প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের কারণে এক বছর পিছিয়ে টোকিও অলিম্পিক গেমস চলতি বছর আয়োজন করার ঘোষণা দিয়েছিল আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি (আইওসি)। তাদের ঘোষণা মতে আগামী জুলাই-আগস্টে আয়োজন করা হবে অলিম্পিক গেমসের। তবে করোনার প্রভাব এখনো কমেনি। বরং বলা যায় গত বছরের তুলনায় ক্ষেত্রবিশেষে কিছুটা শক্তিশালী হয়ে বিরাজ করছে এ ভাইরাস। তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে আইওসি’র নির্ধারিত তারিখে টোকিও বিশ্ব ক্রীড়ার বৃহৎ আসরের আয়োজন করতে পারবে কি না, তা এখন চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তবে আইওসিকে স্বস্তি এনে দিতে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার প্রধান অর্থনৈতিক কর্মকর্তা জিমি প্যাট্রনিস একটি ঘোষণা দিলেন। তিনি আইওসির কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। যে চিঠিতে প্যাট্রনিস লিখেছেন, ‘ অলিম্পিক গেমস আয়োজন করতে টোকিও অক্ষম হলে, আমরা তা আয়োজন করতে চাই।’ স¤প্রতি এক জরিপে জানা যায়, ৮০ ভাগ জাপানিই চান না অলিম্পিক গেমসের আসর তাদের দেশে বসুক। কারণ, জাপানে নতুন করে করোনাভাইরাসের প্রকোপ মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। যে কারণে জাপানী প্রধানমন্ত্রী ইয়োসিহিদে সুগা জরুরি অবস্থা জারি করতে বাধ্য হয়েছেন।
তবে আইওসি’র এক মুখপাত্র মিডিয়াকে বলেছেন, ‘যেভাবেই হোক আমরা পুরোপুরি প্রস্তুত আছি এবং আমার বিশ্বাস আয়োজক শহর টোকিও’ও প্রস্তুত। আমাদের আয়োজক পার্টনার জাপানের সঙ্গে আমরা এ নিয়ে পুরোপুরি মনযোগী এবং সর্বশক্তি ব্যায় করে চেষ্টা করছি সময় মতই অলিম্পিক গেমস আয়োজন করার।’ ফ্লোরিডার প্রধান অর্থনৈতিক কর্মকর্তা প্যাট্রনিস তার চিঠিতে কারণ ব্যাখ্যা করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘স¤প্রতি বিভিন্ন মিডিয়া রিপোর্টের মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি, করোনাভাইরাসের প্রকোপে জাপান আবারও জরুরি অবস্থা জারি করছে এবং এই মহামারি নিয়ে তারা খুব দুশ্চিন্তাগ্রস্থ।’
তার চিঠিতে প্যাট্রনিস আইওসিকে জানিয়েছেন, তারা যেভাবে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে ফ্লোরিডয়ায় ট্যুরিজম চালু রেখেছে, ট্যুরিস্ট ম্যানেজ করছে, ঠিক সেভাবে অলিম্পিকের মত মেগা স্পোর্টস ইভেন্টও তারা নিরাপদে আয়োজন করতে সক্ষম।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন