শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সম্পাদকীয়

চিঠিপত্র

| প্রকাশের সময় : ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১২:০৭ এএম

অনলাইন গেম আসক্তি থেকে সতর্ক হোন

বর্তমান সময়ে শিশু-কিশোরদের মাঝে একটি সমস্যা খুব প্রকট আকার ধারণ করেছে। তা হলো অনলাইন ভিডিও গেম আসক্তি। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন-বিটিআরসির তথ্যমতে, এপ্রিল ২০১৯-এ বাংলাদেশে ইন্টারনেটের গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ৯ কোটি ৩৭ লাখ, এদের মধ্যে ৮ কোটি ৭৯ লাখ ব্যবহারকারী মুঠোফোনের মাধ্যমে ইন্টারনেটে যুক্ত হয়। ২০১৬ সালের তথ্যানুযায়ী, বাংলদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে ৩৫ শতাংশ মাধ্যমিক বা উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থী। এরাই গেম আসক্তিতে যাওয়ার ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। গেম অ্যাডিকশন মাদকাসক্তির মতোই। পার্থক্য হচ্ছে এটি হলো আচরণগত আসক্তি। এর পরিণতি যা হবে, পারিবারিক, সমাজিক, ব্যক্তিগত জীবন বাধাগ্রস্থ হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ২০১৯ সালের জুন মাসে অতিরিক্ত গেম আসক্তিকে মানসিক ব্যাধি হিসেবে চিহ্নিত করেছে। বাবা-মা তাদের সন্তানকে শান্ত রাখতে তাদের হাতে তুলে দেন মোবাইল। তারা নিরাপত্তাহীনতার অজুহাতে মোবাইল-ল্যাপটপ তুলে দিয়ে আপাতত স্বস্তি অনুভব করেন, যা পরে তাদেরকে ইন্টারনেট কিংবা গেম আসক্ত করে তুলে। ভয়াবহ গেম আসক্তির ফলে শিশু-কিশোরদের ভবিষ্যৎ বাধাগ্রস্থ। তাই এ বিষয়ে প্রত্যেক অভিবাবককে দায়িত্বশীল হওয়া দরকার। গেম খেললেও তা যেনো অপরিমিত না হয় সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
হাসনাত জাহান সিফাত
নাঙ্গলকোট, কুমিল্লা।

 

প্রযুক্তির অপব্যবহার রোধ করুন
বর্তমানে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে বিশ্বের মতো আমাদের দেশও এগিয়ে চলছে অবিরাম। প্রযুক্তি ব্যাবহারের মাধ্যমে মানুষ দেশের নানা কিছু পরিবর্তন দেখতে পাচ্ছে। দিন যতো যাচ্ছে মানুষ ততই আধুনিকতার ছোঁয়া পাচ্ছে। কিন্তু আমরা অতিরিক্ত আধুনিকতা দেখাতে গিয়ে কিছু কিছু সময় ভুলবশত অতিরিক্ত কিছু করে ফেলছি, যা আমাদের জন্য মোটেও কল্যাণকর নয়। প্রযুক্তির ক্ষেত্রেই সেটা হচ্ছে, যা অপব্যবহার ছাড়া কিছুই না। এটা আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। তাই প্রযুক্তির অপব্যবহার রোধে আমাদের সকলকে সচেতন হতে হবে।
মো. শাকিমুল ইসলাম
শিক্ষার্থী, গ্রীন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন