শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

ট্র্যাক্টর র‌্যালি ঘিরে রক্তাক্ত দিল্লি : নিহত ১

কৃষকদের দখলে লালকেল্লা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৭ জানুয়ারি, ২০২১, ১২:০২ এএম

মোদি সরকারের জারি করা বিতর্কিত ৩ কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে প্রজাতন্ত্র দিবসে কৃষকদের ট্র্যাক্টর র‌্যালিকে কেন্দ্র করে রক্তাক্ত হলো দিল্লির রাজপথ। গতকাল সেখানে পুলিশের সাথে সংঘর্ষে বিক্ষোভস্থলে নিহত হয়েছেন এক ব্যক্তি।
ট্র্যাক্টর র‌্যালির আগে দিল্লির সিংঘু সীমানায় পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙার অভিযোগ ওঠে বিক্ষোভরত কৃষকদের বিরুদ্ধে। পাল্টা লাঠিচার্জ করে পুলিশ। পরিস্থিতি সামলাতে কাঁদানে গ্যাসের শেলও ফাটায় পুলিশ। সেন্ট্রাল দিল্লির আইটিও-তে পুলিশের বাস ভাঙচুরেরও অভিযোগ উঠেছে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে। এদিন প্রতিবাদের সুর চড়ান কৃষকরা। পুলিশি বাধা পেরিয়ে লালকেল্লায় ঢুকে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। লালকেল্লার মাথায় পতাকা লাগিয়ে দেন আন্দোলনরত কৃষকরা।

উল্লেখ্য, কেন্দ্রের তিন বিতর্কিত কৃষি আইনের প্রতিবাদে গতকাল দিল্লিতে ট্র্যাক্টর র‌্যালির ডাক দিয়েছেন ভারতের কৃষকরা। টালবাহানার পর শেষমেশ কৃষকদের র‌্যালির অনুমতি দিয়েছিল দিল্লি পুলিশ। তবে র‌্যালি রুখতে মঙ্গলবার রাস্তায় বসে পড়েন মহিলা পুলিশ কর্মকর্তারা। কৃষকদের বিক্ষোভের জেরে দিল্লিতে বেশ কয়েকটি মেট্রো স্টেশনের গেট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সিংঘু, গাজিপুর, টিকরি, মুকার্বা চক, নাঙ্গলোই এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করা হয়েছে। পাশাপাশি যমুনা এক্সপ্রেসওয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়।

এদিকে, দিল্লির পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। বৈঠকে যোগ ছিলেন দিল্লির পুলিশ কমিশনার, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব। অন্যদিকে, কৃষক আন্দোলনকে ব্যবহার করার জন্য পাকিস্তান উঠে পড়ে লেগেছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে দিল্লি পুলিশ। কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর আবার আন্দোলন-জটের নেপথ্যে ‘অদৃশ্য শক্তির’ উল্লেখ করেন। পাশাপাশি কৃষকদের ট্র্যাক্টর মিছিলকে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খলা ঘটানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছিল অমিত শাহের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ দিল্লি পুলিশ।

দিল্লি পুলিশ জানিয়েছিল, গোয়েন্দা সূত্রে খবর রয়েছে পাকিস্তান থেকে ৩০০-র বেশি টুইটার হ্যান্ডল খোলা হয়েছে শুধুমাত্র ভারতে প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে বিশৃঙ্খলা তৈরির জন্য। জানুয়ারির ১৩ থেকে ১৮ তারিখের মধ্যে ওই অ্যাকাউন্টগুলি খোলা হয়েছে বলে দাবি। পাকিস্তান থেকে যে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে, সে বিষয়ে কৃষকদের জানানো হয়েছিল। দিল্লি পুলিশের বিশেষ কমিশনার দীপক পাঠক বলেছিলেন, ‘বিশৃঙ্খলা তৈরির জন্য বহু অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। কৃষকরা যেন সতর্ক থাকেন।’

এদিন টুইটারে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী লিখেছেন, হিংসা কোনও সমস্যার সমাধান নয়। একইসঙ্গে তিন কৃষি আইন বাতিলের জন্য কেন্দ্রের কাছে অনুরোধ করেছেন সাবেক কংগ্রেস সভাপতি। প্রসঙ্গত, তিন কৃষি আইনের প্রতিবাদে দিল্লি সীমানা লাগোয়া এলাকায় আন্দোলনে সামিল হয়েছেন দেশের কৃষকরা। ১১ বার কৃষক নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসে সরকার পক্ষ। কিন্তু, কোনও রফাসূত্র মেলেনি। কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে ধর্মঘট পালন করেন কৃষকরা। সেই সঙ্গে ৩২টি কৃষক ইউনিয়নের প্রধানরা অনশনে বসেন। সূত্র : টিওআই।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন