শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

আল জাজিরা বন্ধে বন্দুক কেন আদালতের কাঁধে?

শুনানিতে প্রশ্ন হাইকোর্টের মতামত দেবেন ৬ অ্যামিকাস কিউরি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১২:০০ এএম

বিটিআরসি’র ক্ষমতা থাকা সত্তে¡ও কাতারভিত্তিক টিভি চ্যানেল আল-জাজিরার বাংলাদেশে প্রচার বন্ধে কেন আদালতের কাঁধে বন্দুক রাখা হচ্ছে? এ প্রশ্ন তুলেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টার্স মেন’ শীর্ষক প্রতিবেদনের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম থেকে প্রত্যাহারের নির্দেশনা চেয়ে করা রিটটি গ্রহণযোগ্য কি না? এ প্রশ্নও তোলেন আদালত।

গতকাল বুধবার রিটের শুনানিকালে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান ভুইয়া এবং বিচারপতি কামরুল হোসেন মোল্লার ভার্চুয়াল ডিভিশন বেঞ্চ ওই দুটি প্রশ্ন তোলেন। রিটের গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নে মতামত জানতে ৬ অ্যামিকাস কিউরি (আদালত সহায়ক আইনজীবী) নিয়োগ করেন হাইকোর্ট।

ছয় অ্যামিকাস কিউরি হলেন, অ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন খসরু, অ্যাডভোকেট এ. জে. মোহাম্মদ আলী, ব্যারিস্টার ফিদা এম. কামাল, ড. শাহদীন মালিক, কামালুল আলম এবং প্রবীর নিয়োগী।

রিটের পরবর্তী তারিখ ধার্য করা হয়েছে আসছে সোমবার। গতকাল রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এনামুল কবীর ইমন। সরকারপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী। বিটিআরসির পক্ষে শুনানিতে যুক্ত হন অ্যাডভোকেট রেজা-ই রাকিব।
রিটের শুনানিকালে আদালত বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) ওপর উষ্মা প্রকাশ করেন।

আদালত বলেন, বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ এরইমধ্যে আল-জাজিরার প্রতিবেদনটি দেখেছেন। বিটিআরসি এতদিন কী করল? তারা বন্ধ করলো না কেন? আপত্তিকর কিছু স¤প্রচার বন্ধের বিটিআরসির ক্ষমতা থাকা সত্তে¡ও কেন আদালতের কাঁধের ওপর বন্দুক রাখা হচ্ছে? এখন এগুলো বন্ধ করা আর না করা সমান।

আদালত পরে কাতারভিত্তিক আল জাজিরা টেলিভিশন নেটওয়ার্কের স¤প্রচার বন্ধ এবং ভিডিও সরাতে হাইকোর্ট কোনো আদেশ দিতে পারে কিনা? এ বিষয়ে মতামত জানতে ছয় জন অ্যামিকাস কিউরি নিয়োগ দেন। রিটকারীর সংক্ষুব্ধ হওয়ার মতো কারণ, বিভিন্ন দিক, আবেদন অনুযায়ী আদালত থেকে কোনো আদেশ দেয়া হলে বিদেশের কোনো টিভি চ্যানেলের ক্ষেত্রে তা কার্যকর করা যাবে কি না? কোনো আইনি নোটিশ ছাড়া রিট (ম্যান্ডামাস) চলে কি না? আল-জাজিরার তথ্যচিত্র সব মাধ্যম থেকে বন্ধ করার কোনো নির্দেশনা দেয়ার প্রয়োজন আছে কি না? গত ১ ফেব্রুয়ারি তথ্যচিত্রটি প্রকাশের পর এতো বিলম্বে রিট করার প্রেক্ষাপটে কোনো নির্দেশ দেয়ার প্রয়োজন আছে কি না? এসব বিষয়ে মতামত চাওয়া হয়েছে অ্যামিকাস কিউরিদের কাছে।

প্রতিবেদন প্রচারের এক সপ্তাহ পর করা রিটে ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস মেন’ শীর্ষক প্রতিবেদনকে বিভ্রান্তিকর, বিদ্বেষমূলক ও মানহানিকর উল্লেখ করা হয়। ব্যারিস্টার এনামুল কবির ইমন সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলে জানা গেছে। রিটে ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, তথ্য ও প্রযুক্তি সচিব, বিটিআরসির চেয়ারম্যান, পুলিশ মহাপরিদর্শকসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, আল জাজিরায় গত ১ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ সম্পর্কে একটি ‘অনুসন্ধানী প্রতিবেদন’ স¤প্রচার হয়। এটি দেশে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। প্রতিবেদনে উচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তিদের দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়।

আল-জাজিরার এই প্রতিবেদনকে ‘মিথ্যা ও অবমাননাকর’ আখ্যা দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতরও (আইএসপিআর) এই প্রতিবেদনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে। আইনি প্রতীকার চেয়ে জনস্বার্থে এ রিট করা হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (7)
Gulam Mahbub ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১:৩০ এএম says : 0
Corruption and corrupts should not be tolerated.
Total Reply(0)
গিয়াস উদ্দীন ফোরকান ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ৩:৪৫ এএম says : 0
প্রশ্নটা খুবই যৌক্তিক
Total Reply(0)
জাফর ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ৩:৪৫ এএম says : 0
তারা কি মতামত দেবেন সেটা দেখার অপেক্ষায় রইলাম
Total Reply(0)
গোলাম মোস্তফা ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ৩:৪৮ এএম says : 0
কিছু বললে আবার মামলা হবে আইসিটি অ্যাক্টে
Total Reply(0)
মিনহাজ ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ৩:৪৮ এএম says : 0
হে আল্লাহ তুমি এই দেশটাকে হেফাজত করো
Total Reply(0)
Md Golam Azam ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ৩:৪৮ এএম says : 0
Corruption not be tolerated
Total Reply(0)
A Rahman ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১১:২৫ এএম says : 1
The closure of Al Jazeera is not the solution. The solution is to provide appropriate proof that the report is not authentic, but as it is true so the government instead of going to the right path is just trying by haphazard steps, statements and braggadocio. The differences between present Bangladesh and the then East Pakistan are that during Pakistani period Pak Police and Army tortured and killed us, now our own government, Police and RAB are killing us, Pakistan looted us and now most of the Awami Politicians, Administration and Businessmen's are looting the country (1000 times more than Pakistani looters), laundering the money to foreign country and banks and sending their families to foreign countries. During Pakistan we could at least speak, but we now we can't, we could made procession, but now for any political protest we are being arrested, tortured and get false accusation of Jamat/Shibir, we could vote (proof is 1970's election), but now in independent (?) Bangladesh we can't vote, Awami gundas take control of the voting centers and fill the ballot boxes. Did we and Bongobondhu fought for this Bangladesh? ... has killed all of our dream. Please rise up Bangladesh! We must fight together against all the anarchies to save Bangladesh.
Total Reply(1)
Mohammed Shah Alam Khan ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১:১১ পিএম says : 0
আপনি বলছেন, পাকিস্তানীদের সময় (৭১ সালের আগে) আপনি স্বাধীন ভাবে কথা বলতে পারতেন!! তাহলে আপনার বয়স এখন নিশ্চয়ই আমার মত ৭০ এর উর্ধে তাইনা?? এটাই যদি হয় তাহলে আপনি নিশ্চয়ই , ৬৯-৭০ সালে আমার মতই একজন বিএ আনার্সের ছাত্র ছিলেন কিংবা বিএ পাশ করেছিলেন তাইনা?? আপনি নিশ্চয়ই আমার মত একজন সচেতন বাঙালি যুবক হিসাবে ছাত্রলীগ, ছাত্র ইউনিয়ন বা অন্যকোন ছাত্র সংগঠনের পক্ষ থেকে দেশের কল্যাণে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন তাইনা?? কিন্তু আপনি যেভাবে পাকিস্তানীদের সাথে আমাদের তুলনা করলেন তাতে কিন্তু মনে হয়না আপনি একজন মুক্তিযোদ্ধা কিংবা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোক......... বিশ্বের মধ্যম উন্নত দেশের একটি বাংলাদেশ সেই দেশের সাথে যেদেশ (পাকিস্তান) ও জাতীকে (পাকিস্তানীদের) আমরা ঘৃন্যভরে অপমানিত করে এই মাটি থেকে বিতাড়িত করেছি ৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে সেই দেশ ও জাতীকে নিয়ে একজন বাঙালির বড় বড় কথা বলার অর্থ কি দেশ প্রেম নাকি পাকিস্তান প্রেম.........

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন