রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

স্বাস্থ্য

করোনার এই শীতে কফ-কাশি নিরাময়ে হোমিও

| প্রকাশের সময় : ২৯ জানুয়ারি, ২০২১, ১২:৪৪ এএম

পৌষ ও মাঘ এই দু’মাস আমাদের শীতকাল। শীত নিয়ে আসে খেজুর রস, পিঠা-পুলি ও নতুন নতুন সুস্বাদু সবজি। এবার এই শীত আমাদের ভোগাচ্ছে করোনা দিয়ে। এমনিতেই শীতে নানান অসুখ-বিসুখ মানুষকে অস্বস্তিতে ফেলে। যেমন সর্দি-কাশি-হাঁচি ও নিঃশ্বাসে কষ্ট। এ সময় একবার ঠান্ডা লাগলে না সারার প্রবণতাসহ বিভিন্ন শ্বাসতন্ত্রজনিত রোগ বেশি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

শীতকালে বিয়ের অনুষ্ঠানসহ চারদিকে বিভিন্ন উৎসবের আমেজ বেড়ে যায়। তবে এ সব কিছুর মধ্যে বাদ সাধে ঠান্ডা, হাঁচি, কাশি, জ্বর, রুক্ষ ত্বক, শুষ্ক চুলের সমস্যা। তাই বলে কি শীতকাল উপভোগ করবেন না? নিশ্চয়ই করবেন, তবে কীভাবে?

মনে রাখতে হবে আমাদের শরীর কোনো পারিপার্শ্বিক পরিবর্তনের জন্য সময় নেয়। সেটা খাবার হোক, অঞ্চল হোক, হোক তাপমাত্রা বা আবহাওয়ার পরিবর্তন। ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে শরীরকে খাপ খাওয়ানোর সময়ে বিভিন্ন শীতকালীন অসুখ আমাদের শরীরে আক্রমণের সুযোগ নেয়। আবার অনেক ক্ষেত্রে ভৌগোলিক কারণে আবহাওয়া ও পরিবেশও পরিবর্তন হয়ে থাকে। কারো কারো অ্যালার্জির সমস্যা এ সময়ে বাড়ে। কিন্তু কিছু বিষয় খেয়াল রাখলে সহজেই এগুলোকে দূরে রাখা বা নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

শীতকালীন কিছু রোগ সম্পর্কে জেনে রাখুন
অ্যালার্জি ও অ্যাজমা : এ রোগ দুটি অনেক ক্ষেত্রে একসঙ্গে হয়, যদিও কোনোটির প্রকাশ আগে হতে পারে। শীতকালে অ্যালার্জি ও অ্যাজমা স্বাভাবিকভাবেই বেড়ে যায়। বারবার সর্দি-হাঁচি-কাশির সঙ্গে শ্বাসকষ্ট বুকে চাপ সৃষ্টি করে ও আওয়াজ হয়। এ সময় ঠান্ডা লাগার প্রবণতাও বেড়ে যায়।

যে সব কারণে অ্যালার্জি হয় সে সব থেকে দূরে থাকা জরুরি। প্রয়োজনে অ্যালার্জির উপযোগী হোমিও ওষুধ ব্যবহার করা ভাল। শীতের সময় অনেকের সাইনোসাইটিসের সমস্যাও দেখা দেয়। বারবার মাথা ধরা, সর্দি-কাশির প্রবণতা, কাশতে কাশতে বমি হওয়া, জ্বর ইত্যাদি সাইনোসাইটিসের লক্ষণ হতে পারে। কোনো কিছুতে অ্যালার্জি থাকলে সেদিকে নজর দিতে হবে। তবে সাবধান তা যেন অতিরিক্ত না হয়।

ভাইরাস জ্বর : শীতকালে ভাইরাস জ্বর হওয়ার সম্ভাবনা খুবই বেশি। বিভিন্ন ভাইরাস জ্বর শরীরে জেকে বসে। বিশেষ করে শিশু, বয়স্ক ও যাদের শরীরে অন্য রোগ; যেমন ডায়াবেটিস, ক্রনিক ব্রঙ্কাইটিস আছে, তাদের এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

পর্যাপ্ত বিশ্রাম, প্রচুর তরল জাতীয় খাবার; বিশেষত খাবার স্যালাইন, ডাবের পানি, লেবু-চিনির শরবত খুবই উপকারী। এ রোগে আক্রান্ত হলে ঠান্ডা পানীয় ও আইসক্রিম সম্পূর্ণ নিষেধ। আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে দূরে থাকতে হবে। প্রয়োজনে অভিজ্ঞ ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে পারেন। এ ধরনের শীতকালীন রোগে হোমিও ঔষুধ বেশী কার্যকর। বিশেষ করে নারী শিশু ও বৃদ্ধদের কাশি, কফ, হাম, সর্দি রোগ হোমিও চিকিৎসায় নিরাময় হতে পারে।

ডা. মো. মোখলেসুর রহমান
বাওনিং হাওসেন হোমিও ক্লিনিক
৩/১৬, আরামবাগ, মতিঝিল, ঢাকা।
মোবাইল ০১৭৬১০৭৯৭২৯।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন