মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

তামাকের কর ফাঁকি রোধে প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি জরুরি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৬ জানুয়ারি, ২০২১, ৬:২৪ পিএম

তামাকের উপর কর বৃদ্ধিই তামাক নিয়ন্ত্রণে সর্বোৎকৃষ্ট কার্যকর উপায় হিসাবে বিবেচিত হয়। কিন্তু বাংলাদেশে প্রচলিত বর্তমান ক্রটিপূর্ণ কর ব্যবস্থা তামাক কোম্পানিকে কর ফাঁকির সুযোগ তৈরি করছে। তামাকের কর ব্যবস্থা আধুনিকায় করা হলে দেশে তামাক থেকে রাজস্ব আদায় কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাবে। এক্ষেত্রে কর ফাঁকি রোধে ট্রাকিং, মনিটরিং পদ্ধতি ডিজিটালাইলেশন করা জরুরি। মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট, বাংলাদেশ নেটওর্য়াক ফর ট্যোবাকে ট্যাক্স পলিসি এবং ট্যোবাকো কন্টোল এন্ড রির্সাচ সেলের যৌথ আয়োজনে ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের সভাকক্ষে তামাক কোম্পানির কর ফাঁকি রোধে করণীয় বিষয়ক মতবিনিময় সভায় বক্তরা এই দাবী করেন।

ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট ও বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের সমন্বয়ক সাইফুদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ড. নাসিরুদ্দীন আহমেদ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক সদস্য আমিনুর রহমান, প্রত্যাশা মাদক বিরোধী সংগঠনের সাধারন সম্পাদক হেলাল আহমেদ, তামাক নিয়ন্ত্রন গবেষক সুশান্ত সিনহা। ‘তামাক কর ফাঁকি রোধে আধুনিকায়ন’ বিষয়ক প্রবন্ধ উপস্থাপনায় তামাক কর আদায়ে প্রচলিত নিয়মের পরিবর্তে ডিজিটালাইলেশনের প্রয়োজনীয়তা বিষয়ে গবেষণাপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্টের প্রকল্প অফিসার মিঠুন বৈদ্য।

মিঠুন বৈদ্য তার প্রবন্ধে উল্লেখ করেন, বর্তমানে তামাকজাত পণ্যের উপর আরোপিত শুল্ক পদ্ধতিটি হলো এড ভ্যালোরেম কর পদ্ধতি। যা ত্রুটিযুক্ত এবং তামাক কোম্পানিকে কর ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ দেয়। এছাড়া বর্তমানে প্রচলিত ৪ টি মূল্যস্তরের কারনে কর আদায় পদ্ধতিটি আরো জটিল হয়ে যায়। তামাক কর আদায়ের অন্যতম মাধ্যম হলো ব্যান্ডরোল। অথচ এই ব্যান্ডরোল নকল করে তামাক কোম্পানিগুলো বড় অংকের কর ফাঁকি দিচ্ছে। এটিকে ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে যাচাইয়ের ব্যবস্থা করা গেলে রাজস্ব ফাঁকি রোধ করা সম্ভব। এছাড়া নির্ভরযোগ্য বারকোড, হলোগ্রাম, স্ট্যান্ডার্ড প্যাকেজিংয়ের ব্যবহারে রাজস্ব ফাঁকি রোধ করা সম্ভব। এছাড়া তামাক কোম্পানিতে সরকারের শেয়ার ও তামাক কোম্পানি কর্তৃক বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমের মাধ্যমে কর ব্যবস্থায় প্রভাব বিস্তার করছে।

ড. নাসিরুদ্দীন আহমেদ বলেন, তামাকের উপর কর আদায়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। তামাকের কর ব্যবস্থায় ডিজিটালাইজেশনের বিকল্প নেই। ডিজিটালাইজেশন সরকারের রাজস্ব খাতকে শক্তিশালী করবে। তামাক নিয়ন্ত্রণ ও কর বৃদ্ধির ক্ষেত্রে কোম্পানির হস্তক্ষেপ রয়েছে।

সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, শুল্ক বৃদ্ধি না করে তামাকের মতো ক্ষতিকর পণ্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। তামাকের উপর শুধু কর বৃদ্ধিই যথেষ্ট নয় বরং কর আদায়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন অধিক জরুরী। পাশাপাশি সমস্যা সমাধানে সুনির্দিষ্ট কর কাঠামো প্রণয়ন, তামাকের বাজার পর্যবেক্ষণ ও রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকা বাধ্যতামূলক।

উক্ত সভায় বিএনটিটিপি, টিসিআরসি, বিইআর, ইন্সিটিউট অফ ওয়েলবিইং, দিশারী মহিলা কল্যান সমিতি, সুজন, বাচতে শিখো নারী, বিআরডিএস ইত্যাদি সংগঠনের একাধিক প্রতিনিধিগন উপস্থিত ছিলেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন