পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটি কাপ্তাই হ্রদের দুইপাশ জুড়ে পাহাড়ের ঢালুতে দৃষ্টিনন্দন তরমুজ চাষে ব্যাপক সাফল্য দেখছেন চাষিরা। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও কাপ্তাই হ্রদের পাশে পরিত্যক্ত পাহাড়ের ঢালুতে তরমুজ চাষে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। শত শত একর জায়গায় চাষিরা তরমুজ বীজ বপন করছেন। গাছে প্রচুর পরিমান তরমুজ ফল আসতে শুরু করেছে।
রাঙ্গামাটি জেলার নারিয়ারচর, লংগদুসহ বিভিন্ন জেলা হতে প্রতি বছর এক মৌসুমী ব্যবসায়ী চুক্তিভিত্তিক এ চাষে পারদর্শী কৃষকদের নিয়ে আসে পার্বত্য এলাকায় তরমুজ চাষ করতে। আবুল কাশেম নামের একজন মৌসুমী সফল ব্যবসায়ীর সাথে কথা হল তিনি বলেন, গত বছর পাহাড়ের পরিত্যক্ত ঢালুতে তরমুজ চাষ করে প্রায় ৮/১০ লাখ টাকা লাভ হয়েছে। তিনি জানান, প্রতি বছর পাহাড়ের ঢালুতে তরমুজ চাষ, বীজ বপন, পাহাড়ের ঢালুতে মেশিন দিয়ে পানি সরবরা ও কৃষক শ্রমিকসহ বিবিধ খরচ প্রায় ৫/৬লাখ টাকা বাবদ আরো ৪ লাখ টাকা লাভ পাওয়া যায় বলে উল্লেখ করেন। আরেক ব্যবসায়ী নুরু মিয়া বলেন, এবার মৌসুম ভালো বিধায় তরমুজ ফলন ভালো হয়েছে। আশা করি অন্যান্য বছরের ন্যায় এবারও ভালো মুনাফা অর্জন করা যাবে। রাঙ্গামাটি নারিয়রচর ও লংগদু হতে আশা চাষি আশরাফ ও রহমান মিয়া বলেন, প্রতি বছর তরমুজের মৌসুম আসলেই আমাদের ডাক পরে চাষ করার জন্য।
তারা বলেন, কাপ্তাই হ্রদের পাশে পানি থাকায় অবস্থায় আমরা প্রথমে হ্রদ হতে পানি নিয়ে বিজ বপন করি। যখন গাছ হয়ে যায় এবং তরমুজ হতে শুরু করে তখন হ্রদের পানিও কমতে শুরু করে। আর পানি আনতে কষ্ট হয়। কোন কোন সময় মেশিন লাগিয়ে পানি সরবরাহ করতে হয়। ভালো ফলন পেতে হলেও কষ্ট করতে হয় বলে তারা উল্লেখ করেন। তবে ব্যাপক তরমুজ তাষে সাফল্য লাভ করবে বলে উল্লেখ করেন।
আলি আজম নামের এক তরমুজ চাষি বলেন, আগামি দু’মাসের মধ্যে তরমুজ বাজারে আসবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। এবং এ তরমুজ খোলা আকাশের নীচে প্রচন্ড রোদ্র পাওয়ার ফলে ব্যাপক মৃষ্টি হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। এদিকে কাপ্তাই হতে নৌকা, বোটসহ বিবিধ যানযোগে ভ্রমণপিয়াসুরা ঘুরতে গিয়ে পাহাড়ের ঢালুতে তরমুজ চাষ ও সবুজের সমারোহ দেখে অনেকেই মুগ্ধ হয়ে যায়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন