শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

রাজধানীতে নারী আশ্রয়দাতাসহ ২৪ ছিনতাইকারী গ্রেফতার

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৮ জানুয়ারি, ২০২১, ১২:০০ এএম

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে কোহিনুর বেগম ওরফে মালা নামে ছিনতাইকারীদের এক মহিলা আশ্রয়দাতাসহ ২৪ ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কমিশনের বিনিময়ে গ্রেফতারকৃত ডাকাত ও ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যদের আদালত থেকে ছাড়িয়ে নিতেন তাদের মূলহোতা মালা। তিনি বিভিন্ন সময়ে তার মানিকনগরের ভাড়া বাসায় ডাকাত ও ছিনতাইকারীদের আশ্রয়ও দিতেন। গতকাল বুধবার ডিএমপি (ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মো. মাহবুব আলম সাংবাদিকদের এ সব তথ্য জানান।
তিনি আরো জানান, গ্রেফতার মালা রাজধানীর মুগদা এলাকায় একটি বাসা ভাড়া করে থাকতেন। তিনি রাজধানীর ডাকাত দলের সর্দার। মালার বাসায় বিভিন্ন ডাকাত ও ছিনতাইকারী ছিনতাই শেষে আশ্রয় নিত। তার বাসায়ই ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের বিভিন্ন মালামাল ভাগ-বাটোয়ারা হয়। এমনকি কোনো ডাকাত কিংবা ছিনতাইকারী গ্রেফতার হলে এই মালাই আদালত থেকে ছাড়িয়ে আনতে টাকা-পয়সা খরচ করে তদবির করে।
ডাকাতির প্রস্তুতিকালে মালাসহ ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা রমনা বিভাগ। গত মঙ্গলবার ২৬ জানুয়ারি মুগদা থানা এলাকা থেকে বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলো- কোহিনুর বেগম ওরফে মালা (আশ্রয়দাতা), রাসেল মাহমুদ, মো. মাসুদ মিয়া, শামীম, মো.আমিনুল ইসলাম হৃদয়, পারভেজ, শহিদুল, বাবু ওরফে বেডø বাবু ও মো. জয় মিয়া। এসময় তাদের কাছ থেকে একটি চাপাতি ও দুইটি ছোরা, অজ্ঞান করার ৫টি স্প্রে, ৪টি মোস্তফা গুল, ৪টি জাম-বাগ মলম, ৪টি পাগলা মলম ও জিপারে ৩ প্যাকেটে মরিচের গুড়া জব্দ করা হয়।
তিনি বলেন, মালার নামে একাধিক ছিনতাইয়ের মামলা রয়েছে। এমনকি শাহবাগে ডাকাতির পর হত্যার ঘটনাতেও মালার নাম উঠে আসে। মালা ও তার স্বামী দীর্ঘদিন ধরে ডাকাত দলের পৃষ্ঠপোষকতা করে আসছিল। তারা ডাকাত দলের কোনো সদস্য কখনও গ্রেফতার হলে বা কোনো বিপদে পড়লে তাদের জামিন করার ব্যবস্থাসহ সব ধরনের সহযোগিতা করে থাকে। তাদের এই সহযোগিতার জন্য তারা লুট করা মালামালের একটি বড় অংশের ভাগ নেয়।
ডাকাতির ঘটনায় প্রভাবশালীরা ডাকাতদের পৃষ্ঠপোষকতা করতো কি না এবং তারা আইনের আওতায় আসবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে ডিবি কর্মকর্তা বলেন, ডাকাতদের প্রভাবশালী কেউ পৃষ্ঠপোষকতা করতো না। তবে কয়েকজনকে পেয়েছি যারা তাদেরকে বিভিন্নভাবে সহয়তা করত। তাদেরকে আমরা আইনের আওতায় আনবো।
তিনি আরো প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, ঢাকা শহরের বিভিন্ন মার্কেট- শপিংমল, বাসস্ট্যান্ড, সদরঘাট ও রেলস্টেশন এলাকায় ব্যক্তিদের টার্গেট করত তারা। টার্গেটকৃত ব্যক্তি যখন বাসে উঠতে যায় তখন তারা সুযোগ বুঝে কৌশলে তাদের চোখেমুখে মলম বা স্প্রে দিয়ে অজ্ঞান করে তাদের সঙ্গে থাকা সবকিছু নিয়ে যায়। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন