বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

আল জাজিরার রিপোর্ট সরকারের প্রত্যাখ্যান

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি

কূটনৈতিক সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১২:০০ এএম

বাংলাদেশ সরকার ‘অল দ্যা প্রাইম মিনিস্টার’স ম্যান’ শিরোনামে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরায় প্রকাশিত রিপোর্টকে মিথ্যা এবং অবমাননাকর আখ্যা দিয়ে প্রত্যাখ্যান করেছে। এ নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে একটি বিবৃতি দেয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, উগ্রবাদী দল জামাত-ই-ইসলামী ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর থেকেই বাংলাদেশের প্রগতিশীল এবং ধর্মনিরপেক্ষ নীতির বিরোধিতা করছে এবং তাদের সঙ্গে সম্পর্কিত ব্যক্তিরাই রাজনৈতিক স্বার্থে এই রিপোর্ট তৈরি করেছে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে জামাতের অপরাধীচক্র কয়েক মিলিয়ন বেসামরিক বাঙালিকে হত্যা এবং দুই লাখের বেশি নারীকে ধর্ষণ করেছে। কিন্তু এই ঐতিহাসিক সত্য প্রকাশ না করা আল-জাজিরা ও গণমাধ্যমটির ভাষ্যকার ডেভিড বার্গম্যানের রাজনৈতিক পক্ষপাতের প্রতিফলন।

বিবৃতিতে জানানো হয়, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে চ্যালেঞ্জ করায় বার্গম্যান আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল দ্বারা দোষী সাব্যস্ত হওয়া ব্যক্তি। বিবৃতিতে বলা হয়, আল-জাজিরার রিপোর্টের সোর্স বা সূত্র একজন অভিযুক্ত আন্তর্জাতিক অপরাধী। গণমাধ্যমটিও তাদের রিপোর্টে ওই ব্যক্তিকে সাইকোপ্যাথ বা মানসিক বিকারগ্রস্থ ব্যক্তি হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।

তার সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীসহ রাষ্ট্রীয় অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের জড়িত থাকার এক বিন্দু প্রমাণও নেই। একজন মানসিক বিকারগ্রস্থ মানুষের কথার ওপর ভিত্তি করে আল-জাজিরা যেভাবে সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে তা একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম হিসেবে পুরোপুরি দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ। জামাত-ই-ইসলামীর কিছু পলাতক ও ঘৃণিত অপরাধিরা যে বাংলাদেশবিরোধী প্রোপাগান্ডা চালায় এই রিপোর্ট যে তারই অংশ তা বিস্ময়কর কিছু নয়। তারা আন্তর্জাতিক উগ্রবাদী গোষ্ঠীগুলো এবং আল-জাজিরার মতো গণমাধ্যমের সঙ্গে মিলে ষড়যন্ত্র করে থাকে। এসব উগ্রবাদী গোষ্ঠী এবং লন্ডনসহ বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে তাদের সক্রিয় মিত্রদের এমন বেপরোয়া বানোয়াট প্রচারণাকে প্রত্যাখ্যান করছে বাংলাদেশ সরকার। বাংলাদেশের ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক সরকারকে অস্থিতিশীল করতে আল-জাজিরা যেভাবে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে তা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করা হয় বিবৃতিতে।

ওদিকে, আল জাজিরায় প্রকাশিত রিপোর্টে ইসরাইলের কাছ থেকে বাংলাদেশের নজরদারি সরঞ্জাম ক্রয়ের যে কথা বলা হয়েছে তা সরাসরি নাকচ করে দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। বিবিসি বাংলাকে তিনি বলেন, ইসরাইল থেকে আমরা কিছু ক্রয় করিনি এবং আমাদের সঙ্গে ইসরাইলের কোন সম্পর্কও নেই।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (7)
Rubel Hossen ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ২:৫১ এএম says : 0
উষ্কানিতে বরাবরই আল জাজিরা সবার আগে থাকে
Total Reply(0)
লিয়াকত আলী ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ২:৫২ এএম says : 0
আমরাও প্রত্যাখ্যান করলাম।
Total Reply(0)
Hannan Kabir ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ২:৫৭ এএম says : 0
ভালো কথা ।তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করে প্রমাণ করেন যে জাজিরার রিপোর্ট মিথ্যা।
Total Reply(0)
Solaiman Mojumder ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ২:৫৭ এএম says : 0
কোন রিপোর্ট প্রত্যাখ্যান করলেই কি দায় এড়ানো সম্ভব হয় ? নাকি তার সঠিক তদন্ত করে সত্য মিথ্যা যাচাই করে জাতির কাছে তা প্রকাশ করা প্রয়োজন ?
Total Reply(0)
আবদুর রহমান ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ২:৫৮ এএম says : 0
সত্য জানার অপেক্ষায় রইলাম
Total Reply(0)
Nannu chowhan ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ৯:৩৬ এএম says : 0
Manush dekhese desher onekei apnar montri mp mayor counciler der chaite onek ochcho shikkhito lok ase ,ajkal university college school er satro rao internet soschal media projukti shoomporke valo gean rakhe shotorang eaita voa bole uraia deowa jabena,ebong ihai ghotiase,jodi eaiguli banowat hoy opojukto proman shoho jonogoner shamne tuli dhorun....
Total Reply(0)
A Rahman ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১:০০ পিএম says : 0
The Al-Jazeera report is authentic and true reflection of what happened, and what is happening in every sector of Bangladesh. I firmly believe this report. Al-Jazeera contacted the PM's Office, the Home Minister and Police Chief according to their descriptions in the media, and none responded. Why they could not object at that time? The government can go to International Court. But it would never happen, as the government could not prove it as false. So, they are eye washing by mere statement. Bangladesh and present administration is one of the most corrupted in the world. Most of the high officials and politician are plundering millions of dollar and do money laundering to foreign countries and banks. It is open secret. Canada's multiple "Begum Paras", Malaysia as a second home and deposits in Swiss Bank are examples of some ponds in the ocean of corruption.
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন