বৃহস্পতিবার ১১৭ বছর পূর্ণ করে ফেললেন এই মুহ‚র্তের ইউরোপের সবচেয়ে পুরোনো ব্যক্তি। তিনি ফ্রান্সের নান সিস্টার আন্ড্রে। তিনিই ইউরোপের একমাত্র মানুষ যিনি দুটি বিশ্বযুদ্ধের সাক্ষী, যিনি কিনা গত মাসেই করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। বৃহস্পতিবার নিজের পছন্দের ডিশ দিয়ে উৎসব করে নিজের জন্মদিন পাতালেন সিস্টার আন্ড্রে।
১৯০৪ সালে ১১ ফেব্রুয়ারি জন্ম হয়েছিল সিস্টার আন্ড্রের। তিনি জানিয়েছেন, তার যে করোনা হয়েছে তা তিনি প্রথমে বুঝতেই পারেননি। অথচ করোনার জেরে তারই রিটার্মেন্ট হোমে আক্রান্ত হয়েছেন ৮১ জন, যার মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের। সন্ন্যাসিনী জানিয়েছেন, “আমাকে বলা হয়েছে আমি করোনা আক্রান্ত। আমি ক্লান্ত ছিলাম, এটা সত্যি, কিন্তু আমি এটা বুঝতে পারিনি।”
অন্যদিকে স্যান্টি ক্যাথরিন নার্সিং হোমের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, সিস্টার আন্ড্রে একই সঙ্গে তিন বন্দিদশায় ভুগছেন। তিনি হুইল চেয়ারে ‘বন্দি’, নিজের ঘরে ‘আটক’ আবার সম্পূর্ণের‚পে নিঃসঙ্গ। আধিকারিক জানিয়েছেন, আর একারণেই তার ১১৭ তম জন্মদিন পালন করেছিল কর্তৃপক্ষই।
সিস্টার আন্দ্রে অবশ্য তার ১১৭তম জন্মদিনে কিছু বিশেষ করতে রাজি ছিলেন না, তবে হোমের লোকেরাই এদিনটি বিশেষভাবে উদযাপনের পরিকল্পনা করেন। তার জন্মদিনে এদিন হোমে হাজির ছিল বেশ কয়েকজন অতিথি। প্রায় ১২ জন নান হাজির ছিলেন এদিন। জন্মদিনে নিজের প্রিয় ডিশ বেকড আলাস্কাও খান।
পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, তার প্রিয় খাবার গলদা চিংড়ি। একই সঙ্গে তিনি এক গ্লাস ওয়াইনও খান। তিনি জানিয়েছেন, প্রতিদিন তিনি এক গ্লাস করে ওয়াইন খান। নিজের পরিবারের স্মৃতি চারণা করে তিনি বলেন, তারা দুই ভাই ও এক বোন ছিলেন। প্রথম যুদ্ধের সময় তার দুই ভাই ফিরে আসে যুদ্ধ থাকে। সিস্টার আন্ড্রে ইউরোপের একমাত্র মানুষ যিনি দুটি বিশ্বযুদ্ধের সাক্ষী, একই সঙ্গে ইউরোপের সবচেয়ে প্রাচীন মানুষ। অন্যদিকে জেরন্টোলজি রিসার্চ গ্রুপের তথ্য অনুযায়ী, তিনি বিশ্বের দ্বিতীয় বয়স্ক জীবিত ব্যক্তি। প্রথম জন হলেন জাপানের মহিলা কেন টানাকা, তার বয়স ১১৮ বছর। সূত্র : ওয়েবসাইট।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন