বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

ভ্যাকসিন প্রয়োগে আরো পরীক্ষা দরকার

রংপুরে মির্জা ফখরুল

রংপুর থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৬ জানুয়ারি, ২০২১, ১২:০০ এএম

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিভিন্ন কারণে সারা পৃথিবী জুড়ে এখনো মানুষের মধ্যে ভ্যাকসিন নিয়ে সন্দেহ সংশয় রয়েছে। শুধু তাই নয় উন্নত দেশগুলো থেকে কিছু নেগেটিভ প্রচারণার কারণেও এই ভীতি তৈরি হয়েছে। নতুন কোনো কিছু জিনিস যখন প্রয়োগ করা হয় তখন মানুষের মধ্যে একটা ভীতি থাকে। অনেক জায়গাতে ডাক্তাররাও কিন্তু বলছেন আমি এখন নিব না, তার মানে তারাও সংশয়ে রয়েছেন। এছাড়া বিশেষজ্ঞরাও বলছেন এই ভ্যাকসিন প্রয়োগে আরো বেশি পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে।
তিনি গতকাল সোমবার বিকেলে রংপুর সদরের পাগলাপীর এলাকাস্থ ‘ভিন্নজগত’-এ স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী পালনে রংপুর বিভাগীয় উদযাপন কমিটির প্রস্তুতিমূলক সভায় অংশ নিতে এসে সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এই পরিস্থিতিকে অতিক্রম করার জন্য এবং মানুষের মধ্যে আস্থা আনার জন্য অনেক দেশে প্রধানমন্ত্রীসহ রাষ্ট্র প্রধানগণ আগে করোনা টিকা গ্রহণ করছেন। বাংলাদেশেও মানুষের মধ্যে সংশয় রয়েছে। তাই জনগণের দুঃশ্চিন্তা ও বিভ্রান্তি দূর করতে প্রধানমন্ত্রীসহ অন্যান্য মন্ত্রী ও এমপিদের সবার আগে ভ্যাকসিন নেয়া প্রয়োজন।
করোনা মোকাবেলায় আওয়ামী লীগ সরকার আগেই ব্যর্থ হয়েছেন বলে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার করোনা থেকে মানুষকে বাঁচাতে অবশ্যই পরাজিত হয়েছে। পরীক্ষার নামে তারা ফলাফল প্রকাশ করেছে। করোনা টেস্ট এর নামে তারা বিভিন্ন জটিলতা করেছে। যা বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা এবং গণমাধ্যম এসেছিল। ভ্যাকসিন বিষয়েও তারা কিন্তু ছলচাতুরীর আশ্রয় নিচ্ছেন। তারা সুশৃঙ্খল অবস্থান তৈরি করতে পারছে না। কে ভ্যাকসিন পাবে কে পাবে না সে বিষয়েও কিন্তু এখন পর্যন্ত বিশ্বাসযোগ্য কোনো রোডম্যাপ তৈরি করতে পারেনি। মানুষকে বোঝাতে সক্ষম হয়নি। অথচ আমরা শুনছি বড় বড় ব্যবসায়ী, শিল্পপতি ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মালিকেরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভ্যাকসিন আগে পাবে। যারা বুদ্ধিজীবী, শিল্পী, সাহিত্যিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব তাদের জন্য কোনো অপশন রাখা হয়নি।
কুষ্টিয়ার হাইকোর্টে পুলিশ সুপারকে নিয়ে সতর্কমূলক বার্তা প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই তারা জনগণের উপর আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। ফলে তারা পুলিশ প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে ক্ষমতায় টিকে আছে। গতকাল আদালতের বিচারক কুষ্টিয়ার এসপিকে যে আদেশ দিয়েছন এজন্য আদালতকে ধন্যবাদ। এটাই সত্য পুলিশ তার দায়িত্ব থেকে সরে গেছে। এখন দেশ পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে আদালতের নির্দেশেই তা স্পষ্ট।
নির্বাচন কমিশনের কোনো আস্থা নেই উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, শুধু গণতান্ত্রিক দল বলে আমরা চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছি। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের উপর আমাদের কোনো আস্থা নেই। এটি একটি পক্ষপাত দুষ্ট একপাক্ষিক নির্বাচন কমিশন। আমরা বেশ কয়েকবার তাদের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছি। আমরা আশা করি সুষ্ঠু এবং সুন্দর ভাবে নির্বাচন হবে কিন্তু বাস্তবে তা হচ্ছে না।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু, দিনাজপুর পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাবেক এমপি বিলকিস ইসলাম, রংপুর মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সামসুজ্জামান সামু, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম মিজু, রংপুর জেলা বিএনপির সভাপতি সাইফুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক রইচ আহমেদসহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন