নরসিংদী জেলা শহর ও মাধবদীর আবাসিক এলাকাসহ বিভিন্ন শিল্প ও বাণিজ্যিক এলাকায় তিতাস গ্যাসের ব্যাপক সঙ্কট দেখা দিয়েছে। হাজার হাজার আবাসিক, বাণিজ্যিক শিল্প গ্রাহক গ্যাসের অভাবে মারাত্মক দুর্ভোগের শিকার হয়েছে। আবাসিক সংযোগগুলোতে গ্যাস সরবরাহ না থাকায় হাজার হাজার পরিবারের রান্না বন্ধ হয়ে গেছে।
বাণিজ্যিক সংযোগগুলোতে গ্যাস না থাকায় ব্যবসা-বাণিজ্য অচল হয়ে পড়েছে। শিল্প কারখানাগুলোতে গ্যাস না থাকায় উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। সপ্তাহকাল পূর্বে আমানত শাহ নামে একটি কারখানায় গ্যাস সংযোগ দেয়ার পর সারা জেলায় গ্যাসের এই সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান গ্রাহকরা। জেলায় গ্যাসের চাপ আশঙ্কাজনকভাবে কমে গেছে। সকাল থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত আবাসিক সংযোগগুলোতে গ্যাস সরবরাহ একেবারেই কমে যাচ্ছে। দুপুর ২টার পর গ্যাসের চুলায় আগুন টিম টিম করে জ্বলছে।
অনেকে বলছেন, অবৈধ গ্যাস সংযোগ বৃদ্ধি পাওয়ায় গ্যাসের সরবরাহ দিন দিন দিন কমে যাচ্ছে। অধিকাংশ আবাসিক এলাকায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ রয়েছে। বাণিজ্যিক ও শিল্প গ্রাহকদের মধ্যেও অনেকে অবৈধ গ্যাস সংযোগ দিয়ে কাজ করছেন। যার ফলে জেলায় গত কয়েক বছর ধরে গ্যাসের চাপ অনেকটাই কমে গেছে। আগে আবাসিক সংযোগের চুলগুলো দাউ দাউ করে জ্বলতো। এখন জলে টিমটিম করে।
এ ব্যাপারে তিতাস গ্যাসের ম্যানেজারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, জাতীয়ভাবে গ্যাসের সরবরাহ কিছুটা কম এবং এরপর কিছু কারিগরি ত্রæটির কারণে দেশ ও সরবরাহ কমে গিয়েছিল। গত ২৪ ঘণ্টায় অবস্থার ৫০ ভাগ উন্নতি হয়েছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই সরবরাহ স্বাভাবিক পর্যায়ে চলে আসবে। তিনি জানান, নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে প্রচন্ড শীত পড়লে পাইপের ভিতর গ্যাস অনেকটা লিকুইড হয়ে যায়। যার কারণে সরবরাহ লাইনে গ্যাসের চাপ কমে যায়।
আর এটা স্বাভাবিক। তাপমাত্রা বাড়ার সাথে সাথে আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। অবৈধ সংযোগের কারণে দিন দিন গ্যাসের চাপ কমে যাচ্ছে এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, এ ধরনের কোনো অভিযোগ আসলে সাথে সাথেই সেসব অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেই।
এ পর্যন্ত বেশ কয়েকটি অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। অবৈধ সংযোগের কোন সুনির্দিষ্ট তথ্য জনগণ দিলে আমি অবশ্যই সাংবাদিকদের সাথে নিয়ে এসব অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেবো।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন