মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

মুমিনুলের পর মিরাজ ঝলক

রুমু, চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১২:০০ এএম

দিনের প্রায় পুরোটা সময়ই মুমিনুল হকের ব্যাটিং সৌরভ পরখ করতে করতেই কেটে গেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ বোলারদের। মাঝে লিটন দাসও দিয়েছেন দারুণ সঙ্গ। তাতে বাংলাদেশ চড়েছে রান পাহাড়ে। রেকর্ড রান তাড়ায় নামা উইন্ডিজকে জুতসই শুরু এনে দিয়েছিলেন দুই ওপেনার। তবে মেহেদী হাসান মিরাজ পর পর উইকেট ফেলে ঠিকই নিয়ন্ত্রণ রেখেছেন বাংলাদেশের হাতে। চট্টগ্রাম টেস্টে বাংলাদেশের বড় জয়ের সম্ভাবনার সঙ্গে মিরাজের সামনেও হাতছানি রয়েছে দুটি দারুণ রেকর্ডের।
গতকাল চতুর্থ দিন শেষে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের জেতার সব পরিস্থিতিই তৈরি। ৩৯৫ রান তাড়ায় নেমে ৩ উইকেটে ১১০ রান তুলেছে উইন্ডিজ। ম্যাচ জিততে করতে হবে আরও ২৮৫ রান, ম্যাচ বাঁচাতে হলে বাকি ৭ উইকেট নিয়ে খেলতে হবে তিন সেশন। শেষ দিনের উইকেটে এই দুই সম্ভাবনাই খুবই ক্ষীণ। সফরকারীদের হয়ে ১৫ রান নিয়ে ক্রিজে আছেন এনক্রুমা বোনার, ৩৭ রানে ব্যাট করছেন কাইল মায়ার্স। বাংলাদেশের হয়ে সবগুলো উইকেটই তুলেছেন মিরাজ।
এই টেস্টে প্রথম ইনিংসে আট নম্বরে নেমে সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। প্রথম ইনিংসে উইকেট নিয়েছিলেন চারটি। দ্বিতীয় ইনিংসে এর মধ্যেই হয়ে গেছে তিন উইকেট। ম্যাচে ১০ উইকেট পেতে আর তার দরকার তিন উইকেট। একই টেস্টে সেঞ্চুরি আর ১০ উইকেটের ঘটনা টেস্টে আছে আর তিনটি। ইমরান খান, ইয়ান বোথাম আর সাকিব আল হাসানের সঙ্গে সেই তালিকায় নাম ওঠানোর সুযোগ মিরাজেরও। কেবল তা-ই নয়। ম্যাচে ১০ উইকেট নিতে পারলে দ্রুততম বাংলাদেশি হিসেবে টেস্টে ১০০ উইকেটও হয়ে যাবে মিরাজের।
তার আগে মুমিনুলের রেকর্ডে মোড়ানো সেঞ্চুরির (১১৫) সঙ্গে লিটন দাসের ফিফটির (৬৯) উপর ভর করে জয়েল ভিত গড়ে ফেলেছে বাংলাদেশ। ৫ম উইকেট জুটিতে এই দুজন যোগ করেন ১৩৩রান। পরে টানা উইকেট পতনে খুব বেশি এগায়নি বাংলাদেশের সংগ্রহ। জোমেল ওয়ারিক্যানের এক ওভারেই আউট হন তাইজুল ইসলাম ও প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান মেহেদী হাসান মিরাজ। ৮ উইকেটে ২২৩ রানে ইনিংস ঘোষণা করে স্বাগতিকরা। প্রথম ইনিংসের ১৭১ রানের লিড মিলিয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে ৩৯৪ রানে। মাঠে এলেও ঊরুর চোটের কারণে এদিন ব্যাটিং-বোলিং কিছুই পারেননি সাকিব আল হাসান।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে ৩১৭ রানের বেশি তাড়া করে জয়ের রেকর্ড নেই কোনো দলের। বাংলাদেশের যে কোনো মাঠেও রেকর্ড সেটিই। দুরূহ সে লক্ষ্যেই চতুর্থ ইনিংসে ব্যাট করতে নেমেছে উইন্ডিজ। এমন পিচে প্রায় চারশ তাড়া করা বা চার সেশনের বেশি টিকে থাকা যেন অসম্ভবের পায়ে মাথা কুটে মরা। ওয়েস্ট ইন্ডিজ তবু হাল ছাড়ছে না। মিরাজের তিন শিকারে টপ অর্ডার ভেঙে পড়লেও ক্যারিবিয়ানরা লড়াই টেনে নিয়েছে শেষ দিনে।
বাংলাদেশ অবশ্য এখনও ফেভারিট পরিস্কারভাবেই। জয়ের জন্য শেষ দিনে প্রয়োজন ৭ উইকেট। ২২ গজের সম্ভাব্য আচরণ আর পারিপার্শ্বিকতা বিবেচনায় তিন সেশন যথেষ্টই হওয়ার কথা উইকেটগুলো নিতে।
আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ দুই ম্যাচের এই সিরিজের অপর ম্যাচটি হবে ঢাকার শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ : ৪৩০ ও দ্বিতীয় ইনিংস : ৬৭.৫ ওভারে ২২৩/৮ (সাদমান ৫, তামিম ০, শান্ত ০, মুমিনুল ১১৫, মুশফিক ১৮ , লিটন ৬৯, মিরাজ ৭, তাইজুল ৩, নাঈম ১*; রোচ ০/১৭, রাহকিম ৩/৮১, গ্যব্রিয়েল ২/৩৭, ওয়ারিকান ৩/৫৭, বোনার ০/১৩, ব্র্যাথওয়েট ০/৭)।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ : ২৫৯ ও দ্বিতীয় ইনিংস : ৪০ ওভারে ১১০/৩ (ব্র্যাথওয়েট ২০, ক্যাম্পবেল ২৩, মোসলি ১২, বোনার ১৫*, মায়ার্স ৩৭*; মুস্তাফিজ ০/১৪, তাইজুল ০/১২, মিরাজ ৩/৫২, নাঈম ০/২৯)। চতুর্থ দিন শেষে

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন