চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ও শিবগঞ্জ উপজেলা সংবাদদাতা
ভারত ফারাক্কা বাঁধ খুলে দেয়ায় এর ব্যাপক প্রভাব পড়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায়। প্রতিদিন পদ্মা নদীর পানি হু-হু করে বেড়েই চলেছে। নতুন করে প্লাবিত হচ্ছে নি¤œাঞ্চল। প্রবল স্রোতের কারণে কিছু কিছু স্থানে নদী ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া জেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে- বন্যায় কৃষকের লাগানো প্রায় ১০০০ হাজার বিঘা জমির ধান ও প্রায় ১৫০ বিঘা শাকসবজি বন্যার পানিতে ডুবে গেছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সাজদার রহমান গত রোববার দুপুরে জানান, হঠাৎ করে বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার চরাঞ্চল আলাতুলি ও চরবাগডাঙ্গা এলাকায় ৬৫ হেক্টর জমির ধান পানিতে ডুবে গেছে। তাছাড়া ২০ হেক্টর শাকসবজিও পানিতে ডুবে রয়েছে। এদিকে শিবগঞ্জ উপজেলার পাকা, দুর্লভপুর, মনাকষা ও ছত্রাজিতপুর ইউনিয়নে কৃষকের লাগানো ৮০ হেক্টর জমির ধান বন্যার পানিতে ডুবে গেছে। তিনি আরও জানান, যেগুলো ধান মোটামুটি করে পেকেছিল সেগুলো কিছু সংখ্যক জমির মালিক কাটলেও অধিকাংশ ধান পানিতে ডুবে রয়েছে। তবে যদি দ্রুত পানি নেমে যায় তবে ধান নষ্ট হওয়ার সম্ভবনা কম রয়েছে। পাকা এলাকার আবদুল মতিন নামে একজন কৃষক জানান, এই সৃজনে সে ১৩ বিঘা জমিতে আউস ধান আবাদ করেছিল। কিন্তু হঠাৎ করে বন্যা হওয়ায় তার সমস্ত ধান পানিতে ডুবে গেছে। এ নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন তিনি। তার দাবি, চরাঞ্চল এলাকায় ধান ছাড়া অন্য কোন ফসলের ফলন খুব একটা ভাল হয় না। বছরে যে পরিমাণ ধান আবাদ হয় তা দিয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে দিব্বি চলা যায়। কিন্তু এখন ধান ডুবে থাকায় পরিবারের খরচ চালানো নিয়ে হতাশায় রয়েছি। চাঁপাইনবাবগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা সৈয়দ শহিদুল ইসলাম জানান, রোববার সকালে পদ্মায় পানি ছিল ২২.৩৮ সেন্টিমিটার। গত ১২ ঘণ্টায় পানি বেড়েছে ২ সেন্টিমিটার। এছাড়া ২৪ ঘণ্টায় বেড়েছে ৬ সেন্টিমিটার বিকাল চারটা পর্যন্ত।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন