শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা উপেক্ষিত

সওজের দুই কর্মকর্তার হাতে ১০ প্রকল্প, তিনটির অগ্রগতি শূন্য

পঞ্চায়েত হাবিব | প্রকাশের সময় : ২৩ জানুয়ারি, ২০২১, ১২:০০ এএম

একজন কর্মকর্তাকে একাধিত প্রকল্পের দায়িত্ব দেয়ায় কাজে বিলম্ব হয়। এতে দফায় দফায় ব্যয় বাড়ানো হয়। সেটা মাথায় রেখেই প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতি রোধ এবং প্রকল্পের গতি বৃদ্ধির লক্ষ্যে একজন কর্মকর্তাকে একাধিক প্রকল্পের দায়িত্ব না দেয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন। কিন্তু সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তর প্রধানমন্ত্রীর সেই সময়োপযোগী সেই নির্দেশনা মানছে না। পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেছিলেন, ‘একই ব্যক্তি একাধিক প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালকের (পিডি) দায়িত্বে থাকলে যথাযথভাবে কাজ এগিয়ে নেয়া কঠিন হয়ে পড়ে’। তাই একই ব্যক্তি যেন একাধিক প্রকল্পের পিডি না হন, সে নির্দেশনা বারবার দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবুও বন্ধ হয়নি একই ব্যক্তির একাধিক প্রকল্পের পিডি হওয়া। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা আমলে না নিয়ে সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তর দুই প্রকল্পের পরিচালকের নিয়ন্ত্রণে দিয়েছে ১০ প্রকল্প কাজ। প্রধানমন্ত্রী ও পরিকল্পনামন্ত্রীর নির্দেশনা ভঙ্গ করে প্রকল্পের দায়িত্ব পালন করছেন এসব কর্তকর্তারা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বরিশাল বিভাগে ২০২০-২১ অর্থবছরে এডিপির ১৪টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সড়ক ও জনপথ অধিদফতর সওজ। এ ১৪ প্রকল্পের মধ্যে ১০টি প্রকল্পই রয়েছে দুই পিডির হাতে। সওজের বরিশাল জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আবু হেনা মো. তারেক ইকবালের হাতে ৬টি এবং সওজের বরিশাল সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মিন্টু রঞ্জন দেবনাথের হাতে ৪টি প্রকল্প রয়েছে। এ ১০ প্রকল্পের মাঝে তিনটির অগ্রগতি একেবারেই শূন্য।
এদিকে সড়ক পরিবহন ও সেতু বিভাগের বিভিন্ন কাজে একই প্রতিষ্ঠান একাধিকবার ঠিকাদারির কাজ পায় কিনা তা খতিয়ে দেখতে স¤প্রতি একটি উপ-কমিটি গঠন করেছে, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।

জানতে চাইলে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম ফোন ইনকিলাবকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে অনেক আগে। তারপরও এ ধরনের ঘটনা ঘটে থাকলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী আবদুস সবুর ইনকিলাবকে বলেন, আমাদের জনবলের অভাবে একজন কর্মকর্তা বেশ কয়েকটি প্রকল্পের দায়িত্ব পালন করছেন। তারা সরকারি বেতনের বাহিরে কোন অতিরিক্ত টাকা পাচ্ছেন না। তবে বড় বড় প্রকল্পের আলাদা প্রকল্পের পরিচালক সরকার নিয়োগ দিচ্ছেন। তিনি বলেন, যেসব ঠিকাদাররা কাজ পাচ্ছে। তারা সরকারি শর্ত মেনেই কাজ পাচ্ছে। এখানে বেআইনি কিছু হচ্ছে না। সামনে নতুন নীতিমালা হচ্ছে একই প্রতিষ্ঠান বারবার কাজ পাবে না।

জানা গেছে, সড়ক ও জনপথ অধিদফতর থেকে বরিশাল বিভাগের ২০২০-২১ অর্থবছরে এডিপির ১৪টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এ ১৪ প্রকল্পের মধ্যে ১০টি প্রকল্পের কাজ রয়েছে দুই প্রকল্প পরিচালকের নিয়ন্ত্রণে। সওজের বরিশাল জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আবু হেনা মো. তারেক ইকবালের হাতে ছয়টি এবং সওজের বরিশাল সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মিন্টু রঞ্জন দেবনাথের হাতে চারটি প্রকল্পের কাজ করছেন। এ ১০ প্রকল্পের কাজের মধ্যে তিনটি প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি একেবারেই শূন্য। শূন্য অগ্রগতির তিনটি প্রকল্প হলো তারেক ইকবালের হাতে থাকা ভোলা-চরফ্যাশন আঞ্চলিক মহাসড়ক উন্নয়ন প্রকল্প এবং মিন্টু রঞ্জন দেবনাথের হাতে নিয়ন্ত্রণে থাকা প্রকল্প বরিশাল-ভোলা-লক্ষীপুর জাতীয় মহাসড়কের মান ও প্রস্ততায় উন্নীতকরণ ও সুগন্ধা নদীর ভাঙন হতে বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সেতু রক্ষার্থে ৩.৭৬৫ কিলোমিটার নদীতীরে স্থায়ী রক্ষা প্রকল্পের কাজ।

সম্প্রতি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় এবং বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) বরিশাল সার্কিট হাউসে এ বিভাগে চলতি অর্থবছরে চলমান ৬৭টি প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা করতে প্রকল্পগুলোর পিডিদের সঙ্গে বৈঠকে করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান। সওজের বরিশাল জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর নিয়ন্ত্রণে থাকা ১০টি প্রকল্প বিষয়ে আইএমইডি সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী ফোনে জানান, দুইজনের হাতে যদি ১০টা প্রকল্প থাকে। এ ধরনের বিষয়ে আরও খেয়াল রাখতে হবে। অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর নিজস্ব কাজ আছে। তারপরও ১০টি প্রকল্পের পিডির দায়িত্ব পালন করা ডিফিকাল্ট (কঠিন)।

আইএমইডির তথ্য অনুযায়ী, সওজের বরিশাল জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আবু হেনা মো. তারেক ইকবাল একাই ৬ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক। প্রকল্প হলো, ভোলা-চরফ্যাশন আঞ্চলিক মহাসড়ক উন্নয়ন প্রকল্প, লেবুখালী-রামপুর-মির্জাগঞ্জ সংযোগ সড়ক নির্মাণ, ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল-পটুয়াখালী (এন-৮) জাতীয় মহাসড়ক ৪ লেনে উন্নীতকরণের জন্য ভ‚মি অধিগ্রহণ, বৈরাগীরপুল (বরিশাল)-টুমচর-বাউফল (পটুয়াখালী) জেলা মহাসড়ক (জেড-৮৯১০) যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ প্রকল্প এবং জেলা মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ ও গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ (বরিশাল জোন) প্রকল্পের কাজ। চলতি অর্থবছরের এডিপিতে এক হাজার ৭২৪টি প্রকল্প রয়েছে। তার মধ্যে বরিশাল বিভাগের আছে ৬৭টি প্রকল্প, যা মোট প্রকল্পের ৩ দশমিক ৮৯ শতাংশ। সারা দেশে প্রকল্পগুলোর জন্য বরাদ্দ রয়েছে। মোট দুই লাখ ১৪ হাজার ৬১১ কোটি ৯ লাখ টাকা। তার মধ্যে বরিশাল বিভাগের প্রকল্পগুলোর জন্য বরাদ্দ রয়েছে। সাত হাজার ১০৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকা, যা এডিপি বরাদ্দের ৩ দশমিক ৩১ শতাংশ।

সওজ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সারা দেশে দরপত্র প্রক্রিয়ায় অংশ নেয়া ঠিকাদারের সংখ্যা ৮৪৫। এর মধ্যে বর্তমানে দেশি-বিদেশি মিলিয়ে ২৩২টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ২২ হাজার ৮২৯ কোটি টাকার কাজ করছে। এর অর্ধেক অর্থাৎ ১১ হাজার ২৫০ কোটি টাকার কাজ করছে সাত ঠিকাদার। আর শীর্ষ ২০টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সব মিলিয়ে বাস্তবায়ন করছে প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকার উন্নয়নকাজ। বাকি সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার উন্নয়নকাজ ভাগাভাগি করে বাস্তবায়ন করছে ২১২টি প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরে চলমান কাজের মূল্য ২২ হাজার ৮২৯ কোটি টাকা। এ কাজের প্রায় ৫০ শতাংশই নিয়ন্ত্রণ করছে সাত-আটটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এ সাতটিসহ বেশিরভাগই কয়েকটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানই পাচ্ছে সওজের সিংহভাগ কাজ।
চার লেন সড়ক নির্মাণে ভারতে প্রতি কিলোমিটারে ১১-১৩ লাখ ডলার ও চীনে ১৩-১৬ লাখ ডলার খরচ হয়। সেখানে বাংলাদেশে চার লেন সড়কগুলোর মধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক, রংপুর-হাটিকুমরুল মহাসড়ক, ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ও ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে প্রতি কিলোমিটারে সর্বনিম্ন ২৫ লাখ ডলার থেকে সর্বোচ্চ ১ কোটি ১৯ লাখ ডলার ব্যয় হয়েছে। সড়কে এ বাড়তি খরচের বিষয়টি এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার আলোচনায় ফুটে এসেছে। পেছনে নির্মাণ ব্যয়ে অস্বচ্ছতা, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ না হওয়া ও দরপত্রে প্রতিযোগিতা না থাকাকে দায়ী করা হচ্ছে। চলমান কাজের মূল্যে সওজের সবচেয়ে বড় ঠিকাদার করছেন কুমিলার রানা বিল্ডার্স। এ প্রতিষ্ঠানটি ৩ হাজার ৬১৮ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন করছে। রানা বিল্ডার্স বর্তমানে কুমিলা-নোয়াখালী মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পের একটি প্যাকেজে ১৯৫ কোটি টাকার কাজ করছে। আহলাদিপুর-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক সড়কে দুটি প্যাকেজও বাস্তবায়ন করছে তারা। এসবের বাইরেও কিশোরগঞ্জ-করিমগঞ্জ-চামড়াঘাট জেলা মহাসড়ক যথাযথ মানে উন্নীতকরণ, কুমিল্লায় পরিবহনচালকদের জন্য বিশ্রামাগার নির্মাণসহ সারা দেশে অধিদফতরের ৩ হাজার ৬১৮ কোটি ৫৫ লাখ ৭২ হাজার ৪০৩ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ একসঙ্গে বাস্তবায়ন করছে প্রতিষ্ঠানটি। কাগজে-কলমে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রানা বিল্ডার্সের মালিক মোহাম্মদ আলম।

তারেক ইকবাল বলেন, প্রকল্প পরিচালক কি আমি হতে পারি? নাকি আমাকে বানায়? সরকার কীভাবে প্রকল্প পরিচালক নির্ধারণ করেন, সেটা সরকারই ভালো জানেন। সরকারের নিয়ম আছে, সেই অনুযায়ী হয়। এটা কারও ইচ্ছায় হয় না।
সওজের বরিশাল সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মিন্টু রঞ্জন দেবনাথের নিয়ন্ত্রণে থাকা প্রকল্প হলো হচ্ছে, বরিশাল-ভোলা-লক্ষীপুর জাতীয় মহাসড়কের (এন-৮০৯) বরিশাল (চরকাউয়া) থেকে ভোলা (ইলিশা ফেরীঘাট) হয়ে লক্ষীপুর পর্যন্ত মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ এবং সুগন্ধা নদীর ভাঙন হতে বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সেতু (দোয়ারিকা সেতু) রক্ষার্থে ৩.৭৬৫ কিলোমিটার নদীতীরে স্থায়ী রক্ষা প্রকল্প। এছাড়া রাজাপুর-কাঠালিয়া-আমুয়া-বামনা-পাতরঘাটা মহাসড়ক (জেড-৮৭০৮) উন্নয়ন এবং চরখালী-তুষখালী-মঠবাড়ীয়া-পাথরঘাটা (জেড-৮৭০১) সড়ক উন্নয়ন ও প্রশস্তকরণ প্রকল্পের কাজ। এর মধ্যে দুটি প্রকল্পের অগ্রগতি শূন্য আর দুটির ৫০ শতাংশের বেশি।
মিন্টু রঞ্জন দেবনাথ বলেন, পদাধিকার বলে আমি এই চার প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক হয়েছি। আমি এক মাস হয়েছে যোগদান করেছি। আমি প্রকল্পের দায়িত্ব নিতে চাইনি। সরকার আমাকে এই পদে পদায়ন করেছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (9)
Jakir Hossain ২৩ জানুয়ারি, ২০২১, ১২:৪৯ এএম says : 0
সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তর প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ উপেক্ষিত করার সাহস কোথা থেকে পায়।
Total Reply(0)
মোহাম্মদ মোশাররফ ২৩ জানুয়ারি, ২০২১, ১২:৫০ এএম says : 0
এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
Total Reply(0)
সাইফুল ইসলাম চঞ্চল ২৩ জানুয়ারি, ২০২১, ১২:৫০ এএম says : 0
একই প্রতিষ্ঠানকে একের অধিক কাজ দিলেই সাধারণ মানুষকে ভুগতে হবে।
Total Reply(0)
কামাল রাহী ২৩ জানুয়ারি, ২০২১, ১২:৫১ এএম says : 0
বাংলাদেশ থেকে দুর্নীতি তুলে দিতে পারলে এমনিতেই উন্নত হয়ে যেত....!
Total Reply(0)
হাসান মুনাব্বেহ সাআদ ২৩ জানুয়ারি, ২০২১, ১২:৫১ এএম says : 0
প্রধানমন্ত্রীর কাছে এই কর্মকর্তাদের শাস্তি দাবি করছি।
Total Reply(0)
হিমেল ২৩ জানুয়ারি, ২০২১, ১২:৫২ এএম says : 0
সব লুটেরার দল, লুটপাটের জন্য বসে আছে....
Total Reply(0)
হোসাইন এনায়েত ২৩ জানুয়ারি, ২০২১, ১২:৫৩ এএম says : 0
দেশে েএত প্রতিষ্ঠান থাকতে দুইটার কাছেই দশটা প্রকল্প কেন????
Total Reply(0)
সাকা চৌধুরী ২৩ জানুয়ারি, ২০২১, ১২:৫৪ এএম says : 0
হায়রে লুটেরা......বাংলাদেশের অভিশাপ
Total Reply(0)
md mujammel shiek ২৩ জানুয়ারি, ২০২১, ৭:১২ এএম says : 0
এদের কঠোর বিচার হোক
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন