শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আন্তর্জাতিক সংবাদ

মিয়ানামারে আবারো ক্ষমতা দখলের হুমকি সেনাপ্রধানের, চরম উদ্বেগে বিশ্ববাসী

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৯ জানুয়ারি, ২০২১, ৭:৩০ পিএম

মিয়ানমারে গত ৮ নভেম্বরের নির্বাচনের পর বেসামরিক সরকারের সঙ্গে সেনাবাহিনীর বাড়তে থাকা উত্তেজনার মধ্যেই দেশটিতে সেনা অভ্যুত্থানের হুমকিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘসহ বিশ্বের বহু দেশ। শুক্রবার সংস্থার মহাসচিব অ্যান্টনিও গুতেরেস জানিয়েছেন, অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে তিনি মিয়ানমারের রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন।
অস্ট্রেলিয়া, ব্রিটেন, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্রসহ ১২টি দেশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জাতিসংঘ পৃথক বিবৃতিতে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে ‘গণতান্ত্রিক নিয়ম মেনে চলার’ আহ্বান জানিয়েছে। এছাড়া ‘মিয়ানমারের নির্বাচনের ফল পরিবর্তন কিংবা গণতান্ত্রিক রূপান্তরকে ব্যাহত করার যে কোনো প্রচেষ্টার বিরোধীতা করেছেন তারা।

গত বছরের নভেম্বরে নির্বাচনে বিজয়ী হয় সু চির দল এনএলডি। ফল ঘোষণার পর থেকেই সেনাবাহিনী ভোট জালিয়াতির অভিযোগ তুলে আসছে। ভোট পুনঃগণনা বা এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া না হলে বাহিনীর পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সরকারকে মঙ্গলবার এক সেনা মুখপাত্র হুমকি দিয়েছেন। এর পরের দিনই সেনাপ্রধান জেনারেল মিন অং হ্লাইং সেনা নিয়ন্ত্রিত দৈনিক মায়াবতীতে লেখা নিবন্ধে, সংবিধান বাতিল তথা সেনা অভ্যুত্থানের ইঙ্গিত দিয়েছেন।

আগামী সোমবার নতুন পার্লামেন্টের প্রথম অধিবশেন শুরুর কথা। তবে নির্বাচনের ফল নিয়ে এখনও আলোচনায় বসতে পারেনি বেসামরিক সরকার ও সেনাবাহিনী।
গত বছর ৮ নভেম্বর মিয়ানমারের জাতীয় নির্বাচনে বড় জয় পায় অং সান সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি)। পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে যেখানে ৩২২টি আসনে জয়ই যথেষ্ট সেখানে সু চির দল জয় পেয়েছে ৩৪৬টি আসনে। ২০১১ সালে অর্ধ শতাব্দীর সেনা শাসনের অবসান ঘটিয়ে গণতন্ত্রের পথে ফেরা মিয়ানমারে এটি দ্বিতীয় জাতীয় নির্বাচন।

জান্তা আমলে তৈরি মিয়ানমারের সংবিধানে সেনাবাহিনীকে বেশ কিছু ক্ষমতা দেওয়া আছে। যেমন: পার্লামেন্টের ২৫ শতাংশ আসনের সদস্য সরাসরি সেনাবাহিনী থেকে আসবেন।
এতদিন পর্যন্ত দেশটির বেসামরিক সরকার সেনাবাহিনীর সঙ্গে ক্ষমতা ভাগাভাগি করেই দেশ পরিচালনা করে আসছিল। নভেম্বরের নির্বাচন নিয়েই প্রথম দুই পক্ষ সরাসরি এতটা বিরোধে জড়িয়েছে।

সু চি এখন পর্যন্ত সেনাবাহিনীর সঙ্গে এ বিরোধ নিয়ে জনসম্মুখে কোনো কথা বলেননি। তবে এনএলডি-র এক মুখপাত্র জানান, গত বৃহস্পতিবার দলের সদস্যরা সংকট সমাধানে সেনা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। কিন্তু ওই বৈঠক ‘অসফল’ ছিল বলেও জানান তিনি। সূত্র : রয়টার্স।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Jack+Ali ২৯ জানুয়ারি, ২০২১, ৯:৩৭ পিএম says : 0
O'Allah destroy Mayanmer Army and that Iblees Aung Sun Suchi so that our Rohingya muslim go back to their home land.
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন