বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

ক্ষতবিক্ষত গ্রামীণ সড়ক

ভোগান্তিতে পঞ্চগড়ের সাধারণ মানুষ

মো. সম্রাট হোসাইন, পঞ্চগড় থেকে | প্রকাশের সময় : ২৬ জানুয়ারি, ২০২১, ১২:০১ এএম

ক্ষতবিক্ষত পঞ্চগড়ের বিভিন্ন কাঁচা-পাকা সড়ক। ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে রিকশা-ভ্যান, অটো, সিএনজি, বাস ও ট্রাক। নিত্যদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা। সড়কের এই বেহাল দশার কারণে চরম দুর্ভোগে রয়েছেন স্থানীয়রাও। সামনে বর্ষা এর আগে সংস্কার করা না হলে কাদা জলে একাকার হয়ে যাবে। অভিযোগ রয়েছে, দাফতরিক কর্মকর্তাদের দায়সারা দায়িত্ব পালন আর সংস্কারে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করায় কাজ শেষ হওয়ার পরপরই পিচ ঢালাই ওঠে সৃষ্ট গর্তের কারণে চলাচল অনুপযোগী হয়ে উঠে। এমনই একটি পঞ্চগড়-ভাউলাগঞ্জ-দেবীগঞ্জ সড়ক। দীর্ঘ এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ভাঙা ও খানাখন্দে ভরা সড়কটি।
সরজমিনে দেখা যায়, সড়কের টুনিরহাট থেকে কালিয়াগঞ্জ পর্যন্ত ৮ কি.মি. সড়কের কিছু স্থানে খানাখন্দ থাকলেও সড়কের দু’পাশ দেবে গেছে। কালিয়াগঞ্জ থেকে দামরাদিঘী পর্যন্ত ৯ কি.মি. সড়ক ৫ কোটি ৯৬ লাখ টাকা ব্যয়ে এমএইচ করপোরেশন নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সংস্কার কাজ শুরু করার এক বছর পার হলেও শেষ হয়নি সংস্কার কাজ। যদিও গত বছরের আগস্টে কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। এখনও আড়াই কি.মি. সড়কের কাজ পরিত্যক্ত রয়েছে। বেহাল অবস্থা টোকরাভাসা থেকে দেবীগঞ্জ পর্যন্তও। জোরাতালি দিয়েই চলছে চলাচল ব্যবস্থা।
টোকরাভাসার অটোচালক মনির বলেন, সড়কের বেহাল অবস্থার কারণে খুব ধীরে যেতে হয়। এতে আধা ঘণ্টার রাস্তা পার হতে এক থেকে দেড় ঘণ্টা লেগে যায়। গোয়ালপাড়া এলাকার মোস্তফা জানান, সড়কটি সংস্কার না হওয়ায় স্থানীয় কৃষকের উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করতে গিয়েও ভোগান্তির শিকার হচ্ছে কৃষকরা।
টোকরাভাসা-দেবীগঞ্জ সড়কের বিষয়ে এলজিইডির দেবীগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী মমিনুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে আমরা প্রাক্কলনের কাজ শুরু করেছি।
এদিকে, সদর উপজেলার ব্যারিস্টার বাজার থেকে মিলন বাজার ৪ কিলোমিটার সড়ক এক কোটি ৮৮ লাখ টাকায় কাজ পান ঠাকুরগাঁও-এর ঠিকাদার বজলুর রহমান। গত ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে মেয়াদ শেষ হলেও বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত সময় বর্ধিত করা হয়। কিন্তু আরো ৬ মাস পার হলেও এখনো কাজ শেষ করতে পারেনি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, কাজের শুরুতে মিলন বাজার থেকে লাঠুয়াপাড়া পর্যন্ত সড়কে প্রায় ২ কিলোমিটার কাজ শেষ করে। কাজে অনিয়ম করায় কয়েক দিনে যেখানে সেখানে পিচ ঢালাই ওঠে আসতে থাকে। বাকি সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। অতিকষ্টে সড়ক দিয়ে চলাচল করছে হাজারো মানুষ। সড়কটি দ্রæত সংস্কার করার জোর দাবি জানিয়েছেন তারা।
পথচারী আবু বক্কর বলেন, জেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে ৮ থেকে ১০টি গ্রামের এটিই একমাত্র সড়ক। সড়কটির বেহালদশায় চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। শুকনো মৌসুমে সড়কে ধুলা-বালি ওড়ে। বর্ষা মৌসুমে সড়কের কোথাও থাকে হাঁটুপানি, নয়তো কাঁদায় একাকার হয়ে যায়। দীর্ঘদিন ধরে এ অবস্থাই চলছে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর পঞ্চগড়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শামছুজ্জামান জানান, দেবীগঞ্জ সড়কের যতটুকু ভেঙে গেছে তার প্রাক্কলন তৈরি আছে। বিশেষ বরাদ্দ আসলেই আমরা কাজ শুরু করবো। ব্যারিস্টার আমতলা সড়কটি আমরা ঠিকাদারকে চাপ দিচ্ছি যেন খুব তাড়াতাড়ি কাজ শেষ করে। ওই সড়কে ছোট একটি কালভার্ট ভেঙে নতুন করতে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। আমরা সড়ক খুঁড়ে নতুন ব্রিজ করার জন্য প্রস্তুত করতেছি। কে বা কারা বালু দিয়ে ভরাট করে দিচ্ছে। তারপরও আমরা কাজ শেষ করবো।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Jack+Ali ২৬ জানুয়ারি, ২০২১, ৪:৫২ পিএম says : 0
Our road is 100% better than Singapore and Canada... What a lie??? we the Bangladeshi people become Dumb, Deft and Blind.
Total Reply(0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন