বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

আশা-নিরাশার দোলাচালের মধ্যে পার্বতীপুরে ১৯৭ মুক্তিযোদ্ধার যাচাই-বাছাই কার্যক্রম সম্পন্ন

সঠিক উত্তর দিতে না পারায় অনেক মুক্তিযোদ্ধা বিমর্ষ হতাশ!

পার্বতীপুর (দিনাজপুর) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ৬:২৪ পিএম

বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল কর্তৃক বেসামরিক গেজেটধারী বীর মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটি গত ৩০ জানুয়ারী থেকে ২ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত দিনাজপুরের পার্বতীপুরে ৪ দিনব্যাপী প্রকৃত মৃক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) নির্ধারিত তালিকা ও নির্দেশনা অনুসরন করে যাচাই-বাছাই কার্যক্রম পরিচালনা করেন চার সদস্যের উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটি। তারা হলেন- উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির সভাপতি ও দিনাজপুর জেলা মক্তিযোদ্ধা কমান্ডের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার বীর মক্তিযোদ্ধা সাইদুর রহমান, সদস্য সচিব ও পার্বতীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাশিদ কায়সার রিয়াদ, স্থানীয় সংসদ সদস্যের মনোনীত প্রতিনিধি বীর মুক্তিযোদ্ধা সরকার মোহাম্মদ শামীম আক্তার ও জেলা প্রশাসক মনোনীত যাচাই-বাছাই কমিটির আরেক সদস্য হলেন- উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা রিয়াজ মাহমুদ প্রমুখ।

উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত প্রতিদিনের যাচাই-বাছাই চলাকালে শত শত উৎসুক মুক্তিযোদ্ধাদের উপস্থিত থাকতে দেখা যায়। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাইকালে কেউ কেউ সাক্ষাৎতার প্রদানকারী মুক্তিযোদ্ধাকে লক্ষ্য করে “রাজাকার রাজাকার” ধ্বনি দিতে থাকে, কেউ কেউ বলতে থাকে “ভ‚য়া! ভ‚য়া!”। এসময় সাক্ষাৎকার দিতে আসা সরকারী ভাতা ভোগী এসব মুক্তিযোদ্ধাদের অনেককে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের আশঙ্কায় “বিমর্ষ” দেখা যায়। তবে এসময় কাউকে “রাজাকার” বা “ভ‚য়া” না বলার জন্য বাছাই কমিটির সভাপতি সাইদুর রহমান উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি অনুরোধ জানান।

পার্বতীপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্দা সাইদুর রহমান বলেন- পার্বতীপুরে যাদের বিরুদ্ধে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলে অভিযোগ বা আপত্তি রয়েছে, ভাতাভোগী এমন ১৯৭ মুক্তিযোদ্ধার সাক্ষাৎকার গ্রহণ ও নথিপত্র যাচাই-বাছাই করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৩৯ জন অনুপস্থিত থাকায় তাদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি। তারা ইচ্ছে করলে পরবর্তী ৩ কর্মদিবসে কমিটির সাথে যোগাযোগ করে সাক্ষাৎকার প্রদান করতে পারবেন।

যাচাই-বাছাই কমিটির সদস্য সচিব ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাশিদ কায়সার রিয়াদ বলেন- পার্বতীপুর উপজেলায় ভাতাভোগী ৬৫৭ জন মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন, কিন্তু তাদের মধ্যে ১৯৭ জনের বিরুদ্ধে তারা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা কিনা তা নিয়ে “অন্যরা” বিভিন্ন সময়ে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলে অভিযোগ করায় এ তালিকায় থাকা মুক্তিযোদ্ধাদের তথ্য-উপাত্ত যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন