শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

ভাষা শহীদ ভাষা সৈনিক লও সালাম

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১২:০১ এএম

বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে ভাষা-সংগ্রামীরা শুধু বাংলা ভাষা প্রতিষ্ঠার সংগ্রামই করেননি। বরং এর মাধ্যমে তারা নীতি ও যুক্তি প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম করেছেন। পাকিস্তানি উন্মাদনাকালে বাঙালি পরিচয়কে একমাত্র অবলম্বন করে তাঁরা সামনে এগিয়ে গেছেন যা আমাদের ভবিষ্যতের দিশা দান করে। বায়ান্নর এই একুশ বাঙালির স্পর্ধিত অহঙ্কার। এই চেতনা বাঙালিকে শিখিয়েছে অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে। বীর বাঙালিদের কোনভাবেই পাকিস্তানিদের রক্তচক্ষু দাবিয়ে রাখতে পারেনি। সাহসিকতার সঙ্গে ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রæয়ারি রাজপথে রক্ত ঢেলে ছিনিয়ে এনেছে বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার অধিকার। বাংলা ভাষাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার প্রশ্নে খাজা নাজিমুদ্দিনের বিরোধিতা করার পর প্রতিনিয়তই ফুঁসে উঠছিল বাঙালি। আন্দোলন পূর্ববাংলার রাজধানী ঢাকা থেকে ক্রমেই ছড়িয়ে পড়ছিল বিভিন্ন শহরে ও গ্রামে। মিছিলে মিছিলে ভরে গিয়েছিল ঢাকার রাজপথ।

তবে ১৯৫২ সালে আজকের দিনে (৭ ফেব্রুয়ারি) কি কি ঘটেছিল তা তেমন জানা যায়নি। এর আগের ও পরের কিছু দিন বিবেচনায় নিলে পরিষ্কার বোঝা যায়, মায়ের ভাষার মান রক্ষার্থে সর্বোচ্চ ত্যাগের প্রস্তুতি চলছিল। বিশেষ করে ছাত্র সমাজের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছিল আন্দোলন। এখনও একুশের চেতনায় এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখে বাংলাদেশ। ফেব্রুয়ারি এলে তাই নতুন করে জেগে ওঠে বাঙালি। দেশ জুড়ে চলে নানা অনুষ্ঠান-আয়োজন। সকল সভা-সমাবেশ মঞ্চ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানো হয় বায়ান্নর ভাষা শহীদদের। একুশের স্মৃতিবিজড়িত অমর একুশে বইমেলা এর সবচেয়ে বড় উদাহরণ।#

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন