মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

বনের কাঠ পুড়ছে ইট ভাটায়

কক্সবাজার জেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ২৫ জানুয়ারি, ২০২১, ১২:০১ এএম

কক্সবাজার ও পার্শ্ববর্তী বান্দরবান জেলার ১১টি উপজেলায় অবৈধ ভাবে স্থাপিত ৯০টি ইট ভাটায় প্রতিমাসে পুড়ানো হচ্ছে কোটি টাকার কাঠ। সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে বিভিন্ন প্রজাতির মূল্যবান বৃক্ষরাজী কেটে একটি সংঘবদ্ধ কাঠপাচারকারী দল জ্বালানি কাঠ সরবরাহ দিচ্ছে। উপজেলাগুলো হচ্ছে চকরিয়া, পেকুয়া, কুতুবদিয়া, কক্সবাজার সদর, রামু, উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলাসহ কক্সবাজার সীমান্ত লাগোয়া বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ী, লামা এবং আলীকদম উপজেলার ৯০টি ইট ভাটায় পুড়ানো হচ্ছে কোটি টাকার কাঠ।
জানা গেছে, সংশ্লিষ্টদের ম্যানেজ করে চলছে প্রতিবছর অবৈধ ইটের ভাটায় পাহাড় কেটে মাটি আহরণ ও লাকড়ি পুড়িয়ে ইট তৈরি করা হয়। বিগত কয়েক বছরে উপজেলা পরিবেশ ও বন কমিটির সভায় ব্রিক ফিল্ডগুলোতে কাঠ পোড়ানোর বিরুদ্ধে কাগজে-কলমে প্রস্তাব পাশ হয়েছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, উপজেলার পূর্ব পালং পাড়া ও আমতলী এলাকায় ২টি ও তারাবুনিয়ায় ১টি ইটের ভাটা রয়েছে। এসব ইটের ভাটায় কোনদিনই কয়লা পুড়নো হয়নি। পুরো সিজন ধরে পোড়ানো হয় বনের লাকড়ি। সেক্ষেত্রে সরকারি বন ও প্রাকৃতিক সৃষ্ট বনের কাঠ নির্বিচারে কাটা হয়। পাহাড় কেটে লাকড়ি পরিবহনের রাস্তা তৈরি করা হয়। পাশাপাশি ব্রিকফিল্ড এলাকায় গ্রামীণ সড়কগুলোতে ভারী যানবাহন চলাচলের কারণে সারা বছরই সেসব রাস্তা ক্ষতবিক্ষত থাকে। ভারী যানবাহন চলাচলের ফলে রাস্তা, ব্রিজ ও কালভার্ট ভেঙে জনসাধারণের চলাচলে দুর্ভোগ চরমে উঠে। রাস্তাঘাট ধুলায় একাকার হয়ে চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়। ইটের ভাটায় অবৈধভাবে আহরিত লাকড়ির যোগান দিতে গত কয়েক বছর ধরে প্রতিষ্ঠা হয়েছে কথিত ক্ষুদ্র কাঠ ব্যবসায়ী সমিতি। এ সমিতির মাধ্যমে প্রতিমন লাকড়ি প্রতি নির্দিষ্ট হারে চাঁদা তোলা হয়। সে চাঁদার ভাগ যায় বিভিন্ন ঘাটে।
এ ব্যাপারে লামা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এস এম কাইচার বলেন, ইটভাটাগুলো নিয়ম মেনে লাইসেন্স নিলে সেক্ষেত্রে বন বিভাগের মতামতের প্রয়োজন আছে। আলীকদমের ইটভাটাগুলোর লাইসেন্স নেই। যদি সরকারি বনের কাছাকাছি হয়ে থাকে তবে সেসব ইটভাটায় অভিযান পরিচালনা করা হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন