বাণিজ্য, বিনিয়োগ, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, যোগাযোগ, অভিবাসন, আন্তর্জাতিক এবং আঞ্চলিক ইস্যুতে বাংলাদেশ-মালদ্বীপ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করার বিষয়ে একমত হয়েছেন দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এবং ড. আব্দুল্লাহ শহিদ। পাশাপাশি মানবসম্পদ উন্নয়ন এবং দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের বিষয়ে সমাঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবনে এই দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, আন্তরিক পরিবেশে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। টেকসই উন্নয়নের স্বার্থে আমরা অনেকগুলো বিষয়ে ঐক্যমতে পৌঁছেছি। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, একটি জয়েন্ট কমিশন গঠন, মানবসম্পদ বিষয়ে চুক্তি ও ফরেন সার্ভিস প্রশিক্ষণের জন্য চুক্তি। এসব ব্যাপারে বড় আকারে আলোচনা করা হয়েছে। এছাড়াও মালদ্বীপ আমাদের থেকে সেবিকা (নার্স) নেবে।
তিনি বলেন, মালদ্বীপ সরকার ঘোষণা দিয়েছে, দেশটিতে অবস্থানরত বাংলাদেশিসহ সকল বিদেশিদের বিনামূল্যে করোনা টিকা দেবে। সরাসরি জাহাজ চলাচলসহ একাধিক বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে আলোচনা করেছি। পাশাপাশি জাতীয়, আন্তর্জাতিক এবং আঞ্চলিক একাধিক ইস্যুতে আমরা একমত হয়েছি।
মালদ্বীপের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল্লাহ শহিদ বলেন, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষাসহ দ্বিপাক্ষিক সকল বিষয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ফলপ্রসু আলাপ হয়েছে। আরও কোন কোন বিষয়ে আমাদের সম্পর্ক আরও দৃঢ় করা যায়, সে বিষয়ে আলাপ করেছি। মালদ্বীপের মেডিকেল শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার ক্ষেত্রে প্রথম পছন্দ হচ্ছে বাংলাদেশ। ড. আব্দুল্লাহ শহিদ বলেন, দুইটি বিষয়ে সমাঝোতা স্বাক্ষর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। একটি মানবসম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত এবং অন্যটি বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস একাডেমি এবং মালদ্বীপের ফরেন ইন্সটিটিউটের মধ্যে একটি সমাঝোতা স্মারক স্বাক্ষর।
মালদ্বীপের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশি কর্মীরা মালদ্বীপে খুব গুরুত্বপূর্ণ এবং ভালো কাজ করছে। মালদ্বীপ সরকার তাদের অধিকার এবং স্বার্থ রক্ষায় সকল সমর্থন দিয়ে যাবে। কিন্তু মালদ্বীপে অনিয়মিত বাংলাদেশি কর্মীদের নিয়মিত হওয়া প্রয়োজন। শান্তি, প্রগতি এবং টেকসই উন্নয়নের জন্য আমরা একসঙ্গে কাজ করতে চাই। নিয়মিত অভিবাসন নিশ্চিতে মালদ্বীপ-বাংলাদেশ একসঙ্গে কাজ করবে বলে আমরা সম্মত হয়েছি। অনিয়মিত অভিবাসীরা স্বেচ্ছায় বাংলাদেশে ফিরতে চাইলে মালদ্বীপ সহযোগিতা করবে।
রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধান এবং জলবায়ু সংক্রান্ত ঝুঁকি মোকাবিলায় আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক অঙ্গণে বাংলাদেশের পক্ষে মালদ্বীপের সমর্থন অব্যাহত থাকবে বলে ঢাকা সফররত পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন