শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

বাইডেন প্রশাসনকে চিঠি

জিএসপি সুবিধার প্রত্যাশায়

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১২:০১ এএম

জেনারেলাইজড সিস্টেম অফ প্রেফারেন্স (জিএসপি) সুবিধা পেতে যুক্তরাষ্ট্রের জো বাইডেন প্রশাসনের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে বাংলাদেশ। এই বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রশাসনের সাড়া পাওয়া গেলে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকসহ বেশকিছু পণ্য দেশটিতে শুল্কমুক্ত প্রবেশের সুবিধা পাওয়া যাবে বলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।

সূত্র জানায়, জিএসপি সুবিধার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সাড়া পাওয়া গেলে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য অনেক বাড়বে, যা আমেরিকাও আশা করছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে জিএসপি সুবিধা পাওয়ার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, জিএসপি সুবিধা পুনর্বহাল করতে যুক্তরাষ্ট্রে বাণিজ্য প্রতিনিধিকে (ইউএসটিআর) আমরা গত সপ্তাহে একটি চিঠি পাঠিয়েছি। বিশেষ করে মহামারির কারণে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশের পোশাক খাতের জন্য এ চিঠি দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রে প্লাস্টিক ও কৃষি পণ্য রপ্তানির জন্য ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি ও সামুদ্রিক অর্থনীতিতে বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আমেরিকাকে অর্থনৈতিক অঞ্চল বরাদ্দের প্রস্তাবও করা হয়েছে। ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সরকার এখন বাংলাদেশের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করতে আগ্রহী। এফটিএ চুক্তির সম্ভাবনা নিয়ে ইতিমধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে।

জানতে চাইলে এ বিষয়ে বাণিজ্য সচিব ড. জাফর উদ্দিন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি বাড়ানোর লক্ষ্যে জিএসপি পুনর্বহালের চেষ্টা চলছে। শুল্কমুক্ত বাজারের সুবিধা বা জিএসপি পাওয়া গেলে আগামী দুই বছরে পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশের ১৭,০০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। এছাড়া প্লাস্টিকসহ অন্যান্য পণ্যের রপ্তানিও বাড়বে। তিনি বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডবিøউটিও সেল ইতিমধ্যে জো বাইডেনের নেতৃত্বাধীন মার্কিন প্রশাসনের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে। সরকার আগামী টিআইসিএফএ ফোরামের বৈঠকে জিএসপি ইস্যুটি উপস্থাপন করবে।

ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কোন্ডঅপারেশন ফোরাম এগ্রিমেন্ট (টিআইসিএফএ) ফোরামের সভা মার্চ বা এপ্রিলে অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা অছে।
১৯৭৬ সালে যুক্তরাষ্ট্র প্রবর্তিত জিএসপি হলো একটি ট্রেডিং স্কিম। এর অধীনে যুক্তরাষ্ট্র স্বল্প বা শূন্য-শুল্কে স্বল্পোন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশগুলো থেকে ৫০০০ এর বেশি পণ্য আমদানির অনুমতি দেয়। ২০১৩ সালে রানা প্লাজা ভবন ধ্বসে পড়ার পর থেকে বাংলাদেশি পণ্যের জন্য জিএসপি আওতাধীন বাণিজ্যিক সুবিধা স্থগিত রয়েছে। দেশের সবচেয়ে বড় এ শিল্প বিপর্যয়ে ১১০০ জনেরও বেশি লোক মারা যান। এদের বেশিরভাগ ছিলেন পোশাক শ্রমিক।

এর আগে, ট্রাম্প প্রশাসনের সময় জিএসপি পুনর্বহালে বাংলাদেশ বেশ কয়েক বার চেষ্টা করে। কিন্তু তাতে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশের মোট রপ্তানির মাত্র তিন শতাংশ জিএসপির আওতায় যুক্তরাষ্ট্রে যায়। এছাড়াও বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাক এবং টেক্সটাইল খাত জিএসপির তালিকায় নেই বলে রপ্তানিকারকরা জানিয়েছেন। নতুন করে এ সুবিধা পাওয়া গেলে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় অনেক বাড়বে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন