শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

অবশেষে কৃষক হত্যা মামলা রেকর্ড করলো বিশ্বনাথ থানা পুলিশ

বিশ্বনাথ (সিলেট) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ৫:২৩ পিএম

সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের চৈতননগর গ্রামের কৃষক ছরকুম আলী দয়াল হত্যাকান্ডের ঘটনায় অবশেষে মামলা রেকর্ড করেছে বিশ্বনাথ থানা পুলিশ। (মামলা নং-০৩, তারিখ ঃ ০২/০২/২০২১ইং)। মামলাটি দায়ের করেন ছরকুম আলী দয়ালের ভাতিজা আহমদ আলী। ঘটনার পরদিন শুক্রবার থানায় এজাহারটি দাখিল করা হয়েছিল। দন্ডবিধি আইনের ৩০২/৩০৭/ ৩২৬/ ৩২৪/ ৩২৩/ ১৪৯/ ১৪৮/ ১৪৭/ ১০৯ ধারায় এই মামলাটি রেকর্ড করা হয়।

এই হত্যাকান্ডের ঘটনায় পুলিশের বিতর্কিত ভূমিকায় জনমনে নানা প্রশ্ন সৃষ্টি হয়েছিল। চাউলধনী হাওরের কৃষি ও কৃষকদের জমি রক্ষায় আন্দোলনরত কৃষকের প্রতিপক্ষের সাথে সু সম্পর্ক ছিল পুলিশের। দয়াল হত্যাকান্ডের পূর্বে কৃষকদের বিরুদ্ধে সাজানো দুটি মামলা রেকর্ড করেছিল থানা পুলিশ। গত ২৮ জানুয়ারী দশঘর মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি ও সাবলীজ গ্রহীতার একটি বাহিনী রহস্যজনকভাবে কৃষক ছরকুম আলী দয়ালের জমানো পানি খাল থেকে প্রত্যাহার করা হচ্ছিল। এই সংবাদ পেয়ে বৃদ্ধ দয়াল জমিতে গিয়ে পানি প্রত্যাহার না করতে আপত্তি করলে তাকে মারপিট করা হয় এবং ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়। আত্মীয় স্বজনরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে তাদের উপরও হামলা করা হয়। ২৯ জানুয়ারী শুক্রবার দয়াল হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে চৈতননগর এলাকায় এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে চাউলধনী হাওর পারের ২৫টি গ্রামের কয়েক হাজার কৃষক অংশ গ্রহণ করে চাউলধনী হাওরে লীজ বাতিল, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং দয়াল হত্যাকান্ডের আসামীদের গ্রেফতার করে ফাঁসি দাবী করেন।
বিষয়টি চাউলধনী হাওর পারের বাসিন্দা বিশ^নাথ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মুহিবুর রহমানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল সুনামগঞ্জে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নানের সাথে সাক্ষাৎ করেন। মন্ত্রী এ বিষয়টি জানানোর পর তিনি কৃষক হত্যাকান্ডে বিস্ময় ও দুঃখ্য প্রকাশ করে সিলেটের জেলা প্রশাসক ও ডিজাইজির সাথে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। তিনি চাউলধনী হাওরের সরকারী ভূমির সাথে ব্যক্তি মালিকানাধীন জমির সীমানা, পিলার স্থাপনে গুরুত্বারুপ করেন।

বাদী পক্ষের অভিযোগ বার বার থানায় আসা যাওয়া করলেও রহস্যজনক কারণে মামলা রেকর্ড না করার কথা জানায় পুলিশ। থানা পুলিশের সাথে যোগাযোগ করলে ৫দিন পর মঙ্গলবার রাতে মামলাটি রেকর্ড করা হয়। ইতিপূর্বে থানা পুলিশ আসাম উদ্দিন আশরাফ, শাহেদ আহমদ, জামাল উদ্দিন নামের তিনজনকে সন্দেহভাজন আসামী হিসেবে আদালতে প্রেরণ করে। আজ বুধবার থানা পুলিশ এই তিনজনকে আদালতে শোন এরেস্ট দেখিয়েছে বলে বাদি পক্ষের আইনজীবি এএসএম গফুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বিশ^নাথ থানার ওসি শামীম মূসা ইনকিলাবকে জানান, ৩০জনকে আসামী করে বিশ্বনাথ থানায় একটি মামলা রেকর্ড করা হয়েছে এবং ইতি পূর্বে গ্রেফতারকৃত তিনজনকে শোন এরেস্ট দেখানো হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন