শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

নওগাঁয় প্রেমে ব্যর্থ হয়ে প্রেমিককে পিটিয়ে হত্যা, প্রধান আসামী গ্রেপ্তার

নওগাঁ জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ৭:১৫ পিএম

নওগাঁ সদরের প্রেমে ব্যর্থ হয়ে আনিসা আনির (১৮) প্রেমিক হামিম হোসেনকে (২০) পিটিয়ে হত্যা করা অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় সদর থানা ৩ জনের নাম উল্লেখসহ আরো অজ্ঞাত ৪/৫ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হলে মামলার প্রধান আসামী বখাটে আসিফ হোসেন সজলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে বাঁকি আসামীদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। হামিম হোসেন বৃহস্পতিবার ভোর রাতে রাজশাহী রয়্যাল হাসপাতালে মারা যান।

নিহত হামিম হোসেন নওগাঁ সদরের মুরাদপুর গ্রামের শাহাদাত হোসেনের এক মাত্র ছেলে।

নিহতের পারিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, হামিম হোসেন রাজশাহী কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষে অধ্যয়নরত ছাত্র ও প্রাণ কোম্পানিতে চট্টগ্রামের চাকুরী করেন এবং বাবা-মায়ের সাথে সেখানেই থাকেন। গত ৩ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম থেকে নওগাঁয় হামিমের চাচাত ভাইয়ের বিয়েতে আসেন। গত ৮ ফেব্রুয়ারি দুপুরে নওগাঁ শহরের রুবির মোড়ে হামিমের প্রেমিকা আনিসা আনির সাথে দেখা করতে আসেন। এ সময় আসিফ হোসেন সজলের নেতৃত্বে তার সহযোগীরা সুরুজ, প্রান্তসহ অন্য সহযোগীরা মারপিট ও ইট দিয়ে মাথায় আঘাত ও নির্যাতন করে। এরপর নির্যাতনকারীরা হামিমকে নওগাঁ হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ফেলে রেখে চলে যায়। হামিমের পরিবার জানতে পেরে হাসপাতালে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে গুরুত্বর অবস্থায় রাজশাহী স্থানান্তর করেন। রাজশাহী রয়্যাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ বৃহস্পতিবার ভোর রাতে মারা যান।

শাহাদাত হোসেন জানান, হামিম খুব ভদ্র ছিল। তার প্রেমিকা আনিসা আনির সাথে দেখা করতে এলে প্রেমে ব্যর্থ বখাটে সজলের নেতৃত্বে তার সহযোগীরা সুরুজ, প্রান্তসহ অন্য সহযোগীরা মারপিট ও ইট দিয়ে মাথায় আঘাত ও নির্যাতন করে। তিনি আরো জানান, বখাটে সজলের পরিবার নওগাঁ শহরের প্রভাবশালী পরিবার। ন্যায় বিচার না পাওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন তাদের পরিবার বলে অভিযোগ করেন।

নওগাঁ সদর থানার ওসি সোহরাওয়ার্দি হোসেন জানান, আনিসার সাথে প্রেমে ব্যর্থ হয়েই বখাটে আসিফ হোসেন সজলের নেতৃত্বে হামিমকে হত্যা করা হয়েছে। আসিফ হোসেন সজলের বিরুদ্ধে নওগাঁ সদরসহ বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা হয়েছে। নিহতদের মৃতদেহ ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। মামলার অন্য আসামীরা পলাতক থাকায় তাদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। তাদেরও দ্রুত গ্রেপ্তারের প্রচেষ্টা চলছে।

তিনি আরো জানান, ঘটনার পর থেকে আনিসা আনি ও তার পরিবার পলাতক হয়েছে। সজলের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে রিমান্ডের আবেদন জানানো হবে। রিমান্ড মঞ্জুর হলে ৩ জনের মান উল্লেখ বাদেও অন্য জড়িতদের পরিচয় ও হত্যার প্রকৃত কারণ জানা সম্ভব হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন