জামালপুরের সরিষাবাড়ী পৌরসভা নির্বাচনে বিজয়ী ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল হক তরফদারের বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটতরাজের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার রাতে পরাজিত কাউন্সিলর প্রার্থী কালাচাঁন পালের নেতৃত্বে একটি সংঘবদ্ধ গ্রুপ এ ঘটনা ঘটায় বলে ক্ষতিগ্রস্থরা অভিযোগ করেন। এ ঘটনায় ৬ নারীসহ অন্তত: ১৫ জন আহত হয়েছে।
জানা গেছে, গত ৩০ জানুয়ারি সরিষাবাড়ী পৌর নির্বাচনে ৪ নম্বর ওয়ার্ডে আব্দুল হক তরফদার ৪১ ভোট বেশি পেয়ে কালাচান পালকে পরাজিত করে কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। এর জের ধরে কালাচান পালের সমর্থকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে সোমবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে শিমলাবাজারে আব্দুল হক তরফদারের বাড়িঘরে হামলা চালানো হয়।
বিজয়ী কাউন্সিলর আব্দুল হক তরফদার অভিযোগ করেন, পরাজিত প্রার্থী কালাচান পালের নেতৃত্বে লাঠিসোটা নিয়ে আমার বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ, বাড়ির লোকদের মারধর, ভাঙচুর ও স্বর্ণালঙ্কার লুটতরাজ করা হয়। হামলাকারীদের ইটপাটকেল ও লাঠিসোটার আঘাতে আইরিন আক্তার (৩৬), সোমা আক্তার (৩২), তন্নী আক্তার (৩১), লাকি আক্তার (৪০), পারভিন আক্তার (৩৫), ইতি (২০) ও জনি মিয়াসহ (২৮) অন্তত: ১৫ জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
অভিযোগ অস্বীকার করে পরাজিত কাউন্সিলর প্রার্থী কালাচান পাল জানান, আমি নির্বাচনের পর থেকে নিজ বাসা থেকে বেরই হইনি। নির্বাচনের দিন ভাড়াটে সন্ত্রাস দিয়ে হক তরফদার একজনকে মারধর করেছে। এটা ঢাকার জন্যই এ নাটক সাজানো হয়েছে।
এব্যাপারে সরিষাবাড়ী থানার ওসি (তদন্ত) পরিদর্শক রাশেদুল ইসলাম জানান, ঘটনাটি তেমন গুরুতর নয়, তবে খবর পাওয়ার সাথে সাথেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করা হয়। এ বিষয়ে থানায় মামলা দায়ের হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন