প্রশ্ন : মিথ্যা বলা কেমন পাপ? মিথ্যার জন্যে পরকালে কিরূপ শাস্তি হবে? কোনো লজ্জাজনক কথা যেমন, ধূমপান করা প্রকাশ হওয়ার ভয়ে মিথ্যা বললে কি পাপ হবে?
উত্তর : মিথ্যা বলা মহাপাপ। বলা হয়, মিথ্যা বলা সকল অপকর্মের শিকড়। একটা মানুষ যদি মিথ্যা বলা ছেড়ে দেয় তাহলে সে অনেক অনেক পাপ ও অন্যায় কর্ম এমনিতেই ছেড়ে দিতে বাধ্য হবে। কেননা, মিথ্যা বলার সুযোগ নিয়েই মানুষ অনেক অপরাধ করার সাহস পায়। শরীয়তের একটি মূলনীতি রয়েছে, ‘সত্য মুক্তি দেয় আর মিথ্যা ধ্বংস ডেকে আনে।’ পরকালে মিথ্যা বলার সাজা হবে খুবই কঠোর। কোনো লজ্জাজনক কাজ বা ভ‚মিকা প্রকাশ না পাওয়ার জন্যেও মিথ্যা বলা অপরাধ। এ ধরনের মিথ্যা কথার জন্যও আল্লাহর নিকট অনুতপ্ত হয়ে ক্ষমা চাইতে হবে। তবে প্রকাশ করা জরুরী নয় এমন বিব্রতকর প্রশ্ন কৌশলে এড়িয়ে যাওয়ার বা দ্ব্যর্থবোধক কথা বলে নিজেকে রক্ষা করা ক্ষেত্র বিশেষে জায়েজ রয়েছে। এ স্থানগুলো জানার জন্য শরীয়তের বিশদ জ্ঞান থাকতে হয়। সাধারণ মানুষের জন্য লজ্জাজনক কাজেও মিথ্যার আশ্রয় নেওয়ার সুযোগ নেই। মানুষ লজ্জাজনক কাজ বা অপরাধ সংঘটিত না করুক, এ জন্যই তো মিথ্যা বলার দ্বার রুদ্ধ করা হয়েছে।
প্রশ্ন : মসজিদে বসে কোন ধরনের পত্র-পত্রিকা পড়া যাবে? জনৈক ব্যক্তি বললেন, মসজিদে বসে পত্রিকা পড়া যাবে না। বিশদ জানতে চাই?
উত্তর : মসজিদ ইবাদত-বন্দেগি, জ্ঞানচর্চা ও সাধারণ সৎকর্মের জায়গা। এখানে অর্থহীন কথাবার্তা বলা ও বেহুদা কাজকর্ম করা নিষিদ্ধ। ইসলামি ভাবধারার নির্দোষ পত্র-পত্রিকা মসজিদে বসেও পড়া যেতে পারে। তবে প্রাণীর ছবিযুক্ত সচিত্র কোনো পত্রিকা মসজিদে বসে পড়া উচিত নয়। বাজে-বেহুদা কথা, সংলাপ ও সত্য-মিথ্যা সংবাদ সম্বলিত কোনো পত্রিকাও মসজিদে বসে পড়া ঠিক নয়। মসজিদে কেবল কোরআন-সুন্নাহ ও দ্বীনি বই-পত্রই পড়া উচিত। দুনিয়াবি বই-পত্র নয়। এ অর্থে উল্লিখিত ‘জনৈক ব্যক্তি’ ঠিকই বলেছেন। সম্পূর্ণ দ্বীনি ও নির্দোষ তথ্য সম্বলিত পত্র-পত্রিকা মসজিদে বসেও পড়া যায়, তবে সতর্কতা হেতু এসব পড়াশোনা অন্যত্র বসে করাই উত্তম। কেননা, ভালো জিনিষের পাশাপাশি স্বল্পবুদ্ধির লোকেরা নিন্দিত ও নিষিদ্ধ বস্তুকেও মসজিদে নিয়ে যেতে পারে। এ থেকে ফেতনা-ফ্যাসাদের পথ উন্মুক্ত হওয়ার ভয় রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন