়গা থেকে যেখানে করোনার নতুন ধারা জনজীবনকে বিপর্যস্ত করে রেখেছে। কোনও ভ্যাকসিন যখন আমাদের শরীরে প্রবেশ করে, তখন তা ইমিউনিটি সিস্টেমকে বাড়িয়ে তোলে এবং শরীরে ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করার উপযোগী অ্যান্টিবডি তৈরি করে। রকফেলার ইউনিভার্সিটির গবেষকরা দেখেছেন যে এক্ষেত্রেও শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হচ্ছে মডার্না বা ফাইজার নেওয়া পরে। কিন্তু তা ভাইরাসের নতুন ধারার সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে যথেষ্ট নয়। ফলে, এক সময়ে ভাইরাসের আগ্রাসনের মুখে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ছে ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা। রকফেলার ইউনিভার্সিটির এই সমীক্ষা এর মধ্যেই চাঞ্চল্য ফেলেছে বিশ্বে। অনেক চিকিৎসকেরাই বলছেন যে এই সমীক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করতে হবে। তাঁদের দাবি- বিশ্বে ক্রমবর্ধমান করোনাকালীন পরিস্থিতিতে এই সমীক্ষা প্রশংসার দাবি রাখে। কারণ তা একটি সম্ভাবনা সম্পর্কে সবাইকে সচেতন করে তুলছে। পাশাপাশি তারা এটাও বলছেন, রকফেলার ইউনিভার্সিটির গবেষকদল বিশ্বখ্যাত, অতএব তাঁদের সমীক্ষাকে হেলাফেলা করা ঠিক হবে না। অন্যদিকে, এই সমীক্ষার সঙ্গে যুক্ত গবেষকরা বলছেন যে বিষয়টি নিয়ে অবিলম্বে কাজ শুরু করতে হবে। এমন নয় যে ফাইজার আর মডার্না কোনও উপকারই করতে পারবে না। কিন্তু যদি সামান্য পরিমাণ মানুষের শরীরেও তা কাজ না করে, ফলে সংক্রমণের দুশ্চিন্তা থেকেই যায়। ফাইজার বা মডার্নার তরফে এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি বলেই খবর মিলেছে! সূত্র : এনবিসি নিউজ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন