শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

কর্মীদের সংশ্লিষ্টতায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ বাড়ছেই

সংসদীয় কমিটির ক্ষোভ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১২:০৫ এএম

তিতাসসহ সরকারের গ্যাস কোম্পানিগুলোর একশ্রেণির অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর সম্পৃক্ততায় অবৈধ সংযোগ দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে। দুর্নীতিবাজ এসব কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কারণে গ্যাসের প্রি-পেইড মিটার স্থাপন কাজও ধীরগতিতে চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে গতকাল বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়।

সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিটি প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের কাজ দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করার পাশাপাশি অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে আরও কঠোর হওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে। এক্ষেত্রে কোনও প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গের সংশ্লেষ থাকলেও ছাড় না দিতে বলা হয়েছে। বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি শহীদুজ্জামান সরকার সাংবাদিকদের বলেন, গ্যাসের অবৈধ সংযোগ যেখানে দিন দিন কমার কথা সেখানে উল্টো তা বেড়েই যাচ্ছে। বিষয়টি উদ্বেগজনক। আমাদের মনে হয়েছে যতটা গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি দেখা দরকার, তা হচ্ছে না

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তিতাসের সংশ্লিষ্টরা জড়িত না থাকলে, এভাবে অবৈধ গ্যাস সংযোগ থাকার কথা নয়। তাদের কোনও স্বার্থ রয়েছে বলে আমাদের মনে হয়েছে।
বৈঠক সূত্র জানায়, অবৈধ গ্যাস সংযোগের পেছনে বিভিন্ন সময়ে সংসদ সদস্যসহ জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত থাকার প্রসঙ্গটিও বৈঠকের আলোচনায় উঠে আসে। কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট আবু জাহির প্রসঙ্গটি তোলেন বলে জানা গেছে। এক্ষেত্রে কোনও জনপ্রতিনিধিকেও যেন ছাড় না দেওয়া হয়, সেই পরামর্শ দেন তিনি।

বৈঠকে গ্যাসের বকেয়া বিল আদায়ে আরও তৎপর হওয়ার পাশাপাশি আগামী বৈঠকে কমিটি ২০০১ থেকে ২০২০ পর্যন্ত গ্যাসের বকেয়া বিলের প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সুপারিশ করে। প্রি-পেইড মিটার স্থাপনে ধীরগতির প্রসঙ্গ টেনে শহীদুজ্জামান সরকার বলেন, আমাদের কাছে মনে হয়েছে একশ্রেণির লোকজনের সুবিধা কমে যাবে, যার কারণে প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের কাজে গতি আসছে না। গ্যাসের বকেয়া বিল বন্ধে প্রি-পেইড মিটার সংযোগ দ্রুততম সময়ে চালু করার ব্যাপারে কমিটি থেকে জোর সুপারিশ করা হয়।

বৈঠকে প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে আরও সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এ বিষয়ে কমিটির সভাপতি বলেন, ‘অনেক প্রকল্প নেওয়া হয়, কিন্তু সময়মতো বাস্তবায়ন হয় না। এতে প্রকল্পের ব্যয় যেমন বেড়ে যায়, তেমনই জনগণ প্রত্যাশিত সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়। এ জন্য আমরা এ বিষয়ে সতর্ক হতে বলেছি। আর ভবিষ্যতে যেসব প্রকল্প গ্রহণ করা হবে, সেখানে যেন আগে থেকেই সঠিক পরিকল্পনা করে নেওয়া হয়। যাতে বার বার সময় বাড়াতে না হয়। কমিটির সভাপতি মো. শহীদুজ্জামান সরকারের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য মো. আবু জাহির, মো. নূরুল ইসলাম তালুকদার, আছলাম হোসেন সওদাগর, খালেদা খানম, বেগম নার্গিস রহমান এবং নুরুজ্জামান বিশ্বাস অংশগ্রহণ করেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন