শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

রাজধানীর কাঁচাবাজার : রাজধানীর কাঁচাবাজার কমেছে ভোজ্যতেলের দাম

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৩ জানুয়ারি, ২০২১, ১২:০০ এএম

অবশেষে খোলা সয়াবিন ও পাম অয়েলের দাম কমতে শুরু করেছে। কিছুদিন ধরেই অস্বাভাবিক বাড়ার পর সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে ১০ টাকা পর্যন্ত কমেছে খোলা সয়াবিন ও পাম অয়েলের দাম। কিন্তু বোতলজাত সয়াবিন তেলের দামে এর কোনো প্রভাব পড়েনি। এদিকে গত কয়েক সপ্তাহের মতো স্বস্তি বিরাজ করছে সবজির দামে। সপ্তাহের ব্যবধানে সবজির দামে খুব একটা হেরফের হয়নি।
বাজারে খোলা সয়াবিন তেলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০-১২৫ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৩০-১৩৫ টাকা। পাম অয়েল বিক্রি হচ্ছে ১১০-১১৫ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ১১৫-১২০ টাকা।
অপরদিকে, কোম্পানিভেদে বোতলের পাঁচ লিটার সয়াবিন তেলের মূল্য তালিকা নির্ধারণ করা হয়েছে সর্বোচ্চ ৬৬৫ টাকা। তবে খুচরা পর্যায়ে বোতলের পাঁচ লিটার সয়াবিন তেল ৫৬০-৬০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহের ব্যবধানে বোতলের সয়াবিন তেলের দামের পরিবর্তন হয়নি।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত সপ্তাহে এক কেজি খোলা সয়াবিন ১৩০ টাকা বিক্রি করেছি। এখন পাইকারিতে দাম কমায় আমরা ১২০ টাকা কেজি বিক্রি করতে পারছি। সয়াবিনের পাশাপাশি পাম অয়েলের দাম কমেছে। গত সপ্তাহে সুপার পাম অয়েলের কেজি ছিল ১২০ টাকা, এখন তা ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে বোতলের সয়াবিন তেলের দাম কমেনি।
ব্যবসায়ীরা আরো বলেন, সয়াবিন তেলের অস্বাভাবিক দাম বাড়ায় গত সপ্তাহে আমরা পাঁচ লিটারের বোতল কেটে খোলা বিক্রি করছিলাম। কারণ বোতল থেকে খোলা সয়াবিন তেলের দাম বেশি হয়ে গিয়েছিল। এখন খোলা সয়াবিন তেলের দাম কমেছে। তবে বোতলের তেলের দাম বেশি।
তিনি আরও বলেন, আমরা পাইকারি বাজারের ওপর নির্ভরশীল। পাইকারি বাজার থেকে কম দামে কিনতে পারলে ক্রেতাদের কাছে কম দামে বিক্রি করি। আর বেশি দামে কিনতে হলে দাম বাড়াতে বাধ্য হয়। গত সপ্তাহে খোলা সয়াবিন ও পাম অয়েলের দাম কেজিতে ১০ টাকা করে কমেছে। তবে আমাদের মতো তেলের দাম আরও কমা উচিত।
পাইকারি ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ গোলাম মাওলা বলেন, সয়াবিন ও পাম অয়েলে তেলের জন্য আমরা আমদানি নির্ভরশীল। বিশ্ববাজারে দাম বাড়লে আমাদের বাজারে দাম বাড়ে। আবার বিশ্ববাজারে দাম কমলে এখানেও দাম কমে যাবে। বিশ্ববাজারে দাম কমায় পাইকারিতে খোলা সয়াবিন তেলের দাম কমেছে।
বোতলের সয়াবিন তেলের বিষয়ে তিনি বলেন, বোতলের সয়াবিন তেল কয়েকটি প্রতিষ্ঠান উৎপাদন করে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক করে কোম্পানিগুলো বোতলের সয়াবিন তেলের দাম নির্ধারণ করে। সেই দামেই বোতলের সয়াবিন তেল বিক্রি হয়।
এদিকে, সবজি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহের মতো ভালো মানের পাকা টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০-৩০ টাকা, শিম ২০-৪০ টাকা দরে। ফুলকপি ও বাঁধাকপির পিস বিক্রি হচ্ছে ১০-২০ টাকা। এছাড়া মুলা ১০-১৫ টাকা, গাজর ৩০-৫০ টাকা, বেগুন ২০-৩০ টাকা, উস্তে ৩০-৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। ৪০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে বড় লাউ।
সবজির পাশাপাশি স্বস্তি দিচ্ছে আলু ও পেঁয়াজের দাম। ভালো মানের নতুন আলুর কেজি পাওয়া যাচ্ছে ২০ টাকার মধ্যে। ৪০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে দেশি পেঁয়াজের কেজি।
সবজি ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে শীতের সব ধরনের সবজির সরবরাহ ভালো থাকায় দাম কম। বিশেষ করে ভালো মানের দেশি পাকা টমেটো বাজারে চলে এসেছে। এ কারণে অন্যান্য সবজির দামও কিছুটা কমেছে। শীতের সবজির সরবরাহ যতদিন এমন থাকবে, ততদিন দাম বাড়ার সম্ভাবনা কম।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন