বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

ফুলবাড়ীতে আমন ক্ষেত ফেটে চৌচির শ্যালো দিয়ে সেচ দেয়ার চেষ্টা

প্রকাশের সময় : ২৯ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

মহসিন আলী মন্জু, ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) থেকে

শনির দশা যেন কাটছে না ফুলবাড়ীর কৃষকের। বন্যায় ভেসে গেছে পুকুরের মাছ, মাচার ধান, হাঁস-মুরগি, গো-খাদ্য ও নষ্ট হয়ে গেছে বীজতলা। টানা ৭ থেকে ১০ দিনের বন্যায় আক্রান্ত হয়ে বসতবাড়ি, ভিটেমাটি ডুবে যায়। সহায়-সম্বলহীন হয়ে পড়ে মানুষগুলো। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর সবকিছু গুছিয়ে নেয়ার লড়াইয়ে নেমেছেন তারা। এরই মধ্যে গত ২০ থেকে ২৫ দিন যাবৎ বৃষ্টি না হওয়ায় আমন ধানের ক্ষেতের মাটি ফেটে চৌচির। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর আমন ধানের চারা লাগানো শেষ হতে না হতেই শুরু হয়েছে প্রচ- খরা। সকাল থেকে প্রচ- রোদে জীবন যেমন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে, তেমনি ভরা মৌসুমে আমনের ক্ষেত ফেটে চৌচির। আকাশে মেঘ দেখা গেলেও বৃষ্টির দেখা নেই। ডোবা-নালা এবং ফসলের মাঠ শুকিয়ে যাওয়ায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে মাছ ও মাছের উৎস। আগাছায় ভরে গেছে জমি। পানির অভাবে নিড়ানি ও সার দিতে পারছেন না কৃষকরা। আমনের ক্ষেত বাঁচিয়ে রাখতে জমিতে অসময়ে সেচ দিয়ে নিড়ানি ও সার দিতে হচ্ছে। এতে খরচ পড়ছে অনেক। বন্যায় ক্ষতিগস্ত অধিকাংশ কৃষক ধার-দেনা করে জমিতে চারা লাগিয়েছেন। এখন টাকার অভাবে জমিতে সেচ, নিড়ানি ও সার দিতে পারছেন না। এদিকে, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের পুনর্বাসন প্রক্রিয়া বিলম্বিত হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন অনেক কৃষক। বড়ভিটা গ্রামের কৃষক আমিনুল ইসলাম, নওদাবশ গ্রামের শাহ আলম আক্ষেপ করে বলেন, বন্যায় সবকিছু হারিয়ে ধার-দেনা করে জমিতে চারা লাগিয়েছি। এখন খরায় জমিতে সেচ ও নিড়ানি দেই কি দিয়ে? ক্ষতিগস্ত কৃষকদের বাঁচাতে সরকারের পুনর্বাসন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করা উচিত বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। ফুলবাড়ী উপজেলার কৃষি অফিসার মাহবুবুর রশিদ বলেন, ফুলবাড়ীতে প্রায় ১১ হাজার ২শ’ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ করা হয়েছে। খরার জন্য জমিতে সেচের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে, কয়েক দিনের মধ্যে বৃষ্টি নামতে পারে। কাঙ্খিত বৃষ্টি হলে এখনো ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন