শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইসলামী জীবন

দৈনন্দিন জীবনে ইসলাম

| প্রকাশের সময় : ২৯ জানুয়ারি, ২০২১, ১২:৪৪ এএম

প্রশ্ন : চাকরির সুবাদে কুয়েতে থাকি। বাবা-মায়ের সাথে দেখা হয় না কয়েক বছর। মন কান্দে, মায়ের কথা মনে পড়লে কাজে মন বসে না। মন ঠান্ডা করার জন্যে কী দোয়া পড়তে পারি?
উত্তর : মায়ের জন্য মন কাঁদবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সব সন্তান সারা জীবন মায়ের সাথে থাকতে পারে না। নানা কারণে তাকে দূরে যেতেই হয়। ধীরে ধীরে অভ্যাসও হয়ে যায়। আপনি কাজকর্ম ও ইবাদতে মনোযোগী হন। সুযোগ হলে মাকে এসে দেখে যাবেন। এখন তো সহজে কথাও বলা যায়। অনলাইনে সুযোগ থাকলে মাকে দেখবেন। এমনিতে মায়ের জন্য আল্লাহর রহমত ও ক্ষমা চেয়ে বেশি বেশি দোয়া করবেন। তসবিহ, জিকির ও দরূদ যখন যেটা ভালো লাগে পড়তে থাকবেন। আল্লাহ মন শান্ত করে দেবেন।
প্রশ্ন : আমার বাবার বিভিন্ন বদভ্যাসের কারণে আমি প্রায়ই তার সাথে কথা কাটাকাটি করি। মাঝে মধ্যে সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়ে যায়। আমি চাকরি করি, কিন্তু অভিভাবকের কষ্ট হবে বলে আলাদা হতে পারছি না। এমতাবস্থায় কি করণীয় বলবেন প্লিজ।
উত্তর : পিতার যত বদভ্যাসই থাকুক, তার সাথে কথা কাটাকাটি করা চলবে না। সম্পর্ক নষ্ট হওয়ার তো প্রশ্নই উঠে না।
সন্তানের জন্য এটাই আল্লাহর বিধান। আল্লাহর সাথে যেরকম গোলামির সম্পর্ক কোনো কারণেই ছিন্ন করা যায় না। বান্দাদের মধ্যে পিতা-মাতাও এমন যে, তাদের সাথে সন্তানের সম্পর্ক ছিন্ন করা যায় না। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ নির্দেশ দিয়েছেন, ‘তোমরা আমার সাথে কাউকে শরিক করো না। আর পিতা-মাতার সাথে সর্বোচ্চ সদাচরণ করো।’
আপনি ধৈর্য নম্র আচরণ ও দোয়ার মাধ্যমে আমৃত্যু চেষ্টা চালিয়ে যান। আপনার আব্বার (আপনার ভাষায়) বদভ্যাসগুলো দূর হওয়ার জন্য। তিনি খারাপ ব্যবহার করলেও আপনি মাটির মতো শয়ে যান। কথা কাটাকাটি করবেন না। নিজে চাকরি করলেও তাদের ছেড়ে যাবেন না। প্রয়োজনে দূরে থাকতে হলেও তাদের সাথে সদাচরণ করতে থাকবেন। এভাবে চলাই আপনার জীবনের স্বার্থকতা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন