বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

জন কেরি আসছেন আজ গুরুত্ব পাবে সন্ত্রাসবাদ গণতন্ত্র মানবাধিকার

প্রকাশের সময় : ২৯ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১১:৩৯ পিএম, ২৮ আগস্ট, ২০১৬

আহমদ আতিক : ঝটিকা সফরে ঢাকা আসছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি। এ সফরকে ঘিরে শেষ মুহূর্তের প্রস্ততিতে ব্যস্ত সরকার। তবে এ সফরে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ফেরতের বিষয়টি গুরুত্ব পাবে বাংলাদেশের তরফে। যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট সূত্রে জানা গেছে আলোচনায় তারা সন্ত্রাসবাদ, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারকে গুরুত্ব দেবে। অব্যাহত সন্ত্রাসবাদের হুমকির মুখে বাংলাদেশে তার এই সফরকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন দুই দেশের রাজনীতি বিশ্লেষকরা। এছাড়াও থাকছে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের খুঁটিনাটি নানা বিষয়। গুরুত্ব পাবে নাগরিক অধিকার, বিশেষত বাকস্বাধীনতা ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতার মতো বিষয়।
চলতি সফরে কর্মকর্তা পর্যায়ের আলোচনা ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলীর সাথে আনুষ্ঠানিক বৈঠকের কথা রয়েছে। এছাড়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গেও জন কেরির বৈঠক হতে পারে বলে বিএনপি সূত্রে জানা গেছে। বৈঠককালে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং অংশগ্রহণমূলক, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের বিষয়টি গুরুত্ব পাবে বলে জানা গেছে। সেই সাথে ব্যবসায়ী এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সাথেও কেরির বৈঠকের কথা রয়েছে। মার্কিন বিমানবাহিনীর বিশেষ বিমানে এক সংক্ষিপ্ত সফরে জেনেভা থেকে ঢাকায় আসছেন। বিকেলেই তিনি ঢাকা থেকে সরাসরি দিল্লী যাবেন। বাংলাদেশের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন ভারতীয় সরকারের কর্তা ব্যক্তিদের সাথেও।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ-উগ্রপন্থার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ লড়াই চালাচ্ছে। ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বিএনপি বয়কট করেছিল। আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে তাই এখন থেকেই কথাবার্তা হচ্ছে। এসব ক্ষেত্রে দেশি-বিদেশি নানা প্রয়াস লক্ষ্য করা যাচ্ছে। গুলশান হামলার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার পক্ষ থেকে ফোন করেছিলেন জন কেরি। তখন তিনি প্রধানমন্ত্রীকে সব ধরনের সহায়তার প্রস্তাব দেন। এসব প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করতে সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশা দেশাই বিসওয়ালসহ একাধিক প্রতিনিধি দলকে ঢাকায় পাঠিয়েছেন জন কেরি। বাংলাদেশ বলেছে ‘প্রয়োজনের নিরিখে’ যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা নেয়া হবে। কূটনৈতিক মহলে আলোচনা চলছে, সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত ত্রিদেশীয় উদ্যোগ হতে পারে। কেরির সফরে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক কোন দিকে যায় সেটা দেখার বিষয়।
জন কেরির সফরে আলোচ্যসূচী কী হবে এ বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী সাংবাদিকদের বলেন, গুরুত্বপূর্ণ এই সফরে দ্বিপক্ষীয় স্বার্থ সংশ্লিষ্ট সব বিষয় নিয়েই আলোচনা হবে। অন্যদিকে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক এলিজাবেথ ট্রুডো এক বিবৃতিতে বলেছেন, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার দীর্ঘমেয়াদী ও বিস্তৃত সম্পর্ক আরো জোরদার করতেই জন কেরি এই সফর করছেন। সফরকালে বিভিন্ন বৈশ্বিক বিষয়ে দুই দেশের ক্রমবর্ধমান সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হবে। আলোচনায় গণতন্ত্র, উন্নয়ন, নিরাপত্তা এবং মানবাধিকার নিয়ে আলোচনা হবে বলে বিবৃতিতে জানান এলিজাবেথ।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফর নিয়ে সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবির বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বাংলাদেশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ কারণেই জন কেরি বাংলাদেশে আসছেন। তার সফরে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক পর্যালোচনা এবং বর্তমান ও ভবিষ্যৎ দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার আরো ক্ষেত্র অনুসন্ধানের সুযোগ বাড়বে।
ঢাকাস্থ মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট গতকাল বলেছেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির সফরের সময় জঙ্গিবাদ দমনে দেশটির পক্ষ থেকে নতুন প্রস্তাব থাকবে। সহযোগিতার চলমান ক্ষেত্রগুলোর পাশাপাশি সন্ত্রাসবাদ দমনেও বাংলাদেশের পাশে আছে যুক্তরাষ্ট্র। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এই সফর একটি সুযোগ এনে দিয়েছে। সফরের সময় কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা হবে। তবে কর্মসূচি বা প্রস্তাবের বিস্তারিত তিনি উল্লেখ করেননি।
এদিকে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ গতকাল বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে থাকা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনিদের আনুষ্ঠানিকভাবে ফেরত চাইবে বাংলাদেশ। আলোচনায় বিষয়টি গুরুত্ব পাবে। মন্ত্রী বলেন, বৈঠকে নিরাপত্তা, উন্নয়ন ও বাণিজ্য ইস্যু নিয়ে আলোচনা হবে। বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুরী ও মোসলেহ উদ্দীনকে ফিরিয়ে দিতে অনুরোধ জানানো হবে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের অগ্রাধিকারমূলক বিশেষ বাণিজ্য সুবিধা-জিএসপি নিয়েও আলোচনা হবে বলে জানান তোফায়েল। আইনমন্ত্রী আনিসুল হকও জানিয়েছেন, জন কেরির ঢাকা সফরে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে আলোচনা হবে।
যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবিরও বলেন, এটি বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের দাবি এবং রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত দিলে অবশ্যই দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
জন কেরি অনেকটা হুট করেই এক দিনের ঝটিকা সফরে বাংলাদেশে আসলেও বিশ্লেষকরা বলছেন, ঢাকার রাজনীতিতে এ সফর তেমন কোনো প্রভাব ফেলবে না। তবে, সাবেক এক কূটনীতিকের মতে, আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতায় এর গুরুত্ব রয়েছে। মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশা দেসাই চলতি বছরে দ্বিতীয় মেয়াদে তার ঢাকা সফরকালে সাংবাদিকদের কাছে সন্ত্রাসবাদ দমনে বাংলাদেশের সঙ্গে এক সাথে কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন। তার ধারাবাহিকতায় সাম্প্রতিক সন্ত্রাসি হামলা ইস্যুতে ঢাকার মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট একাধিক বৈঠক করেছে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে। সেই সাথে দূতাবাসের সার্বিক নিরাপত্তায় নিজস্ব ব্যবস্থার প্রস্তাব দিয়েছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে। তাই স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন জাগে জন কেরির সফরে কতটা গুরুত্ব পাবে বিষয়গুলো? আর এর প্রভাবই কতটা পরবে এদেশের রাজনীতিতে?
প্রবীণ রাজনীতিবিদ হায়দার আকবর খান রনো মনে করছেন, বর্তমান প্রেক্ষাপট বিবেচনায় কোনও গুরুত্বই বহন করছে না কেরির এই সফর। আর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরকে ইতিবাচক হিসেবে দেখলেও আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য নূহ-উল-আলম লেনিনের দাবি, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে নাক গলাবেন না কেরি।
তবে, বাংলাদেশের ভৌগলিক অবস্থান ও দুদেশের মধ্যকার সম্পর্কের সার্বিক অগ্রগতিতে প্রস্তাব যাই হোক না কেন, জন কেরির এই সফরকে বাংলাদেশ কিভাবে নিচ্ছে তাই আসল কথা, এমন মত বিশেজ্ঞদের।
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ক মজবুত, নিরাপত্তা, গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা হবে এই সফরে। তবে দুদেশের সম্পর্কের বিবরণীতে ওয়াশিংটন জানিয়েছে সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলা, জলবায়ু পরিবর্তন, খাদ্য নিরাপত্তাসহ বৈশ্বিক বিভিন্ন ইস্যুতে বাংলাদেশের সাথে কাজ করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। এতে বলা হয়, গেল দুই দশকে নানামুখী চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও অসাধারণ অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও দারিদ্র্য বিমোচনে সফল হয়েছে বাংলাদেশ। মধ্যপন্থী, সহনশীল ও গণতান্ত্রিক দেশটিতে আগামীতে ব্যবসা-বাণিজ্যের আরো বিকাশ হবে। এ জন্য গণমাধ্যম ও সব রাজনৈতিক দলের স্বাধীন মত চর্চার পরিবেশ অব্যাহত রাখতে হবে।
ওয়াশিংটনে গত শুক্রবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের সিনিয়র মুখপাত্র এক ব্রিফিংয়ে বলেন, নিরাপত্তা সহযোগিতার ক্ষেত্রে আর কী কী করা যায়, সে বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে নিবিড় আলোচনা চলছে। সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলার মুখে বিমান চলাচলে নিরাপত্তা, তথ্য-প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতার ব্যাপারে দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করছে। চিহ্নিত এসব ক্ষেত্রের বাইরে আরও কী করা যেতে পারে, তা নিয়ে জন কেরি বাংলাদেশের নেতাদের সঙ্গে আলোচনার সুযোগ নেবেন। তবে নিরাপত্তা সহযোগিতার ক্ষেত্রে নতুন কোনো চুক্তির সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন ওই মুখপাত্র।
মুখপাত্রের মতে, সন্ত্রাসবাদ একটি বৈশ্বিক সমস্যা, কোনো দেশের পক্ষে একা তা মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। আইএস ও আল-কায়েদার মতো সন্ত্রাসী সংগঠনকে মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্র যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে, তারা তা বাংলাদেশের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিতে আগ্রহী। সন্ত্রাসী তৎপরতা মোকাবিলার নামে যেন গণতান্ত্রিক মূল্যবোধগুলো কোনোভাবেই বাধাগ্রস্ত না হয়, বাংলাদেশ সফরে জন কেরি এ বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দেবেন। নাগরিক অধিকার, বিশেষত বাকস্বাধীনতা ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর যুক্তরাষ্ট্র যে গুরুত্ব দিচ্ছে, সেটি তিনি জোর দিয়ে উল্লেখ করেন।
জানা গেছে, জঙ্গি দমনে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতার জন্য একটি প্যাকেজ প্রস্তাব দিতে পারে বাংলাদেশ। এ প্যাকেজের আওতায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য প্রশিক্ষণ, জিসার্ফসহ বিভিন্ন তহবিল থেকে সহায়তা, সাইবার ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জঙ্গিবাদ প্রসার ঠেকাতে কারিগরি সহায়তা, ডিএনএ পরীক্ষার সরঞ্জামসহ বিভিন্ন চাহিদা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। স্বল্পোন্নত অপরাপর দেশের মতো বাংলাদেশও যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বাণিজ্য সুবিধা চাইবে।
কূটনীতিকরা বলছেন, ঢাকা ও ওয়াশিংটনের মধ্যে কূটনীতিক ও আমলা পর্যায়ে বেশ ভালো যোগাযোগ আছে। কিন্তু নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. ইউনূসকে ঘিরে রাজনৈতিক পর্যায়ে একটা অবিশ্বাসের ভাব আছে এই দুই দেশের মধ্যে। এ কারণে ২০১২ সালে হিলারি ক্লিনটনের বাংলাদেশ সফরের পর আর কোনো মার্কিন রাজনীতিবিদ বাংলাদেশ সফর করেননি। এখন জন কেরির মতো শীর্ষস্থানীয় রাজনৈতিক নেতার বাংলাদেশ সফরের ফলে রাজনৈতিক পর্যায়ে একটা আস্থা ফিরে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পরিকল্পনামন্ত্রী আ.হ.ম মুস্তাফা কামাল জানিয়েছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জ্বালানি খাতে বিশেষ করে এলএনজি টার্মিনালে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। তারা সোনাদিয়া গভীর সমুদ্রবন্দরেও বিনিয়োগ করতে চায়।
কেরির সফরসূচী
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, জন কেরি মার্কিন বিমানবাহিনীর একটি বিমানে করে সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পৌঁছবেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ মন্ত্রণালয় ও ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাকে বিমানবন্দরে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানাবেন। সেখান থেকে ধানমন্ডিতে সকাল সাড়ে ১১টায় বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শনে যাবেন। দুপুর ১২টায় তিনি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। এরপর দুপুর ১টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলীর সঙ্গে তাঁর দ্বিপক্ষীয় বৈঠক ও মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেয়ার কথা। বিকেল ৩টায় জন কেরি মিরপুরে একটি পোশাক শিল্প-কারখানা পরিদর্শন করবেন এবং বিকেল ৪টায় ইএমকে সেন্টারে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। বিকেল ৫টায় মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বাসভবন এবং চ্যান্সেরী কমপ্লেক্স পরিদর্শনে যাবেন। এরপর বিকেল ৬টা ২৫ মিনিটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পৌঁছবেন। ৬টা ৪০ মিনিটে তাকে নিয়ে মার্কিন বিমানবাহিনীর বিমানটি দিল্লীর উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবে। বিমানবন্দরে তাকে বিমায় জানাবেন পররাষ্ট্রসচিব।
এদিকে ঢাকা সফরে সফরে নিরাপত্তার দিক দেখভাল করতে গত রোববার রাতে ১০ সদস্যের এক মার্কিন দল ঢাকায় এসেছে। তাদের মধ্যে তিনজন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ রয়েছেন। ঢাকা সফরের সময় সম্ভাব্য যে জায়গাগুলোতে জন কেরির যাওয়ার কথা রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ওই প্রতিনিধিদলটি গতকালও সেই জায়গাগুলোতে গেছে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও পররাষ্ট্র দপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করেছেন। তারা রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবনসহ কর্মসূচি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ভেন্যু পরিদর্শন করেন। সেখানকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। এদিকে জন কেরির ঢাকা সফর উপলক্ষে নিñিদ্র নিরাপত্তা বেষ্টনী গড়ে তোলা হবে বলে সরকারী তরফে জানা গেছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী চলাচল করবেন- এমন পথগুলোতে সাধারণ যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে ‘স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স’ (এসএসএফ)।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (5)
জামাল ২৯ আগস্ট, ২০১৬, ১১:৪৯ এএম says : 0
বাংলাদেশে আপনাকে সু স্বাগতম
Total Reply(0)
Bulbul Ahmad ২৯ আগস্ট, ২০১৬, ১২:৫৭ পিএম says : 0
amader somossa amader ke e somadhan korte hobe
Total Reply(0)
জার্জিস ২৯ আগস্ট, ২০১৬, ১:০৫ পিএম says : 0
সফরসূটিতে তো কোন সময় ফাঁকা নেই, বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠক হবে কখন ?
Total Reply(0)
রবিউল ২৯ আগস্ট, ২০১৬, ১:০৮ পিএম says : 0
কত জনই এলো গেলে কত জনই আসবে ..........................
Total Reply(0)
হুমায়ন কবির ২৯ আগস্ট, ২০১৬, ১:১১ পিএম says : 0
গণতন্ত্র আর মানবাধিকার নিয়ে কথা বলে কি কোন লাভ আছে ?
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন