যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তির শর্তগুলো না মানা পর্যন্ত তিনি ইরানের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা তুলবেন না। গতকাল রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) মার্কিন গণমাধ্যম সিবিএস নিউজকে দেয়া একটি সাক্ষাৎকারে মি. বাইডেন এমন বক্তব্য রাখেন।
অন্যদিকে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি আগে তাদের ওপর থেকে সমস্ত অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়, তবেই তেহরান চুক্তিতে ফিরবে।
রোববার ইরানের বিমানবাহিনী ও অ্যারোস্পেস ডিভিশনের কমান্ডার ও পাইলটদের এক সমাবেশে তিনি এ ঘোষণা দেন বলে ইরনা জানিয়েছে।
২০১৫ সালে পরমাণু কর্মসূচি সীমিত করার শর্তে ইরানের ওপর থেকে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা। তবে ২০১৮ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ওই চুক্তি বাতিল করে ইরানের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। ফলে ইরানও তার প্রতিশ্রুতি থেকে সরে আসে।
খামেনি বলেন, ইরান তখনই পরমাণু সমঝোতায় দেওয়া প্রতিশ্রুতিগুলো পূর্ণভাবে মানতে শুরু করবে যখন যুক্তরাষ্ট্র মুখে বা কাগজে নয়; বরং বাস্তবে সব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেবে। এটিই ইরানের চূড়ান্ত ও অলঙ্ঘনীয় নীতি। এ বিষয়ে দেশের সব কর্মকর্তা একমত। কেউ এই নীতি লঙ্ঘন করবে না।
পরমাণু সমঝোতা ও নিষেধাজ্ঞা নিয়ে মার্কিন ও ইউরোপীয় নেতাদের প্রতি ইঙ্গিত করে খামেনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বা ইউরোপ কোনো ধরনের শর্তারোপের অধিকার রাখে না। কারণ তারা পরমাণু সমঝোতায় প্রতিশ্রুতি দিয়ে সেগুলো লঙ্ঘন করেছেন। এখন যে পক্ষ শর্তারোপ করতে পারে সেটি হলো ইরান। কারণ ইরান প্রতিশ্রুতি দিয়ে তা রক্ষা করেছে।
এদিকে তেল নিষেধাজ্ঞাসহ বড় ধরনের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞাগুলো তুলে না নিয়ে তেহরানের ওপর আর্থিক চাপ কমিয়ে আনার উপায় নিয়ে ভাবছে বাইডেন প্রশাসন। খবর সিবিএস নিউজের
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন