সম্প্রচারের স্বত্ব নিয়ে বিরোধ থেকে সে সময়ের ক্রীড়া চ্যানেল জন্ম দিয়েছিল ইন্ডিয়ান ক্রিকেট লিগ বা আইসিএল নামের টি-টোয়েন্টি লিগ। সেটিকে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) ও আইসিসি নিষিদ্ধ করেছে ঠিকই, কিন্তু আইসিএলের কারণেই পরে বিসিসিআই বাধ্য হয় ঘরোয়া ক্রিকেট নিয়ে নতুন করে ভাবতে, খেলোয়াড়দের সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে। তার ফল হিসেবেই আসে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ বা আইপিএল। ফুটবলেও কি তেমন গল্পের দেখা মিলতে যাচ্ছে? ইউরোপিয়ান সুপার লিগ নিয়ে যত নাটক হচ্ছে, তাতে ইঙ্গিতটা সে রকমই।
একদিকে ইউরোপের পরাশক্তিগুলো সবাই ইউরোপিয়ান সুপার লিগ সৃষ্টির চেষ্টা করছে। ওদিকে ঘুম হারাম হয়ে যাচ্ছে উয়েফা ও ফিফার। এরই মধ্যে সুপার লিগে খেললে সবাইকে নিষিদ্ধ করে দেওয়া হবে, এ হুমকি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ক্লাবগুলো যখন রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনা, জুভেন্টাস কিংবা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মতো ইউরোপের সেরা সব ক্লাব, তখন উয়েফাও জানে এসব হুমকিতে খুব একটা কাজ হয়তো হবে না। উয়েফা তাই ভিন্ন পথে এগোচ্ছে। ইউরোপিয়ান সুপার লিগ যদি হয় ফুটবলের ‘আইসিএল’, তবে উয়েফা ফুটবলের ‘আইপিএল’ আয়োজনের কথা ভাবছে। পরাশক্তিগুলো একটি কারণেই চ্যাম্পিয়নস লিগ বাদ দিয়ে সুপার লিগ খেলতে চাইছে, আর সেটা হলো বাড়তি অর্থ। ইউরোপিয়ান ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থার তাই টনক নড়েছে। বড় দলগুলোর কাছে লোভনীয় ঠেকতে পারে এমন এক চ্যাম্পিয়নস লিগ সৃষ্টি করতে চাইছে তারা।
আপাতত সুপার চ্যাম্পিয়নস লিগ নামে ডাকা হচ্ছে প্রস্তাবিত টুর্নামেন্টকে। বর্তমান পদ্ধতির চ্যাম্পিয়ন্স লিগ বাতিল হয়ে এই নতুন চ্যাম্পিয়নস লিগ দ্রুত আলোর মুখ দেখতে পারে। উয়েফা চেষ্টা করছে ২০২৪ সালের মধ্যেই সুপার চ্যাম্পিয়নন্স লিগ চালু করতে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন