করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে ২০২০ সালের এইচএসসি, আলিম ও সমমানের পরীক্ষা গ্রহণ করেনি সরকার। পরীক্ষা ছাড়াই অষ্টম শ্রেণির জেএসসি-জেডিসি ও মাধ্যমিকের এসএসসি-দাখিল সমমানের পরীক্ষার ফলাফলের মূল্যায়নের ভিত্তিতে সবাইকে পাস করানো হয়েছে। এই পরীক্ষায় এবার রেকর্ড সংখ্যক জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৬১ হাজার ৮০৭ জন। ২০২০ সালের এইচএসসি, আলিম ও সমমানের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ ও পাশের দিক থেকে ছেলেদের সংখ্যা বেশি থাকলেও জিপিএ-৫ পাওয়ার দিক দিয়ে এগিয়ে মেয়েরাই।
গতকাল শনিবার মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে পরীক্ষার ফলাফলের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে এসব তথ্য জানান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশ নিতে নিবন্ধন করেছিল ১৩ লাখ ৬৭ হাজার ৩৭৭ জন শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে সবাই পাস করেছেন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৬১ হাজার ৮০৭ জন। এই পরীক্ষায় নিবন্ধনকারীদের মধ্যে ছেলে ছিলো ৭ লাখ ৬ হাজার ৮৮৫ জন এবং মেয়ে ৬ লাখ ৬০ হাজার ৪৯২ জন। ছেলেদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭৮ হাজার ৪৬৯ জন এবং মেয়েদের মধ্যে ৮৩ হাজার ৩৩৮ জন। সেই হিসেবে উচ্চ মাধ্যমিকে ছাত্রদের থেকে চার হাজার ৮৬৯ জন বেশি ছাত্রী জিপিএ-৫ পেয়েছেন।
মহামারীর আগের বছর অর্থাৎ ২০১৯ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাসের হার ছিল ৭৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ; আর জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন মোট ৪৭ হাজার ২৮৬ জন শিক্ষার্থী।
১১টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে ঢাকা বোর্ডে সবচেয়ে বেশি শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫৭ হাজার ৯২৬ জন। এছাড়া রাজশাহীতে ২৬ হাজার ৫৬৮, কুমিল্লায় ৯ হাজার ৩৬৪, যশোরে ১২ হাজার ৮৯২, চট্টগ্রামে ১২ হাজার ১৪৩, বরিশালে পাঁচ হাজার ৫৬৮, সিলেটে ৪ হাজার ২৪২, দিনাজপুরে ১৪ হাজার ৮৭১, ময়মনসিংহ বোর্ডের ১০ হাজার ৪০ জন জিপিএ-৫ পেয়েছেন। মাদরাসা বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৪ হাজার ৪৮ জন এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে জিপিএ-৫ ৪ হাজার ১৪৫ জন।
অষ্টমের সমাপনী এবং এসএসসির ফলাফলের গড় করে ২০২০ সালের এইচএসসির ফল নির্ধারণের সিদ্ধান্ত হয়েছিল। জেএসসি-জেডিসির ফলাফলকে ২৫ এবং এসএসসির ফলকে ৭৫ শতাংশ বিবেচনায় নিয়ে উচ্চ মাধ্যমিকের ফল ঘোষণা করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন