বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

চসিক নির্বাচনে নজিরবিহীন ভোট ডাকাতি ও সন্ত্রাস হয়েছে

সাংবাদিকদের রিজভী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৮ জানুয়ারি, ২০২১, ১২:০০ এএম

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) নির্বাচনে নজিরবিহীন ভোট ডাকাতি ও সন্ত্রাস হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী

তিনি বলেন, এ নির্বাচন চূড়ান্ত পর্যায়ের তামাশা, প্রহসনের নির্বাচন। এ সরকারের সময়ে সুষ্ঠু নির্বাচন অচেনা হয়ে যাবে। গতকাল বুধবার দুপুরে ঢাকার নির্বাচন ভবনে গিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বরাবরে এক গুচ্ছ লিখিত অভিযোগ দিয়ে সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন তিনি। প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে (সিইসি) সুষ্ঠু নির্বাচন ও গণতন্ত্র হত্যাকারী ঘাতক আখ্যায়িত করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, এদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন ও গণতন্ত্রকে হত্যাকারী ঘাতক হচ্ছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। হুকুমের আসামি সরকার প্রধান।

তিনি বলেন, চসিক নির্বাচনে সকাল থেকে সহিংসতা শুরু হয়। নির্বাচনী সহিংসতায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এতে প্রায় অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছে। ভোটাররা যাতে ভোট কেন্দ্রে যেতে না পারে, তাদের বাধা দেয়া হয়েছে। পুলিশের কাছে বিএনপি প্রার্থী অভিযোগ দিলে পুলিশ বলছে, তারা কিছু করতে পারবে না।

চসিক নির্বাচনকে চূড়ান্ত পর্যায়ের তামাশা ও প্রহসনের নির্বাচন আখ্যা দিয়ে রিজভী বলেন, বর্তমান সরকার যতদিন ক্ষমতায় থাকবে, ততদিন সুষ্ঠু নির্বাচন নামক শব্দটি মানুষের কাছে অচেনা হয়ে যাবে। এরা ভোটারদের ভোটাধিকার মনেপ্রাণে ঘৃণা করে। এরা বিরোধী দল, ভিন্ন মত, সমালোচনার ভয়ঙ্কর শত্রু। তাদের আমলে শঙ্কা ও ভয় জনগণকে ঘিরে থাকে।

বিএনপির এ নেতা বলেন, আওয়ামী সরকারের যে বৈশিষ্ট্য নির্বাচনকে ঘিরে সেই নির্বাচন হবে কেড়ে নেয়ার নির্বাচন, ভোটারদেরকে ভোট কেন্দ্রে না আসতে দেয়ার নির্বাচন, বিএনপি প্রার্থী ও তাদের এজেন্টদেরকে বের করে দেয়া বা গ্রেফতার করা। একইভাবে তা এখনও চলছে। আজ সকাল ৮টায় যে নির্বাচন শুরু হয়েছে, দু-তিন ঘণ্টার মধ্যে ধানের শীষের এজেন্টদেরকে বের করে দেয়া হয়েছে। চট্টগ্রামে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও নির্বাচনী কার্যালয়ের যৌথ প্রযোজনায় আরেকটি জালিয়াতির নির্বাচন চলছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

পুলিশের দিকে অভিযোগ তুলে রিজভী বলেন, চসিক নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রামে পুলিশি তান্ডব চালানো হয়েছে। সেখানে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পুলিশ কমিশনারসহ বিভাগীয় পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মিটিং করে নির্দেশনা দিয়েছেন, কীভাবে বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে ‘পাইকারিহারে’ মামলা ও গ্রেফতার, এজেন্টদের গ্রেফতার ও বিএনপি নেতাকর্মীদের এলাকা শূণ্য করে ভোট ডাকাতি করা যায়। বুধবার সকাল থেকে পরিকল্পনা অনুযায়ী সেই কাজটি তারা করেছেন। ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে না যাওয়ার জন্য যত ধরনের ম্যাকানিজম আছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও নির্বাচনী কর্মকর্তারা একসঙ্গে মিলে সেই কাজটি করেছেন।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর থেকে ভোটের দিন পর্যন্ত দেড় শতাধিক কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সহস্রাধিক নেতাকর্মীকে মামলা দিয়ে এলাকা ছাড়া করা হয়েছে।

এসময় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিবের সাথে উপস্থিত ছিলেন- দলের যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল, বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (3)
হাসান সোহাগ ২৮ জানুয়ারি, ২০২১, ১২:৪৪ এএম says : 0
নির্বাচনের নামে নির্বাসন হয়েছে। যাতে জনগণ খুশি না হলেও আওয়ামিলীগ ঠিকই খুশি হয়েছে।
Total Reply(0)
Arifur Rahman ২৮ জানুয়ারি, ২০২১, ১২:৪৭ এএম says : 0
নির্বাচনের নামে হালকা বিনোদন
Total Reply(0)
Jahidul Alam ২৮ জানুয়ারি, ২০২১, ১২:৫০ এএম says : 0
সুষ্ঠু হয়েছে নির্বাচন, ভোট দিয়েছে প্রশাসন, তাকিয়ে ছিল জনগন
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন