লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে শিশু ছাত্রকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে মাওলানা গিয়াস উদ্দিন (৩০) নামে কওমি মাদরাসার এক শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল (শুক্রবার) রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে উপজেলার চরকাদিরা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। আজ (শনিবার) দুপুরে তাকে লক্ষ্মীপুর আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
অভিযুক্ত গিয়াস কমলনগরের চরজগবন্ধু ইউনিয়নের নাজিম উদ্দিন মাঝীর ছেলে এবং হাজিরহাট মারকাজুল উলুম কওমি মাদরাসার (আবাসিক) শিক্ষক।
পুলিশ ও ভুক্তভোগী শিশুটির পরিবার সুত্রে জানা যায়, উপজেলার চরফলকন (জাজিরা)এলাকার ১১ বছর বয়সী ওই শিশু এক বছর ধরে হাজিরহাট মারকাজুল উলুম কওমি মাদরাসায় হিফজ শাখায় পড়াশোনা করে আসছে। মাদরাসার আবাসিক ছাত্র হওয়ার সুবাধে শিক্ষক মাওলানা গিয়াস উদ্দিন প্রায়ই তাকে জোরপূর্বক যৌন নির্যাতন (বলাৎকার) করতেন। এতে অতিষ্ঠ হয়ে ২০দিন আগে ছাত্রটি পালিয়ে বাড়িতে চলে যায়। পরে স্বজনরা তাকে পুনরায় মাদরাসায় দিয়ে যান।
১১,ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) গভীর রাতে ওই শিক্ষক আবারো শিশুটিকে বলাৎকার করে। এ সময় শিশুটি কান্নাকাটি করলে ওই শিক্ষক নিজের কক্ষে তাকে আটকে রাখেন। শুক্রবার দুপুরে জুমার নামাজের সময় কৌশলে শিশুটি পালিয়ে বাড়িতে চলে যায়। একপর্যায়ে স্বজনদের কাছে ঘটনাটি খুলে বললে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়।
অভিযোগ পেয়ে পুলিশ ওই শিক্ষককে ধরতে মাদরাসায় অভিযান চালায়। কিন্তু তার আগেই তিনি পালিয়ে যান। পরে পুলিশ সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে উপজেলার চরকাদিরা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।
কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোসলেহ উদ্দিন বলেন, 'গ্রেপ্তারকৃত গিয়াস উদ্দিনকে শনিবার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তার ও ভুক্তভোগী শিশুর ডাক্তারি পরীক্ষা করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন