শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

ভাঙন থেকে রক্ষায় মেঘনায় নৌ-বন্ধন

প্রকাশের সময় : ৩০ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সংবাদদাতা : মেঘনা নদী থেকে অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনের ফলে নরসিংদী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিন ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের বাড়িঘর বিলীন হতে চলেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল সোমবার নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার চাঁনপুর চরে তিন ইউনিয়নে মানুষের আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করা হয়। সংবাদ সম্মেলন শেষে ক্ষতিগ্রস্থরা বিক্ষোভের পাশাপাশি নৌ-বন্ধনের সৃষ্টি করে।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, মাঝখানে বালু না পেয়ে ইজারাদাররা এখন নদীর পাড়ে ড্রেজার লাগিয়ে বালু উত্তোলন শুরু করেছেন। এতে নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার তিন ইউনিয়নের বেশ কিছু গ্রামের বাড়ি ঘর ইতিমধ্যে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ঝুঁকির মধ্যে আছে কয়েকশ’ বাড়ি। প্রশাসন ও ইজারাদারদেরকে জানিয়েও কোনো লাভ হচ্ছে না। বরং ইজারাদারদের পক্ষ থেকে নানা ধরণের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। মামলায় জড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে নিরীহ এলাকাবাসীকে। সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন চাঁনপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মোমেন সরকার। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নবীনগরের শিবপুর গ্রামের মো. আব্দুল কুদ্দুছ। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মো. মোসলেম উদ্দিন, মো. বাবুল মিয়া, মোবারক হোসেন, সেলিম মিয়া, ইউসুফ মিয়া, বশির আহমেদ প্রমুখ। বক্তারা ভাঙ্গনের হাত থেকে শত শত পরিবারকে রক্ষা করতে অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলন বন্ধের আহবান জানান।
সংবাদ সম্মেলন শেষে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের কয়েকশ’ মানুষ বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। পরে প্রায় অর্ধশত নৌকা দিয়ে মেঘনায় নৌ-বন্ধনের সৃষ্টি করা হয়। ব্যানার, ফেস্টুন হাতে থাকা ক্ষতিগ্রস্থরা এ সময় বিভিন্ন ধরণের শ্লোগান দেয়।
তবে বালু মহলের ইজারা নেওয়া মো. মোশারফ হোসেন মিন্টু অপরিকল্পিভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সরকারের নিয়মনীতি মেনেই বালু উঠানো হচ্ছে। কিন্তু কিছু লোক উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিরোধিতা করছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন