প্রশ্ন : বাইরে হোটেলে মুরগি/খাসি/গরু ইত্যাদি খাচ্ছি। জানি না এগুলো কতটা হালাল। এগুলো খেয়ে কি গোনাহের ভাগী হচ্ছি?
উত্তর : যদি সন্দেহ প্রবল হয়ে নিশ্চয়তার কাছাকাছি চলে যায়, তাহলে না খাওয়াই ভালো। তবে সন্দেহ প্রবণতা প্রশংসনীয় নয়। মানুষকে, সমাজকে ও পরিবেশকে বিশ্বাস করাই স্বাভাবিকতা। মুসলিম দেশে, মুসলিম প্রধান এলাকায় জবাই করা হালাল পশু খাওয়া জায়েজ। সন্দেহ পোষণ করাই বরং বাড়াবাড়ি। বাংলাদেশে হোটেল রেস্তোরাঁয় গোশত খাওয়া গোনাহের কাজ বলে বিবেচিত হবে না। অবশ্য কোনো অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেলে নিশ্চয়ই এসব থেকে দূরে থাকবেন।
প্রশ্ন : পবিত্র কোরআন মাজিদে আল্লাহ তায়ালা নিজেকে বেশিরভাগ জায়গায় ‘আমরা’ বলে সম্বোধন করেছেন। কিন্তু আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয়। তাহলে তিনি নিজেই নিজেকে ‘আমরা’ বলছেন কেন? বুঝিয়ে বলবেন কি?
উত্তর : এটি আরবী বাক রীতির অংশ। সেখানে এক ব্যক্তি ‘আমি’ বলে। মহান অর্থে ‘আমি’র জায়গায় ‘আমরা’ও বলে। এটা কেবল কোরআন শরীফে নয়, আরবী সাহিত্যে প্রচুর দেখা যায়। যেমন, একজনকে বলা হয় ‘আলাইকা’ কিন্তু আমরা সালামের সময় বলি ‘আলাইকুম’। যার অর্থ ‘আপনাদের ওপর’। বাংলায় তরজমার সময় কোরআনের আল্লাহ যেভাবে বলেছেন সেভাবেই করা কর্তব্য। যেখানে আল্লাহ নিজেকে ‘আমি’ বলেছেন, সেখানে আমি। যেখানে ‘আমরা’ বলেছেন, সেখানে ‘আমরা’ বলাই শুদ্ধ। এই ‘আমরা’ বহু বচনের জন্য নয়। মহত্বের জন্য।
প্রশ্ন : ইসলামের দৃষ্টিতে সন্তানের প্রতি বাবা-মায়ের দায়িত্ব ও কর্তব্য কী কী?
উত্তর : সন্তান জন্মের পূর্বে হালাল খানা খাওয়া, নিজেদেরকে পবিত্র রাখা, দোয়া পড়া। পেটে আসার পর মা পর্দায় থাকা। আল্লাহর ধ্যানে ইবাদতে সময় কাটানো। খারাপ চিন্তা, খারাপ কথা, খারাপ দৃশ্য থেকে দূরে থাকা। শিশু জন্মের পর আজান ও ইকামত শোনানো। সুন্দর নাম রাখা। সঙ্গতি থাকলে আকিকা দেয়া সুন্নত। কথা বলতে শুরু করলে প্রথম ‘আল্লাহু’ বলানো। আদর ও শাসনে বড় করা। সুশিক্ষিত করা। সময়মতো বিয়েশাদি দেয়া। প্রয়োজন পরিমাণ সম্পদ পাওয়ার ব্যবস্থা করা ইত্যাদি। বিশেষত দ্বীনি মেজাজ তৈরি করা, যেন বাবা-মায়ের সাথে দুনিয়াতে সদাচরণ ও মৃত্যুর পর দোয়া করে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন