শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

খুলে দেওয়া হলো মোহাম্মদপুরের উদয়াচল পার্ক

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৪ জানুয়ারি, ২০২১, ১২:০০ এএম

খেলাধুলা ও শরীরচর্চার জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মোহাম্মদপুর এলাকার উদয়াচল পার্ক। ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বেলুন উড়িয়ে এবং মাঠ প্রদক্ষিণের মধ্য দিয়ে মোহাম্মদপুরের ইকবাল রোডে অবস্থিত পার্কটি উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী।
এসময় মেয়র আতিক বলেন, এখন আর আমাদের মধ্যে সামাজিক বন্ধন নেই, পাড়া উৎসব দেখা যায় না। একটি ফ্ল্যাটের মধ্যে আমাদের বন্ধন সীমাবদ্ধ হয়ে যাচ্ছে। তবে এখন সময় এসেছে বন্ধন বাড়ানোর। এজন্য আমরা মাঠগুলো খুলে দিচ্ছি যেন উৎসব করা যায়। তিনি বলেন, আমাদের প্রজন্মই শেষ নয়। আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর ঢাকার শহর রেখে যেতে হবে। এজন্য ঢাকাকে দখলমুক্ত করতে হবে। আমরা ইতোমধ্যেই সেই কাজ শুরু করেছি। ঢাকার খাস জমি দখল মুক্ত করে সেখানে খেলার মাঠ করা হবে। যুব সমাজ যদি সংস্কৃতি এবং খেলাধুলার সঙ্গে থাকে তাহলে তারা মাদকের ভয়াল থাবা থেকে রক্ষা পাবে।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, আমরা ইতোমধ্যে ২৪টি মাঠ ও পার্কের কাজ হাতে নিয়েছি। এর মধ্যে ১৬টি পার্ক এবং ৮টি খেলার মাঠ। শুধু ক্রিকেট নয় ফুটবলের জন্যও মাঠ করা হয়েছে। মাঠের সঙ্গে জিমনেশিয়ামও করা হয়েছে। তবে এই মাঠগুলোতে যেনো পথশিশুরাও খেলতে পারে সেটাও সবাইকে নিশ্চিত করতে হবে। সবগুলো মাঠের কাজ শেষ হওয়ার পর আমরা সেগুলো বিসিবির কাছে হস্তান্তর করব। এসময় যেখানে সেখানে ময়লা ফেলা এবং খাল ও রাস্তা অবৈধ দখল করা থেকে বিরত থাকতে নগরবাসীর প্রতি আহবান জানান মেয়র আতিক।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শ্রী বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী ভাঙা ভাঙা বাংলায় বলেন, এই মাঠটিকে নতুন করে পার্কে উন্নীত করা হয়েছে। এটি একটি বড় অর্জন উত্তর সিটি করপোরেশনের। তবে নগরের উন্নয়নে প্রত্যেক নগরবাসীর পাবলিক ইনভলবমেন্ট দরকার। আমি ঢাকা উত্তরকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত সবসময় আছে। কিশোরগঞ্জ-৬ আসনের সংসদ সদস্য এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেন, এত প্রতিক‚লতার মাঝেও বাংলাদেশের ছেলেরা ক্রিকেটে অনেক ভালো করেছে। এমন কোনো দেশ নেই, যাকে বাংলাদেশ হারায় নাই। তবে এখন ঢাকা শহরে খেলার মাঠ কম। আমি আমার জীবনের ১১ বছর এই ইকবাল রোডের একটি বাসায় কাটিয়েছি। আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ সময় ছিল এটা। সেই রোডের একটি মাঠ আজ খুলে দেওয়া হচ্ছে। মোহাম্মদপুরের একটি ঐতিহ্যবাহী মাঠ।
অনুষ্ঠানে স্থপতি ইকবাল হাবিব বলেন, নগরায়নে খেলার মাঠ বা গণপরিসরের গুরুত্ব অপরিসীম। এই মাঠটি শুধু খেলা ও শরীরচর্চার জন্য। পাশাপাশি এটি একটি শিশুতোষ পার্ক। এটা বৃদ্ধ, শিশু, নারী, পুরুষ সকলের জন্য। মাঠটি শুধু সিটি কর্পোরেশনের নয়। এটা একটি কো-ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে পরিচালিত হবে। আমরা টাউন হলের মাঠটি উদ্ধারেও কাজ করে যাচ্ছি। সেখানকার দোকানগুলো উচ্ছেদ করে রাজধানীবাসীর জন্য আরেকটি গণপরিসর করা হবে। এসময় মেয়রসহ অতিথিরা বৃক্ষ রোপণ করেন। পরে বেলা সোয়া ১১টার দিকে ডিএনসিসি বনাম ভারতীয় হাই কমিশনের মধ্যে একটি প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ হাসান নূর ইসলাম রাষ্টন, সংরক্ষিত নারী আসনের কাউন্সিলর সাথী, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, ডিএনসিসির প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ এবং এই মাঠের প্রকল্প পরিচালক তারিক বিন ইউসুফ, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. আবদুল হামিদ মিয়া, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহ. আমিরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন