বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

ভ্যাকসিন নেবেন অনেক মন্ত্রী এমপি, সচিব : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

টিকাগ্রহণকারী ৫ জন সুস্থ আছেন কোনো রকম খারাপ লাগছে না : প্রফেসর নাসিমা ষ প্রথম টিকা নিয়ে ইতিহাসের সঙ্গে যুক্ত হয়েছি : রুনু কস্তা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৮ জানুয়ারি, ২০২১, ১২:০০ এএম

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, মন্ত্রী, এমপি, সচিবসহ সরকারের উচ্চ পর্যায়ের অনেকেই করোনা ভ্যাকসিন নিতে আগ্রহী। তিনি বলেন, ফেব্রুয়ারির ৭ তারিখে আমরা একটি ছোট অনুষ্ঠান করে দেশব্যাপী টিকাদান শুরু করব। দেশের অনেক মন্ত্রী, এমপি, সচিব ও সরকারের উচ্চ পর্যায়ের অনেকেই টিকা নিতে চাচ্ছেন। সেদিন আপনারা দেখতে পারবেন। আপনারা কবে টিকা নেবেন জানতে চাইলে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, যখন আমরা সবাইকে ভ্যাকসিন দিতে পারব। ডাক্তার, নার্স, সাংবাদিক, পুলিশদের দেয়ার পর আমরা নেব। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, বেসরকারি হাসপাতালে করোনা ভ্যাকসিন দেয়ার নীতিমালা তৈরি হচ্ছে। নীতিমালা তৈরি হলে, সে অনুযায়ী যোগ্য হাসপাতালে ভ্যাকসিন দেওয়ার সুযোগ করে দেয়া হবে। বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে তো টিকাদানে আসতেই হবে উল্লেখ করেন তিনি। একই সঙ্গে ভ্যাকসিনের অভাব হবে না। ভ্যাকসিন আসতে থাকবে।

গতকাল বুধবার রাজধানীর কুর্মিটোলা হাসপাতালে টিকাদানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এসব কথা বলেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, যে পাঁচজনকে টিকা দেয়া হয়েছে, তাদের কোনো অসুবিধা হচ্ছে না। তারা সুস্থ আছেন। তিনি জানান, সিরামের ৭০ লাখ ভ্যাকসিন আমাদের আছে। যা পর্যায়ক্রমে সারা দেশে মানুষের কাছে পৌঁছে যাবে। প্রাথমিকভাবে জুন মাসের মধ্যে সাড়ে পাঁচ কোটি মানুষকে ভ্যাকসিন দেয়া হবে। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিলেও চিকিৎসার ব্যবস্থাও করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, যারা ভ্যাকসিনের বিষয়ে সমালোচনা করেছেন তাদের ভ্যাকসিন দেয়া হবে, যাতে তারা সুস্থ্য থেকে সমালোচনা করতে পারেন।
প্রধানমন্ত্রী যেভাবে করোনা নিয়ন্ত্রণে সফলতা দেখিয়েছেন, সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, সরকারি হাসপাতালের মাধ্যমে ভ্যাকসিন দেয়া হবে। পরবর্তীতে নীতিমালা করে যে সব বেসরকারি হাসপাতালের সক্ষমতা আছে সেসব হাসপাতাল থেকেও নেয়া যাবে ভ্যাকসিন।

এদিকে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহা পরিচালক প্রফেসর ডা. নাসিমা সুলতানা জানিয়েছেন, টিকা গ্রহণের পর শরীরে কোনো ধরণের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া তিনি অনুভব করেননি। দেশে করোনাভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন শেষে ভ্যাকসিন গ্রহণের ৩০ মিনিট পর তিনি এ কথা বলেন।

টিকা গ্রহণের পর নিজের অনুভূতির কথা ব্যক্ত করে ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, মার্চে যেখন দেশে প্রথম কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয় তারও আগে থেকেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। স্বাস্থ্য অধিদফতরের কর্মকর্তা হিসেবে চেয়েছি জনগণকে তথ্য পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করতে। ভ্যাকসিন আসার আগে মানুষের আশা ছিলো ভ্যাকসিন সুরক্ষা দিবে কিন্তু এখন নিজে ভ্যাকসিন না নিলে মানুষকে বলতে পারবোনা ভ্যাকসিন নিতে। তাই নিলাম। তিনি বলেন, সামান্য একটা বিষয়। ছোট্ট নিডল। কোন ব্যথা হয়নি। এখন যে নিডল তা অনেক আধুনিক। আমি আসলে কোন ব্যথা পাইনি। ভ্যাকসিন দিলে একটু লাল হয়, জ্বর হয় বাচ্চাদের, মানে ভ্যাকসিন কাজ করছে। বমি ভাব, জ্বর জ্বর হতে পারে। ভ্যাকসিন নিলে মারাত্মক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হবে এটি সঠিক না। যার যখন সুযোগ আসবে আমরা যেনো সেটা কাজে লাগিয়ে ভ্যাকসিন নেই। কোন রকমের খারাপ লাগছেনা তাই ৩০ মিনিটের আগে বের হয়েছি। এটি মানসিক বিষয়, মানসিকভাবে যেনো ভালো থাকে।

দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম টিকা নেয়া রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনু ভেরোনিকা কস্তা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় আমি প্রথম টিকা নিয়ে অনেক আনন্দ অনুভব করছি। এর মাধ্যমে একটি ইতিহাসের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরেছি। আমি সুস্থ আছি। টিকা গ্রহণের পর রুনু বলেন, আমি সুস্থ আছি। দেশবাসীকে করোনার টিকা নিতে অনুরোধ জানাচ্ছি। এই টিকা নেয়ার মধ্য দিয়ে দেশ করোনামুক্ত হবে। দেশবাসীর জন্য কিছু বলতে চান কি না জানতে চাইলে রুনু বলেন, দেশবাসীর কাছে আমার একটাই অনুরোধ, আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন। আমি যেমন ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছি, দেশের জনগণও যাতে আস্থা পায়; আস্থা পেয়েই ভ্যাকসিন গ্রহণ করে। সবাই যাতে এই ভ্যাকসিন নেয়ায় উদ্বুদ্ধ হয়, এটাই আমার চাওয়া।

ভ্যাকসিন গ্রহণের পর এক প্রতিক্রিয়ায় চিকিৎসক অরূপ রতন চৌধুরী বলেন, ভ্যাকসিন নিযেছি ১৫ মিনিট হলো কোন পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া নেই। ভ্যাকসিন আশির্বাদ হয়ে এসেছে। ভ্যাকসিনের কোন পাশ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। আমি নিযেছি, আপনারাও নেন। এর আগে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে কুর্মিটোলা হাসপাতালে থেকে সারা দেশে টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রথম দিনের এ কর্মসূচিতে ৩০ জন সম্মুখযোদ্ধাকে এ ভ্যাকসিন দেয়া হচ্ছে। দেশের ইতিহাসে প্রথমাবারের মতো করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন নেন কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনু বেরোনিকা কস্তা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (5)
মাজহারুল ইসলাম ২৮ জানুয়ারি, ২০২১, ১:০৪ এএম says : 0
অন্তত ৩ মাস ভ্যাকসিন কার্যক্রম চালানোর পর স্কুল কলেজ খুললে সফলতা পাওয়া যাবে। ২৪ ঘন্টা ভ্যাক্সিনেশন কার্যক্রম চালানো উচিত।
Total Reply(0)
A H Bappy ২৮ জানুয়ারি, ২০২১, ১:০৫ এএম says : 0
আল্লাহ সবাইকে হেফাজত করুক
Total Reply(0)
Harunur Rashid ২৮ জানুয়ারি, ২০২১, ৪:০৭ এএম says : 0
Question is which one they are taking.
Total Reply(0)
MujiburRahman ২৮ জানুয়ারি, ২০২১, ৯:৩১ এএম says : 0
আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ সবাইকে সুস্থ ও স্বাভাবিক রাখুন
Total Reply(0)
MujiburRahman ২৮ জানুয়ারি, ২০২১, ৯:৩১ এএম says : 0
আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ সবাইকে সুস্থ ও স্বাভাবিক রাখুন
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন